০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরস্ক ছাড়া গাজা সংকটের টেকসই সমাধান হবে না -মার্কিন রাষ্ট্রদূত

 

 

আঙ্কারায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেফ ফ্লেক বলেছেন, তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তির ভূমিকা ছাড়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যে সংকট চলছে তার সমাধান হবে না। তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তির ভূমিকা ছাড়া গাজায় দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানে পৌঁছানো কঠিন। ৯৭ শতাংশ মুসলমানের দেশ হিসেবে স্পষ্টতই ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের গভীর ভ্রাতৃত্বের একটি সম্পর্ক রয়েছে। তাই গাজায় ইসরায়েল যা করছে তা নিয়ে তারা কঠোর সমালোচনা করছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

গত অক্টোবরে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই স্বাধীন ফিলিস্তিনসহ একটি দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বড় সমর্থক তুরস্ক। এই সময় গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে একতরফা সমর্থন দিয়ে আসায় যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করছে দেশটি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহু প্রশাসন যুদ্ধাপরাধ করছে। আর এই কাজে তাদের সহায়তা করছে পশ্চিমা বিশ্ব।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এই পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

তুরস্ক ছাড়া গাজা সংকটের টেকসই সমাধান হবে না -মার্কিন রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ০৬:৪০:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

 

 

আঙ্কারায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেফ ফ্লেক বলেছেন, তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তির ভূমিকা ছাড়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যে সংকট চলছে তার সমাধান হবে না। তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তির ভূমিকা ছাড়া গাজায় দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানে পৌঁছানো কঠিন। ৯৭ শতাংশ মুসলমানের দেশ হিসেবে স্পষ্টতই ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের গভীর ভ্রাতৃত্বের একটি সম্পর্ক রয়েছে। তাই গাজায় ইসরায়েল যা করছে তা নিয়ে তারা কঠোর সমালোচনা করছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

গত অক্টোবরে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই স্বাধীন ফিলিস্তিনসহ একটি দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বড় সমর্থক তুরস্ক। এই সময় গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে একতরফা সমর্থন দিয়ে আসায় যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করছে দেশটি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহু প্রশাসন যুদ্ধাপরাধ করছে। আর এই কাজে তাদের সহায়তা করছে পশ্চিমা বিশ্ব।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এই পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ।