মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যাপক সেনা ঘাটতি পূরণে নতুন করে নিয়োগ শুরু করেছে জান্তা। এরই মধ্যে ইয়াঙ্গুনে শুরু হয়েছে কার্যক্রম। এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবকদের তালিকা করছে সরকার। ফলে তালিকায় নাম যুক্ত হওয়া এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন যুবকরা। আতঙ্কিত অভিভাবকরাও। এদিকে নতুন করে আরেক সদর দপ্তর হারিয়েছে জান্তা বাহিনী।
ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারা জানান, সেনা নিয়োগে মূলত ২৪ থেকে ৩০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে জনশুমারির রেকর্ড পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত মাসে এই নিয়োগ আইন কার্যকর করার পর অনেক তরুণ মিয়ানমারের শহরগুলো ছেড়ে পালিয়েছেন। সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক চাকরি করার পরিবর্তে তারা প্রত্যন্ত সীমান্ত এলাকায় জান্তাবিরোধী বাহিনীতে যোগ দিতে রাজি।
জান্তার দাবি, এপ্রিলের আগে নিয়োগ শুরু হবে না। কিন্তু একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়, জোরপূর্বক নিয়োগ ইতোমধ্যেই সারাদেশে চলছে। জান্তা নিয়োগ আইনের অধীনে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার মানুষকে নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। যোগ না দিলে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
রাজনৈতিক ভাষ্যকার থান সোয়ে নাইং বলেছেন, খসড়া আইনের বাস্তবায়ন ‘জাতির ভয়াবহ অবস্থা’র প্রতিচ্ছবি। মিয়ানমার এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল রাষ্ট্র দাবি করে তিনি বলেন, যুবকরা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছে। অনেকে মুক্ত এলাকায় (বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রণের এলাকা) চলে যেতে চাচ্ছে।
এদিকে, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং এর সহযোগীরা বলেছে, তারা ভামো জেলায় এক সপ্তাহের হামলায় অবশেষে জান্তার ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন ২৩৭ সদরদপ্তর দখল করতে সক্ষম হয়েছে।
কেআইএর মুখপাত্র কর্নেল নাও বু বলেছেন, বৃহস্পতিবার মোমাউক টাউনশিপের দাসাই গ্রামের কাছে ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে, গত সপ্তাহে ২০টিরও বেশি সেনা ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।


























