বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পরিবহনে দূরপাল্লার বাসগুলোর পাশাপাশি অংশ নেবে ঢাকায় চলাচল করা ৫৫০টি বাস। গতকাল সোমবার সকালে মতিঝিল বিআরটিসি ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা গত সপ্তাহে ঈদে উপলক্ষে মিটিং করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ঢাকা শহরে আমাদের ৬০০টি বাস আছে। এখান থেকে ঢাকা শহরের জন্য ৫০টি বাস রেখে বাকি ৫৫০টি বাস ঈদ সার্ভিসে যুক্ত করা হবে। এছাড়া আমাদের বাকি দূরপাল্লার বাসগুলো নিয়মিত চলবে। এবার ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঈদ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পত্রিকায় গণ বিজ্ঞপ্তি আকারে কয়েকদিনের মধ্যেই দিয়ে দেব। তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের বহরের গাড়িগুলোর মাত্র ৩৪টি গাড়ি লিজে আছে। আমরা আর গাড়ি লিজে চালাব না। এটি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে ১ হাজার ৮২৫টি বাসের মধ্যে ৮৮৫টি বাস অনরুট ছিল; ২০২১ সালে ১ হাজার ৭৬২টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ১০৬টি বাস অনরুটি ছিল, ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৩৩টি বাস অনরুটে ছিল এবং ২০২৩ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৫৩টি বাস অনরুটে ছিল।
বিআরটিসি এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসির) একসময়ে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমানে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে’ শীর্ষক ওই মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিআরটিসি একসময়ে অলাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমানে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। লাভের পাশাপাশি সেবা বাড়ানোর চেষ্টায় আমরা কাজ করছি। অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন, বিআরটিসির যাত্রী কমেছে কি না। কিন্তু না, বর্তমানে দ্বিগুণ হয়েছে যাত্রী, আয়ও হচ্ছে দ্বিগুণ। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় যাত্রী ২৫ শতাংশ বেড়েছে। আগে আমরা ছয় কোটি ৩০ লাখ টাকা বেতন দিয়েছি।
তাও আবার চার মাস আগের বকেয়া বেতন। কিন্তু বর্তমানে আমরা ১০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বেতন দিচ্ছি। প্রতি মাসের বেতন প্রতি মাসের ১ তারিখে দিয়ে দিচ্ছি। বেতন-বোনাস সবই পরিশোধ করছি। এ ছাড়া বকেয়া বেতন-বোনাসও পরিশোধ করছি। বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, এখন আমরা লাভজনকভাবে যাত্রা শুরু করেছি। আমরা একটা ওয়েতে আছি, আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের নতুন ডিপো লাভে চলছে, যেখানে অনেক পুরোনো ডিপো এখনো লাভের মুখ দেখেনি। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট স্কুল সার্ভিস চালু হতে চলছে ঢাকায়। ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। আমরা বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল থেকে স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস চালু করব।





















