❖অনলাইন গণস্বাক্ষরে মত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা
❖ প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি ছাত্রলীগ সমর্থক শিক্ষার্থীদের

ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে এ চিত্র উঠে এসেছে। এতে ৯৮ শতাংশের কিছু বেশি শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে ভোট প্রদান করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ব্যাচের (ইন্টারভাল-১৮) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগের এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছে। ‘সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে বুয়েট শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পরিচালিত হয়। এতে বুয়েটের সবগুলো ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা জানান, বুয়েটে বর্তমান শিক্ষার্থী রয়েছেন ৫ হাজার ৮৩২ জন। আমরা বুয়েট কর্তৃক প্রদত্ত মাইক্রোসফট টিমস ফর্মের মাধ্যমে এই কর্মসূচি পরিচালনা করেছি। এর মাধ্যমে আমরা দুইটি জিনিস নিশ্চিত করছি, বর্তমান বুয়েটিয়ান শিক্ষার্থী বাদে কেউ এই ফর্ম পূরণ করতে পারবে না। দ্বিতীয়টি একই স্টুডেন্ট আইডি দিয়ে কেউ এই ফর্ম একবারের বেশি পূরণ করতে পারবে না।

তারা বলেন, এভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পর আমরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অফিসিয়ালি শুরু করি। এতে ৫ হাজার ৭৩৯ জন অর্থাৎ ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ফর্ম পূরণ করে তারা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান জানান দিয়েছেন। তারা একটি ছাত্ররাজনীতিমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস দেখতে চান। যেখানে অবাধে তারা তাদের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারবেন।

এর আগে, গত বুধবার ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে গণভোট আয়োজন করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। সেখানে শিক্ষার্থীদের ৯৭ শতাংশ ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান জানান দেন। এ গণভোটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ৫ হাজার ৮৩৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ৬৮৩ জন পুনরায় ছাত্ররাজনীতি চালুর বিপক্ষে মত দিয়েছেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে খোলা চিঠি দিয়েছেন রাজনীতির পক্ষে থাকা ছয় শিক্ষার্থী।
গতকাল বিকাল ৩টায় বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে সংবাদকর্মীদের সামনে তারা এ আবেদন জানান। লিখিত ওই আর্জিতে তারা বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে তাদের মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

তাদের ভাষ্য, বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতিকে এক প্রকার নিষিদ্ধ কাজ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং আমরা প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তাধারায় বিশ্বাসী এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমরাও অংশ নিতে চাই দেখে আমাদের ক্যাম্পাসে দীর্ঘ একটি সময় ধরে মানসিক নিপীড়ন চলে আসছে, যা বর্তমানে আমাদের জীবনের হুমকিতে রূপ নিয়েছে।