১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া-ইউক্রেনের পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলা

❖ ধ্বংস ৬ জঙ্গিবিমান, নিহত ১০

 

 

রাশিয়ার ১টি বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় ৬টি রুশ বিমান ধ্বংস হয়েছে। হামলায় ২০ জন সেনা সদস্যের হতাহতের খবব পাওয়া গেছে। এদিকে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ান ড্রোন হামলায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে।

দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভের মরোজোভস্ক বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে ৬টি বিমান ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। হামলায় আরো ৮টি বিমান গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘাঁটিতে সাধারণত রাশিয়ার এসইউ-২৭ ও এসইউ-৩৪ বিমান রাখা হয়, যা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফ্রন্টলাইনে ব্যবহার করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী ওই অঞ্চল লক্ষ্য করে ৪০টিরও বেশি ড্রোন ছোড়া হয়েছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে এতগুলো ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর কারণে বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারাতভ, কুর্স্ক, বেলগোরদ ও ক্রাসনোদারেও ড্রোন হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল; কিন্তু সেসব ড্রোনকে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানায় তারা। সম্প্রতি ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার সামরিক ও জ্বালানি ক্ষেত্রগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। এর আগে বারবারই অস্ত্র ও গোলাবারুদের সংকটের কথা বলেছে দেশটি। তবে এ বছর ১০ লাখ ড্রোন তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তারা।

এদিকে খারকিভের মেয়র ইহোর তেরেখভ বলেছেন, শনিবার ভোরে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকসহ বেশ কয়েকটি ভবনে ইরানের তৈরি শাহেদ আঘাত ড্রোন হেনেছে। হামলায় আরো অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনীয় পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত ফটোতে দেখা যায় উদ্ধারকারীদের ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করছে, ক্ষতিগ্রস্ত ও পুড়ে যাওয়া ভবনগুলোও সেখানে দৃশ্যমান। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক, পেট্রোল স্টেশন, প্রশাসনিক ভবন এবং গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আরো চারজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। পূর্বাঞ্চলের শহর খারকিভেও বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ বোমা হামলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

জাপোরিঝিয়ার আঞ্চলিক গভর্নর ইভান ফেদোরভ বলেন, বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন ও ব্যক্তিগত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রথমে ২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। এরপর পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আরও ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। ইউক্রেনের সংবাদ মাধ্যমগুলো অনুসারে, কয়েকজন সংবাদকর্মীও এ হামলায় আহত হয়েছেন।

 

 

 

 

 

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ৬ বেসামরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। গত শনিবার ভোরে এ হামলা করা হয়েছে। টেলিগ্রামে এই তথ্য জানিয়েছেন খারকিভের মেয়র ইহর তেরেখভ। টেলিগ্রাম পোস্টে ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ বলেছে, হামলাটিতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই পোস্টে শহরের রাস্তায় এবং ভবনের পাশে ছড়িয়ে পড়া আগুনের ছবিও যুক্ত ছিল।

তেরেখভ বলেন, হামলাটি আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে। এতে অন্তত ৯টি উচ্চ ভবন, ৩টি ডরমিটরি, বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক ভবন, ১টি দোকান, ১টি পেট্রোল স্টেশন, একটি সার্ভিস স্টেশন এবং গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ফেসবুকে দাবি করেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী রাশিয়ার ছোড়া ৩২টি ড্রোনের মধ্যে ২৮টি এবং ৬টির মধ্যে ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। হামলার পরপরই খারকিভ এবং কিয়েভসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে কয়েক ঘণ্টার জন্য বিমান হামলার সতর্কতা কার্যকর করা হয়। ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভ। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শহরটিতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। বুধবার শহরটিতে ১টি ড্রোন হামলায় চারজন নিহত হন। এ হামলায় শহরটির অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে নিউজ আউটলেট পলিটিকোকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক বলেছেন, মে বা জুন মাসে রাশিয়ার করা যেকোনো নতুন হামলার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হিসেবে খারকিভকে দেখেছেন তিনি।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

রাশিয়া-ইউক্রেনের পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলা

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

❖ ধ্বংস ৬ জঙ্গিবিমান, নিহত ১০

 

 

রাশিয়ার ১টি বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় ৬টি রুশ বিমান ধ্বংস হয়েছে। হামলায় ২০ জন সেনা সদস্যের হতাহতের খবব পাওয়া গেছে। এদিকে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ান ড্রোন হামলায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে।

দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভের মরোজোভস্ক বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে ৬টি বিমান ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। হামলায় আরো ৮টি বিমান গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘাঁটিতে সাধারণত রাশিয়ার এসইউ-২৭ ও এসইউ-৩৪ বিমান রাখা হয়, যা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফ্রন্টলাইনে ব্যবহার করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী ওই অঞ্চল লক্ষ্য করে ৪০টিরও বেশি ড্রোন ছোড়া হয়েছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে এতগুলো ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর কারণে বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারাতভ, কুর্স্ক, বেলগোরদ ও ক্রাসনোদারেও ড্রোন হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল; কিন্তু সেসব ড্রোনকে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানায় তারা। সম্প্রতি ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার সামরিক ও জ্বালানি ক্ষেত্রগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। এর আগে বারবারই অস্ত্র ও গোলাবারুদের সংকটের কথা বলেছে দেশটি। তবে এ বছর ১০ লাখ ড্রোন তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তারা।

এদিকে খারকিভের মেয়র ইহোর তেরেখভ বলেছেন, শনিবার ভোরে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকসহ বেশ কয়েকটি ভবনে ইরানের তৈরি শাহেদ আঘাত ড্রোন হেনেছে। হামলায় আরো অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনীয় পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত ফটোতে দেখা যায় উদ্ধারকারীদের ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করছে, ক্ষতিগ্রস্ত ও পুড়ে যাওয়া ভবনগুলোও সেখানে দৃশ্যমান। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক, পেট্রোল স্টেশন, প্রশাসনিক ভবন এবং গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আরো চারজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। পূর্বাঞ্চলের শহর খারকিভেও বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ বোমা হামলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

জাপোরিঝিয়ার আঞ্চলিক গভর্নর ইভান ফেদোরভ বলেন, বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন ও ব্যক্তিগত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রথমে ২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। এরপর পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আরও ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। ইউক্রেনের সংবাদ মাধ্যমগুলো অনুসারে, কয়েকজন সংবাদকর্মীও এ হামলায় আহত হয়েছেন।

 

 

 

 

 

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ৬ বেসামরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। গত শনিবার ভোরে এ হামলা করা হয়েছে। টেলিগ্রামে এই তথ্য জানিয়েছেন খারকিভের মেয়র ইহর তেরেখভ। টেলিগ্রাম পোস্টে ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ বলেছে, হামলাটিতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই পোস্টে শহরের রাস্তায় এবং ভবনের পাশে ছড়িয়ে পড়া আগুনের ছবিও যুক্ত ছিল।

তেরেখভ বলেন, হামলাটি আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে। এতে অন্তত ৯টি উচ্চ ভবন, ৩টি ডরমিটরি, বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক ভবন, ১টি দোকান, ১টি পেট্রোল স্টেশন, একটি সার্ভিস স্টেশন এবং গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ফেসবুকে দাবি করেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী রাশিয়ার ছোড়া ৩২টি ড্রোনের মধ্যে ২৮টি এবং ৬টির মধ্যে ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। হামলার পরপরই খারকিভ এবং কিয়েভসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে কয়েক ঘণ্টার জন্য বিমান হামলার সতর্কতা কার্যকর করা হয়। ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভ। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শহরটিতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। বুধবার শহরটিতে ১টি ড্রোন হামলায় চারজন নিহত হন। এ হামলায় শহরটির অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে নিউজ আউটলেট পলিটিকোকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক বলেছেন, মে বা জুন মাসে রাশিয়ার করা যেকোনো নতুন হামলার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হিসেবে খারকিভকে দেখেছেন তিনি।