ব্যস্ত শহর ছেড়ে নাড়ীর টানে গ্রামের বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন হাজারো ঘরমুখো মানুষ।ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন বাকি থাকতেই ঢাকা-ময়ৃনসিংহ মহাসড়ক পথে বেড়েছে মানুষ ও যানবাহনের চাপ। তবে মাঝে মাঝে কোথাও কোথাও ভোগান্তির কোনো চিত্র দেখা গেছে।রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকে সড়কে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। ঈদের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে, সড়কে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ ততই বাড়ছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজগুলোয় যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায় কিছু কিছু পয়েন্টে যানবাহন চলেছে ধীর গতিতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। মহাসড়ক দুটির গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নিয়োগ করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক।ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা,বাঘের বাজার,মাওনা চৌরাস্তা,এমসি বাজার, নয়নপুর বাজার,জৈনা বাজার সহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় কথা হয় পোশাকশ্রমিক আলতাফ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কারখানা ছুটি হবে আরও দুদিন পর। তখন বাসে অনেক ভিড় হবে। তাই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়ি রংপুরে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এখনই বাস পেতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। ভাড়াও আগের চেয়ে বেশি নিচ্ছে। তারপরও তাদের পাঠিয়ে দিলাম। কারখানা ছুটি হলে আমার কষ্ট হলেও চলে যেতে পারব।
সরেজমিনে ঘুরে শনিবার রাত ও রোববার দুপুরে ২ টা পর্যন্ত শিল্প অধ্যুষিত শ্রীপুরের মহাসড়কের মাওনা,জৈনা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এলাকায় বাস টার্মিনাল ও কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। আগাম টিকিট সংগ্রহ করা যাত্রীরা আগে থেকেই পরিবার নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন গ্রামে। ভোগান্তি এড়াতে কেউ কেউ আবার পরিবারের সদস্যদের আগেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যারা টিকেট কাটেননি বা টিকেট পাননি, তারাও যাচ্ছেন লোকাল বাসে যাচ্ছেন।শনিবার রাতে জামালপুর যাওয়ার জন্য মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সড়কের পাশে অপেক্ষমান যাত্রী আরিফ হোসেন বলেন, একটু আগেভাগেই পরিবার-পরিজনদের গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। গার্মেন্টস কারখানা ছুটি হলে ৫০০ টাকার ভাড়া ৮ থেকে ৯শ টাকা গুনতে হবে। এছাড়াও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়লে যানজট দেখা দেওয়ারও শঙ্কা রয়েছে, তাই তাদেরকে আগেভাগেই পাঠিয়ে দিচ্ছি। রোববার সকালে শ্রীপুরের এমসি বাজার এলাকা কথা হয় যাত্রী আলাউদ্দিন মিয়ার সঙ্গে, তিনি জানান, আজ দুপুর ১২টার পর পরই শিল্প-কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করা শুরু করতে পারে । তাই ভোগান্তিতে না পড়তে এই সময়টাতেই রওনা দিচ্ছি।রোববার দুপুরের পর থেকে
পুরোপুরি ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে।শনিবার রাতে এমসি বাজার এলাকায় যাত্রী আমিরুল ইসলাম বলেন, ঈদ যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এখনো স্বাভাবিক রয়েছে সবকিছু।
প্রতিবছর কমবেশি যানজট ও ভোগান্তি হয়। এজন্য এবার আগেই বাড়ি যাচ্ছি। মাওনা হাইওয়ে হাইওয়ে থানার ওসি মো.মাহবুব মোর্শদ বলেন, ‘সরকারি ছুটি শুরু না হলেও শনিবার রাত থেকে ঘরমুখো মানুষ গ্রামে যাওয়া শুরু করেছে। যে কারণে রাত থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। শিল্প-কারখানা ছুটি হলে যানবাহনের চাপ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ, থানা-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।





















