গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী মুরগির বাজার এলাকায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। প্রেমের বিয়ের দুই বছর পর রাতভর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরাফাত রহমান শুভর বিরুদ্ধে।সোমবার সকালে গৃহবধূর শোবার ঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী- শাশুড়িকে আটক করেছে থানা পুলিশ।নিহত ওই গৃহবধূর নাম শরিফা আক্তার(২২)।সে তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। তাঁদের ইশরাত জাহান নামে আড়াই বছর বয়সী একটি শিশুকন্যা রয়েছে। আটককৃতরা হলেন, নিহত গৃহবধূর স্বামী আরাফাত রহমান শুভ (২৪) ও শাশুড়ি ইয়াসমিন আক্তার (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,দুই বছর আগে প্রেম করে তাদের বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো। মাঝেমধ্যেই স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন করত।নিহত গৃহবধূর মামা ওমর ফারুক বলেন, বিয়ের পর থেকে প্রায়ই শ্বশুরবাড়ির লোকজন শরিফাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করাতো। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে বাড়িতে আমার ভাগনির কান্নাকাটির আওয়াজ শুনতে পাই। রাতভর আমার ভাগনির উপর শারীরিক নির্যাতন করে। সকাল আটটার দিকে প্রতিবেশীর আমাকে জানায় ভাগনি মারা গেছে।নিহত গৃহবধূর বাবা শফিকুল ইসলাম জানান,২ বছর আগে তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী গ্রামের আরাফাত রহমান শুভর সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দেন।
বিয়ের পর থেকে প্রায়ই শ্বশুরবাড়ির লোকজন শরিফাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করাতো। নির্যাতনের কারণে বেশির ভাগ সময় বাপের বাড়িতে থাকত।গতকাল রাতভর নির্যাতন করে ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনিরুজ্জামান মানিক বলেন,ওদের নিয়ে একাধিক বার ইউনিয়ন পরিষদে শালিশ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী-শাশুড়িকে আটক করে নিয়ে গেছে। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।





















