০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের

ঈদ শেষে ফিরতি যাত্রায় অতিরিক্ত বাস ভাড়া গুনতে হচ্ছে রংপুর থেকে রাজধানীমুখী যাত্রীদের। কাউন্টারে টিকিট নেই এমনটি জানিয়ে কালোবাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করলেও কোনও প্রতিকার মিলছে না। প্রতিবাদ করলে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এতে কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে বিপাকে পড়েছে মানুষ। রংপুর নগরীর কামারপাড়ায় ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুই শতাধিক বাস ঢাকা-চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, টিকিট নিয়ে চলছে বাস মালিক ও শ্রমিকদের নৈরাজ্য। কাউন্টারগুলো থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী কোনও বাসের টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও বাসের টিকিট নেই বলে কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে যাত্রীদের।

 

 

তবে টিকিট নেই বলা হলেও কালোবাজারে বিক্রি চলছে পুরোদমে। কাউন্টারের লোকজন বাইরে দাঁড়িয়ে নন-এসি বাসের ৮০০ টাকার টিকিট ১৫০০ এবং এসি ১৫০০ টাকার টিকিট আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। একাধিক যাত্রী বলেন, কোনও ধরনের আগাম ঘোষণা না দিয়ে টিকিট নেই বলে তাদের জিম্মি করা হয়েছে। আগের দামে টিকিট চাইলে বলে নেই, দ্বিগুণ দাম দিলে বলে আছে। এমন পরিস্থিতিতে দেখার কেউ নেই। মিলছে না কোনও প্রতিকার। এসআর ট্রাভেলস পরিবহনের কাউন্টার থেকে যাত্রীদের জানানো হচ্ছে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এসি কিংবা নন এসি কোনও বাসের টিকিট নেই। জানতে চাইলে কাউন্টারে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা দুলাল হোসেন বলেন, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। না থাকলে কোথা থেকে দেবো যাত্রীদের। ঈদের আগে বা পরে অগ্রিম টিকিট বিক্রির কোনও ঘোষণা কেন দেওয়া হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতে আমাদের কোনও হাত নেই।

 

 

বিষয়টি নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। একইভাবে হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে গেলে যাত্রীদের জানানো হচ্ছে, ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকাগামী কোনও বাসের টিকিট নেই। অথচ দেখা গেলো, কাউন্টারের পাশেই কালোবাজারে দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি করছে কর্মচারীরা। রংপুরের গঙ্গাচড়া থেকে চট্টগ্রামগামী বাসের টিকিট নিতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, কাজে যোগ দিতে হবে টিকিট পাচ্ছি না। এতে মহাবিপদে পড়েছি। কাউন্টারগুলো থেকে জানানো হচ্ছে, এ সপ্তাহে কোনও টিকিট নেই। যাত্রী বেলাল হোসেন বলেন, ঈদের দুদিন আগে কামারপাড়ায় ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে অগ্রিম টিকিট কিনতে এসেছিলেন। তখন কাউন্টার থেকে বলা হয়েছিল, ঈদের পরে আসেন। টিকিটের সমস্যা হবে না। কোনও কাউন্টারে নোটিশ দেওয়া নেই, টিকিট বিক্রি শেষ। আসলে কাউন্টার থেকে টিকিট নেই বলা হলেও তারা তাদের লোকজন দিয়ে কালোবাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। যাত্রীরা বলেন, এসআর ট্রাভেলস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, নাবিল পরিবহন, এনা পরিবহন, রংধনু, শ্যামলী পরিবহন ও আগমনী পরিবহনের ৭০০ টাকার নন-এসি টিকিট ৮৭০ টাকা ও ১৫০০ টাকার এসি টিকিট আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

 

 

কাউন্টারের কর্মচারীরা গোপনে এসব টিকিট বিক্রি করছে। কাউন্টারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলেন, ঢাকা থেকে যাত্রী না থাকায় খালি গাড়ি নিয়ে রংপুরে আসতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচও ঊঠে না। লোকসান কমাতে টিকিটের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। রংপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ স¤পাদক আব্দুল্লাহ বলেন,টিকিট নিয়ে কোনও নৈরাজ্য নেই। প্রকৃতপক্ষে বাসের চেয়ে যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এমনটি হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ঐতিহাসিক নিদর্শন

রংপুরে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের

আপডেট সময় : ০৫:৫১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

ঈদ শেষে ফিরতি যাত্রায় অতিরিক্ত বাস ভাড়া গুনতে হচ্ছে রংপুর থেকে রাজধানীমুখী যাত্রীদের। কাউন্টারে টিকিট নেই এমনটি জানিয়ে কালোবাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করলেও কোনও প্রতিকার মিলছে না। প্রতিবাদ করলে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এতে কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে বিপাকে পড়েছে মানুষ। রংপুর নগরীর কামারপাড়ায় ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুই শতাধিক বাস ঢাকা-চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, টিকিট নিয়ে চলছে বাস মালিক ও শ্রমিকদের নৈরাজ্য। কাউন্টারগুলো থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী কোনও বাসের টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও বাসের টিকিট নেই বলে কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে যাত্রীদের।

 

 

তবে টিকিট নেই বলা হলেও কালোবাজারে বিক্রি চলছে পুরোদমে। কাউন্টারের লোকজন বাইরে দাঁড়িয়ে নন-এসি বাসের ৮০০ টাকার টিকিট ১৫০০ এবং এসি ১৫০০ টাকার টিকিট আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। একাধিক যাত্রী বলেন, কোনও ধরনের আগাম ঘোষণা না দিয়ে টিকিট নেই বলে তাদের জিম্মি করা হয়েছে। আগের দামে টিকিট চাইলে বলে নেই, দ্বিগুণ দাম দিলে বলে আছে। এমন পরিস্থিতিতে দেখার কেউ নেই। মিলছে না কোনও প্রতিকার। এসআর ট্রাভেলস পরিবহনের কাউন্টার থেকে যাত্রীদের জানানো হচ্ছে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এসি কিংবা নন এসি কোনও বাসের টিকিট নেই। জানতে চাইলে কাউন্টারে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা দুলাল হোসেন বলেন, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। না থাকলে কোথা থেকে দেবো যাত্রীদের। ঈদের আগে বা পরে অগ্রিম টিকিট বিক্রির কোনও ঘোষণা কেন দেওয়া হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতে আমাদের কোনও হাত নেই।

 

 

বিষয়টি নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। একইভাবে হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে গেলে যাত্রীদের জানানো হচ্ছে, ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকাগামী কোনও বাসের টিকিট নেই। অথচ দেখা গেলো, কাউন্টারের পাশেই কালোবাজারে দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি করছে কর্মচারীরা। রংপুরের গঙ্গাচড়া থেকে চট্টগ্রামগামী বাসের টিকিট নিতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, কাজে যোগ দিতে হবে টিকিট পাচ্ছি না। এতে মহাবিপদে পড়েছি। কাউন্টারগুলো থেকে জানানো হচ্ছে, এ সপ্তাহে কোনও টিকিট নেই। যাত্রী বেলাল হোসেন বলেন, ঈদের দুদিন আগে কামারপাড়ায় ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে অগ্রিম টিকিট কিনতে এসেছিলেন। তখন কাউন্টার থেকে বলা হয়েছিল, ঈদের পরে আসেন। টিকিটের সমস্যা হবে না। কোনও কাউন্টারে নোটিশ দেওয়া নেই, টিকিট বিক্রি শেষ। আসলে কাউন্টার থেকে টিকিট নেই বলা হলেও তারা তাদের লোকজন দিয়ে কালোবাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। যাত্রীরা বলেন, এসআর ট্রাভেলস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, নাবিল পরিবহন, এনা পরিবহন, রংধনু, শ্যামলী পরিবহন ও আগমনী পরিবহনের ৭০০ টাকার নন-এসি টিকিট ৮৭০ টাকা ও ১৫০০ টাকার এসি টিকিট আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

 

 

কাউন্টারের কর্মচারীরা গোপনে এসব টিকিট বিক্রি করছে। কাউন্টারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলেন, ঢাকা থেকে যাত্রী না থাকায় খালি গাড়ি নিয়ে রংপুরে আসতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচও ঊঠে না। লোকসান কমাতে টিকিটের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। রংপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ স¤পাদক আব্দুল্লাহ বলেন,টিকিট নিয়ে কোনও নৈরাজ্য নেই। প্রকৃতপক্ষে বাসের চেয়ে যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এমনটি হচ্ছে।