বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বা বিসিএসে চাকরি বেশি হচ্ছে ২২-২৫ বছর বয়সি প্রার্থীদের। চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার ক্ষেত্রে এর পরের অবস্থানে রয়েছেন ২৫-২৭ বছর বয়সি প্রার্থীরা।
সম্প্রতি ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩ সালের এই বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসের নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৪১তম বিসিএসে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৩৯ দশমিক ৯০ শতাংশের বয়স ছিল ২৩-২৫ বছর। ২৭ দশমিক ৯৪ শতাংশের বয়স ছিল ২৫-২৭ বছর। এ ছাড়া ২১-২৩ বছর বয়সি ছিলেন ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২৭-২৯ বছর বয়সি ছিলেন ১১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। ২৯ বছরের বেশি বয়সি প্রার্থীদের মধ্যে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছিলেন।
৪৩তম বিসিএসে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্যে ৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রার্থীর বয়স ২৩-২৫ বছর। ৩২ দশমিক ২৭ শতাংশের বয়স ২৫-২৭ বছর। ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশের বয়স ২৭-২৯ বছর। ২১-২৩ বছর বয়সিরা ছিলেন ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ২৯ বছরের বেশি বয়সি প্রার্থীদের মধ্যে সুপারিশ পেয়েছেন ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছেন। ৪১তম বিসিএসে সুপারিশ করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ ছিলেন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। ৪৩তম বিসিএসে সেটি ছিল ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ এই দুই বিসিএসে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এককভাবে বিজ্ঞান বিভাগ তো এগিয়ে রয়েছেই; চিকিৎসা ও প্রকৌশলসহ বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা যুক্ত করলে দেখা যায়, উত্তীর্ণদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। এছাড়া বিবাহিতদের তুলনায় অবিবাহিতরাই বেশি সুপারিশপ্রাপ্ত হচ্ছেন।


























