কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৫ মে) দুপুর সাড়ে ১১টায় ব্যবসায় অনুষদের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শাহদাত তানভীর রাফি বলেন, ‘গত কয়েকদিন যাবত আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের উপর হামলার বিভিন্ন ছবি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। তার পাশাপাশি উপাচার্যের সিধান্তক্রমে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এইসব বিষয়ে আসলে কথা বলার কেউ নাই। এর পাশাশপাশি ভুয়া আইডির মাধ্যমে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানহানিকর নানা ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মাহফুজুর রহমানের নামে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এইসব প্রোপাগান্ডা এবং মাহফুজুর রাহমানের উপর হামলার প্রতিবাদে আজকের এই মানববন্ধন। আমার এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
মানববন্ধনের উপস্থিত মার্কেটিং ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রবি চন্দ্র দাস বলেন, ‘গত ২৮ এপ্রিল আপনারা দেখেছেন যে কিছু অছাত্র বহিরাগত শিক্ষার্থী উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলা করে। প্রতিবার এই অছাত্র বহিরাগত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। এর আগেও আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়, এইবার আমাদের আমাদের শিক্ষকদের উপর হামলা চালিয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি।আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।’
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাহারাতবির হোসেন পাপন মিয়াজী বলেন, ‘শিক্ষকের গায়ে হাত দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা উপাচার্য স্যার। বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। মাননীয় উপাচার্যের হস্তক্ষেপে এই হামলা হয়েছে। মহামান্য আচার্য একজন উপাচার্য নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুষ্ঠু সুন্দর পড়ালেখার পরিবেশ সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের সুন্দর সাবলীল জীবন গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে সে অবস্থা সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য করেছেন তার উল্টোটা। তিনি আসার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তিনি সৃষ্টি করেছেন ত্রাসের রাজত্ব। গত ২৮এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর যে নৃশংস হামলা হয়েছে তার জন্য আজকে আমরা সবাই মানসিকভাবে আহত। উপাচার্য তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করছেন এবং প্রবেশ করে তারঁ নির্দেশে সন্ত্রাসীরা আমাদের শিক্ষকদের কর্মসূচী চলা অবস্থায় তাঁদের উপর হামলা করেছে। সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা সহ পুরো জাতি দেখেছে কীভাবে উপাচার্য শিক্ষকদের উপর হামলা করিয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নানা ভিডিতে দেখেছি উপাচার্য কিভাবে আমাদের শিক্ষকদের উপর কনুই দিয়ে আঘাত করেছে। একজন উপাচার্য কনুই দিয়ে যদি শিক্ষকদের উপর হামলা করতে পারে তাহলে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী কি অবস্থা করতে পারে আমাদের শিক্ষকদের? তিনি এই সন্ত্রাসী বাহিনীকে দিয়ে ভূয়া আইডি তৈরি করে মাহফুজুর রাহমান স্যারের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে তাঁর সম্মানহীন করছে।’

























