পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি 
চলমান তীব্র তাপদাহ ও অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। স্বস্তির দু’ফোঁটা বৃষ্টি ও হিমেল হাওয়ার দেখা নেই কোথাও। তবুও জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে কর্মমূখর মানুষদের। একদিকে অসহনীয় তাপদাহে পুড়ছে, অন্যদিকে শহরের সড়কগুলোতে রিকশা, ট্যাক্সি, মাক্রোবাস, ট্রাকসহ দূরপাল্লার ভাড়ী যানবাহন চলাচলের কারণ প্রচুর পরিমাণ ধুলাবালি উঁড়িয়ে রাস্তার দুপাশের ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও পথচারীদের চোখে মুখে পড়ছে। বাড়ছে বায়ুদূষণ। তবে এক্ষেত্রে সব থেকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ফুটপাতের ধারে বসা উঠতি দোকানপাটগুলো।
এদিকে শহরে বায়ুদূষণ রোধে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌরসভার উদ্যোগে প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পানিবাহী ট্রাকে করে সকাল সন্ধ্যা পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করেছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এতে বায়ুদূষণের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাচ্ছেন পথচারী, ফুটপাতের দোকানদারসহ সকলেই। তবে, জনসাধারণের দাবি, পাঁচবিবি পৌরসভার পানিবাহী ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী। যাঁর ফলে দ্রুত সময়ে শহরের সব রাস্তায় পানি ঢালতে পারেন।
রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসা জুতার কারিগর নিতাই রবিদাস বলেন, একেতো অসহনীয় গরম, তারউপর যানবাহন গেলে ধুলাবালি উঁড়িয়ে ফুটপাতে বসে কাজ করায় যেন দায় হয়ে পড়ে। তবুও জীবিকার তাগিদে শত কষ্ট উপেক্ষা টাকা উপার্জনের জন্য ফুটপাতে বসে জুতা সেলাই করতে হয়। কারন আমরা ভালো জায়গায় বসলে তো আর লোকেরা সেখানে জুতা নিয়ে যাবেনা। ফুটপাতে বসলে সবার নজরে পরে আর জুতা নিয়ে আসে। এখন একটু স্বস্তি মিলেছে। পৌরসভার লোক সকাল সন্ধ্যা পানি ছিটাইয়ে ধুলাবালি কমেছে।
পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র আলহাজ হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চলমান তাপদাহ আরো কিছুদিন চলবে। সেকারনে পৌরবাসী ও পৌরসভার রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পৌরসভার পক্ষ থেকে এই পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে বায়ুদূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এছাড়া রাস্তায় নিয়মিত পানি ঢালার কারনে গরমে রাস্তার বিটুমিন গলে উঠে যাবেনা। রাস্তায় পানি ঢালার কার্যক্রম আগামী বর্ষার আগ মহুর্ত পর্যন্ত চলমান থাকবে বলেও জানান।
