০২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে প্রতিবন্ধী সন্তানকে কুমিরের মুখে ফেলে দিলেন মা

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটক। এই শহরেই বাস করেন রবি কুমার ও সাবিত্রী। তাদের রয়েছে দুটি সন্তান। দুই সন্তানের মধ্যে একজনের নাম বিনোদ। বয়স মাত্র ৬ বছর। বিনোদ ছিল জন্মগতভাবে বধির এবং মূক। মোট কথা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু।

তাকে নিয়ে বাবা রবি কুমার ও মা সাবিত্রীর মাঝে প্রায়ই লেগে থাকত কলহ। সর্বশেষ এ নিয়ে ঝগড়াঝাঁটির পর মা সাবিত্রী ছেলেটিকে কুমিরভর্তি খালে ফেলে দিয়েছেন। পরদিন খাল থেকে শিশুটির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই স্বামী-স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মূলত, ৩২ বছর বয়সী সাবিত্রী বাসাবাড়িতে কাজ করেন। বিনোদকে নিয়ে সাবিত্রীর সঙ্গে প্রায়ই স্বামী রবি কুমারের কলহ চলত।সাবিত্রীর স্বামী রবি কুমার রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ছেলেকে নিয়ে রবি প্রায়ই সাবিত্রীকে কটূক্তি করতেন এবং তাদের ছেলেকে খালে ছুড়ে ফেলতে বলতেন।

অবশেষে, স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে ছেলেকে নিয়ে আবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই দিন ঝগড়ার পর সাবিত্রী তার ছেলেকে উত্তর কন্নড় জেলার খালে নিয়ে গিয়ে কুমিরভর্তি খালে ফেলে দেন।

ভারতে প্রতিবন্ধী সন্তানকে কুমিরের মুখে ফেলে দিলেন মা

আপডেট সময় : ০৭:৩৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটক। এই শহরেই বাস করেন রবি কুমার ও সাবিত্রী। তাদের রয়েছে দুটি সন্তান। দুই সন্তানের মধ্যে একজনের নাম বিনোদ। বয়স মাত্র ৬ বছর। বিনোদ ছিল জন্মগতভাবে বধির এবং মূক। মোট কথা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু।

তাকে নিয়ে বাবা রবি কুমার ও মা সাবিত্রীর মাঝে প্রায়ই লেগে থাকত কলহ। সর্বশেষ এ নিয়ে ঝগড়াঝাঁটির পর মা সাবিত্রী ছেলেটিকে কুমিরভর্তি খালে ফেলে দিয়েছেন। পরদিন খাল থেকে শিশুটির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই স্বামী-স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মূলত, ৩২ বছর বয়সী সাবিত্রী বাসাবাড়িতে কাজ করেন। বিনোদকে নিয়ে সাবিত্রীর সঙ্গে প্রায়ই স্বামী রবি কুমারের কলহ চলত।সাবিত্রীর স্বামী রবি কুমার রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ছেলেকে নিয়ে রবি প্রায়ই সাবিত্রীকে কটূক্তি করতেন এবং তাদের ছেলেকে খালে ছুড়ে ফেলতে বলতেন।

অবশেষে, স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে ছেলেকে নিয়ে আবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই দিন ঝগড়ার পর সাবিত্রী তার ছেলেকে উত্তর কন্নড় জেলার খালে নিয়ে গিয়ে কুমিরভর্তি খালে ফেলে দেন।