০৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় দফায়ও চিন্তা বাড়ল বিজেপির

➤পশ্চিমবঙ্গে চার আসনে ভোট নিয়ে ৩৬১ অভিযোগ
➤হরিয়ানায় পতনের মুখে বিজেপি, কংগ্রেসে গেলেন স্বতন্ত্র ৩ সাংসদ
➤১৮ মাস পর ভারতে রাষ্ট্রদূত পাঠাচ্ছে চীন

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফায় ৯৩টি আসনে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। গত মঙ্গলবার ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটকের কালাবুরাগিতে ভোট দেন। এদিন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়েরও ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে। সাধারণত তৃতীয় দফার ভোট থেকে নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এ দফায় ভোট পড়েছে ৬১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কম ভোট চিন্তায় ফেলেছে বিজেপিকে। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ও ২৬ এপ্রিল দুই দফায় ১৯০টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ হয়। দুই দফায় ভোটের হার ছিল ৬৬ দশমিক ১ ও ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দুই দফায় ভোট পড়েছিল ৬৯ শতাংশ।

 

 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, তৃতীয় দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে আসামে ৭৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এছাড়া গোয়ায় ৭২ দশমিক ৫২ ও পশ্চিমবঙ্গে ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে বিহার, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও গুজরাটে ভোটের হার ছিল অনেক কম। এগুলোতে যথাক্রমে ৫৬, ৫৩, ৫৪ ও ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এগিয়ে থাকবে, নাকি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে যাবে- এ নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। ভারতের লোকসভা নির্বাচনগুলোর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, যেসব নির্বাচনে ভোট কম পড়েছে, সেগুলোতে বিজেপি আসন পেয়েছে কম। তৃতীয় দফার ৯৩টির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের চারটির পাশাপাশি গুজরাটে ২৫, কর্ণাটকে ১৪, মহারাষ্ট্রে ১১, উত্তরপ্রদেশে ১০, মধ্যপ্রদেশে ৯, ছত্তিশগড়ে ৭, বিহারের ৫, আসামে ৪, গোয়ায় ২, দাদরা ও নগর হাভেলির একটি এবং দমন ও দিউয়ের একটি আসন রয়েছে।

 

 

এদিকে তৃতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গের চার আসনে ভোট হয়েছে। ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ। নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল। ৫৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে তৃণমূল, বিজেপি ও কংগ্রেস-বাম জোটের প্রার্থীদের মধ্যে মূল লড়াই হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া চার আসনে ভোট হয়েছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। তবে ভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনে ৩৬১টি অভিযোগ দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে সিপিএমের পক্ষ থেকে ১৫৩টি। মালদহ দক্ষিণের সুজাপুরের একটি ভোটকেন্দ্রে তৃণমূলের কর্মীরা কংগ্রেসের তিন কর্মীকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শমসেরগঞ্জে এক প্রবীণ কংগ্রেস ভোটারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তির পা ভেঙে গেছে। ডোমকল ও বসন্তপুরে কংগ্রেসের ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। মালদহ দক্ষিণের মোথাবাড়ি ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে ভোট দিতে ভোটারদের প্ররোচিত করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।

 

 

কংগ্রেস-সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল এই চার আসনে কংগ্রেস-বাম দলের প্রার্থীদের ভোটদানে বাধা দিয়েছে। কারণ, তৃণমূল মনে করে, এই চার আসনে কংগ্রেস-বাম জোট যত বেশি ভোট পাবে, তত ক্ষতি হবে তৃণমূল প্রার্থীদের। মুর্শিদাবাদ আসনে সেলিমকে ঠেকাতে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে বাধা দিয়েছেন তৃণমূল সমর্থকরা। বের করে দিয়েছেন বাম দলের পোলিং এজেন্টদের। ভোটকেন্দ্রের বাইরে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এরই মধ্যে মুহাম্মদ সেলিম মুর্শিদাবাদের একটি ভোটকেন্দ্রে ঢুকে এক ভুয়া ভোটারকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

 

 

 

অপরদিকে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা ভোটের মাঝেই হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে কংগ্রেসের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিন স্বতন্ত্র বিধায়ক। গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে পক্ষ পরিবর্তনের কথা জানান স্বতন্ত্র বিধায়ক রণধীন গোলান, ধর্মপাল গোন্ডার এবং সোমবীর সিংহ সঙ্গওয়ান। তাঁরা আরও দাবি করেন, রাজ্যের বাদশাপুর থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র আরেক বিধায়ক রাকেশ দৌলতাবাদও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন।

 

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এমন পক্ষ পরিবর্তনের ঘটনায় সরকার গঠনের দুই মাসের মধ্যে হরিয়ানায় চরম সংকটে পড়েছে বিজেপি সরকার। হরিয়ানা বিধানসভার মোট আসনসংখ্যা ৯০টি। এর মধ্যে বর্তমানে দুটি আসন খালি থাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য সেখানে প্রয়োজন ৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন। বিজেপির মোট বিধায়কের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৪০ জন। এর আগে চারজন স্বতন্ত্র বিধায়কের পাশাপাশি রাজ্যটির লোকহিত পার্টির গোপাল কান্ডাও বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছিল। তারই ভিত্তিতে ৪৫টি আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। অন্যদিকে বিরোধী শিবিরে কংগ্রেসের ৩০, জেজেপির ১০ এবং আইএনএলডিতে ১ জন বিধায়ক রয়েছেন। এবার চারজন স্বতন্ত্র বিধায়ক কংগ্রেসকে সমর্থন জানানোর ফলে বিরোধী শিবিরের মোট বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৫। অন্যদিকে বিজেপির সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪১ জন। এর ফলে বিজেপি সরকারের পতন এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় হরিয়ানার ১০টি লোকসভা আসনের সবগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে। তার আগেই রাজ্য সরকার পতনের মুখে পড়ায় গেরুয়া শিবিরের ওপর চাপ যথেষ্ট বাড়ল।

 

 

১৮ মাস পর ভারতে রাষ্ট্রদূত পাঠাচ্ছে চীন :
অবশেষে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই চীনা রাষ্ট্রদূতের নাম ঘোষণা করেছে বেইজিং। ১৮ মাস পর শি ফেইহং নামে একজন কূটনীতিককে দিল্লিতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠাচ্ছে চীন। শিগগির তিনি দিল্লিতে এসে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানা গেছে। এর আগে তিনি আফগানিস্তানে চীনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। রোমানিয়াতেও চীনা রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী। এদিকে ফেইহং যে ভারতে নিযুক্ত হতে চলা পরবর্তী চীনা রাষ্ট্রদূত, তা দাবি করা হয়েছিল জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত রিপোর্টেই। তবে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা এবং যাবতীয় নিয়মকানুন ঝুলে ছিল বেশ কয়েক মাস। এই আবহে ঠিক কবে নাগাদ ফেইহং দিল্লিতে এসে নিজের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। এর আগে ভারতে চীনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন সান ওয়েইডং। তিনি ২০২২ সালের অক্টোবরে ভারত ছেড়েছিলেন। এরপর থেকে নতুন করে আর কোনো রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেনি বেইজিং। ওদিকে চীনা রাষ্ট্রদূত দিল্লিতে এলে বিষয়টিকে আপাতত ভালো চোখেই দেখবে সাউথ ব্লক। তবে এতে সীমান্ত পরিস্থিতি যে শুধরে যাবে, এমন আশা করছে না ভারত।

২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস

তৃতীয় দফায়ও চিন্তা বাড়ল বিজেপির

আপডেট সময় : ০৭:০০:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

➤পশ্চিমবঙ্গে চার আসনে ভোট নিয়ে ৩৬১ অভিযোগ
➤হরিয়ানায় পতনের মুখে বিজেপি, কংগ্রেসে গেলেন স্বতন্ত্র ৩ সাংসদ
➤১৮ মাস পর ভারতে রাষ্ট্রদূত পাঠাচ্ছে চীন

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফায় ৯৩টি আসনে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। গত মঙ্গলবার ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটকের কালাবুরাগিতে ভোট দেন। এদিন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়েরও ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে। সাধারণত তৃতীয় দফার ভোট থেকে নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এ দফায় ভোট পড়েছে ৬১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কম ভোট চিন্তায় ফেলেছে বিজেপিকে। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ও ২৬ এপ্রিল দুই দফায় ১৯০টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ হয়। দুই দফায় ভোটের হার ছিল ৬৬ দশমিক ১ ও ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দুই দফায় ভোট পড়েছিল ৬৯ শতাংশ।

 

 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, তৃতীয় দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে আসামে ৭৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এছাড়া গোয়ায় ৭২ দশমিক ৫২ ও পশ্চিমবঙ্গে ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে বিহার, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও গুজরাটে ভোটের হার ছিল অনেক কম। এগুলোতে যথাক্রমে ৫৬, ৫৩, ৫৪ ও ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এগিয়ে থাকবে, নাকি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে যাবে- এ নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। ভারতের লোকসভা নির্বাচনগুলোর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, যেসব নির্বাচনে ভোট কম পড়েছে, সেগুলোতে বিজেপি আসন পেয়েছে কম। তৃতীয় দফার ৯৩টির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের চারটির পাশাপাশি গুজরাটে ২৫, কর্ণাটকে ১৪, মহারাষ্ট্রে ১১, উত্তরপ্রদেশে ১০, মধ্যপ্রদেশে ৯, ছত্তিশগড়ে ৭, বিহারের ৫, আসামে ৪, গোয়ায় ২, দাদরা ও নগর হাভেলির একটি এবং দমন ও দিউয়ের একটি আসন রয়েছে।

 

 

এদিকে তৃতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গের চার আসনে ভোট হয়েছে। ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ। নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল। ৫৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে তৃণমূল, বিজেপি ও কংগ্রেস-বাম জোটের প্রার্থীদের মধ্যে মূল লড়াই হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া চার আসনে ভোট হয়েছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। তবে ভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনে ৩৬১টি অভিযোগ দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে সিপিএমের পক্ষ থেকে ১৫৩টি। মালদহ দক্ষিণের সুজাপুরের একটি ভোটকেন্দ্রে তৃণমূলের কর্মীরা কংগ্রেসের তিন কর্মীকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শমসেরগঞ্জে এক প্রবীণ কংগ্রেস ভোটারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তির পা ভেঙে গেছে। ডোমকল ও বসন্তপুরে কংগ্রেসের ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। মালদহ দক্ষিণের মোথাবাড়ি ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে ভোট দিতে ভোটারদের প্ররোচিত করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।

 

 

কংগ্রেস-সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল এই চার আসনে কংগ্রেস-বাম দলের প্রার্থীদের ভোটদানে বাধা দিয়েছে। কারণ, তৃণমূল মনে করে, এই চার আসনে কংগ্রেস-বাম জোট যত বেশি ভোট পাবে, তত ক্ষতি হবে তৃণমূল প্রার্থীদের। মুর্শিদাবাদ আসনে সেলিমকে ঠেকাতে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে বাধা দিয়েছেন তৃণমূল সমর্থকরা। বের করে দিয়েছেন বাম দলের পোলিং এজেন্টদের। ভোটকেন্দ্রের বাইরে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এরই মধ্যে মুহাম্মদ সেলিম মুর্শিদাবাদের একটি ভোটকেন্দ্রে ঢুকে এক ভুয়া ভোটারকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

 

 

 

অপরদিকে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা ভোটের মাঝেই হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে কংগ্রেসের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিন স্বতন্ত্র বিধায়ক। গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে পক্ষ পরিবর্তনের কথা জানান স্বতন্ত্র বিধায়ক রণধীন গোলান, ধর্মপাল গোন্ডার এবং সোমবীর সিংহ সঙ্গওয়ান। তাঁরা আরও দাবি করেন, রাজ্যের বাদশাপুর থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র আরেক বিধায়ক রাকেশ দৌলতাবাদও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন।

 

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এমন পক্ষ পরিবর্তনের ঘটনায় সরকার গঠনের দুই মাসের মধ্যে হরিয়ানায় চরম সংকটে পড়েছে বিজেপি সরকার। হরিয়ানা বিধানসভার মোট আসনসংখ্যা ৯০টি। এর মধ্যে বর্তমানে দুটি আসন খালি থাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য সেখানে প্রয়োজন ৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন। বিজেপির মোট বিধায়কের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৪০ জন। এর আগে চারজন স্বতন্ত্র বিধায়কের পাশাপাশি রাজ্যটির লোকহিত পার্টির গোপাল কান্ডাও বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছিল। তারই ভিত্তিতে ৪৫টি আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। অন্যদিকে বিরোধী শিবিরে কংগ্রেসের ৩০, জেজেপির ১০ এবং আইএনএলডিতে ১ জন বিধায়ক রয়েছেন। এবার চারজন স্বতন্ত্র বিধায়ক কংগ্রেসকে সমর্থন জানানোর ফলে বিরোধী শিবিরের মোট বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৫। অন্যদিকে বিজেপির সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪১ জন। এর ফলে বিজেপি সরকারের পতন এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় হরিয়ানার ১০টি লোকসভা আসনের সবগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে। তার আগেই রাজ্য সরকার পতনের মুখে পড়ায় গেরুয়া শিবিরের ওপর চাপ যথেষ্ট বাড়ল।

 

 

১৮ মাস পর ভারতে রাষ্ট্রদূত পাঠাচ্ছে চীন :
অবশেষে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই চীনা রাষ্ট্রদূতের নাম ঘোষণা করেছে বেইজিং। ১৮ মাস পর শি ফেইহং নামে একজন কূটনীতিককে দিল্লিতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠাচ্ছে চীন। শিগগির তিনি দিল্লিতে এসে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানা গেছে। এর আগে তিনি আফগানিস্তানে চীনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। রোমানিয়াতেও চীনা রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী। এদিকে ফেইহং যে ভারতে নিযুক্ত হতে চলা পরবর্তী চীনা রাষ্ট্রদূত, তা দাবি করা হয়েছিল জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত রিপোর্টেই। তবে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা এবং যাবতীয় নিয়মকানুন ঝুলে ছিল বেশ কয়েক মাস। এই আবহে ঠিক কবে নাগাদ ফেইহং দিল্লিতে এসে নিজের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। এর আগে ভারতে চীনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন সান ওয়েইডং। তিনি ২০২২ সালের অক্টোবরে ভারত ছেড়েছিলেন। এরপর থেকে নতুন করে আর কোনো রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেনি বেইজিং। ওদিকে চীনা রাষ্ট্রদূত দিল্লিতে এলে বিষয়টিকে আপাতত ভালো চোখেই দেখবে সাউথ ব্লক। তবে এতে সীমান্ত পরিস্থিতি যে শুধরে যাবে, এমন আশা করছে না ভারত।