০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরে মায়ের হত্যার বিচার চাইলেন দুই শিশু সন্তান

মাদারীপুরে মা ঈশিতা আলী হত্যার বিচার চাইলেন দুই শিশু সন্তান মরিয়ম এবং রাইয়ান। রবিবার দুপুরে হত্যা মামলার আসামীদের বিচার ও গ্রেফতারের দাবীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ার ভাঙ্গা গ্রামের ৮ মাসের অন্তঃসত্ত¡া গৃহবধু ঈশিতা আলী নির্যাতন করে হত্যা করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে এই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। পরবর্তীতে নিহতের ভাই সোহেল মাতুব্বর বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে গত ২২ এপ্রিল মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা করে। সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী ও নিহতের পরিবার অভিযোগ করেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামীদের রহস্যজনক কারনে গ্রেফতার করছেনা না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহতের ভাই সোহেল মাতুব্বর, সাব্বির মাতুব্বর এবং নিহতের দুই শিশু সন্তান মরিয়ম (১০) ও রাইয়ার(৮)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের সিদ্দিকখোলা গ্রামের আইয়ুব আলী মাতুব্বরের মেয়ে ঈশিতা আলীর সঙ্গে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের এনামুল ঢালীর। এর কয়েক বছর পর ভাসুর টুকু ঢালী, ভাসুরের স্ত্রী খাদিজা বেগমের সঙ্গে পারিবারিক কলহ শুরু হয় ঈশিতার। এর জেরে ২০ এপ্রিল টুকু ঢালীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অন্তঃসত্ত¡া ঈশিতারকে নির্যাতন করে। রাতেই মারা যান আট মাসের অন্তঃসত্তা ঈশিতা।
ঈশিতার ভাই সোহেল মাতুব্বর বলেন, “আমার বোনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে মেরে ফেরেছে। সেই ঘটনায় আমি  মামলা করলেও পুলিশ আসামীদের ধরছে না। আমি এর বিচার চাই। নিহতের আরেক ভাই সাব্বির বলেন, আমার বোনকে মেরে ফেলেছে। সেই ঘটনায় আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আমরা আদালতে মামলা করি। এরপরও পুলিশ আসামীদের ধরছে না। মামলার তদন্তকর্মকর্তা আসামীদের কাছ থেকে অর্থিক সুবিধা নিয়ে আসামীদের বাচানোর চেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহতের ১০ বছর বয়সী মেয়ে মরিয়ম এবং ৮ বছর বয়সী ছেলে রাইয়ান। এসময় নিহতের মেয়ে মরিয়ম বলেন, আমার চাচা টুকু ঢালী আমার মাকে মারধর করেছে। পরে মা মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই। একই দাবী করেন ছেলে রাইয়ান। তিনিও মায়ের হত্যাকারীদের বিচার দাবী করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদারীপুর সদর মডেল থানার এসআই হাসিব বলেন,নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে কারনে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছি। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামীদের কাছ থেকে অর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদগাঁওয়ে ৪৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণের প্রস্তুতি ও কার্যক্রম শুরু

মাদারীপুরে মায়ের হত্যার বিচার চাইলেন দুই শিশু সন্তান

আপডেট সময় : ০৭:২০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
মাদারীপুরে মা ঈশিতা আলী হত্যার বিচার চাইলেন দুই শিশু সন্তান মরিয়ম এবং রাইয়ান। রবিবার দুপুরে হত্যা মামলার আসামীদের বিচার ও গ্রেফতারের দাবীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ার ভাঙ্গা গ্রামের ৮ মাসের অন্তঃসত্ত¡া গৃহবধু ঈশিতা আলী নির্যাতন করে হত্যা করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে এই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। পরবর্তীতে নিহতের ভাই সোহেল মাতুব্বর বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে গত ২২ এপ্রিল মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা করে। সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী ও নিহতের পরিবার অভিযোগ করেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামীদের রহস্যজনক কারনে গ্রেফতার করছেনা না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহতের ভাই সোহেল মাতুব্বর, সাব্বির মাতুব্বর এবং নিহতের দুই শিশু সন্তান মরিয়ম (১০) ও রাইয়ার(৮)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের সিদ্দিকখোলা গ্রামের আইয়ুব আলী মাতুব্বরের মেয়ে ঈশিতা আলীর সঙ্গে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের এনামুল ঢালীর। এর কয়েক বছর পর ভাসুর টুকু ঢালী, ভাসুরের স্ত্রী খাদিজা বেগমের সঙ্গে পারিবারিক কলহ শুরু হয় ঈশিতার। এর জেরে ২০ এপ্রিল টুকু ঢালীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অন্তঃসত্ত¡া ঈশিতারকে নির্যাতন করে। রাতেই মারা যান আট মাসের অন্তঃসত্তা ঈশিতা।
ঈশিতার ভাই সোহেল মাতুব্বর বলেন, “আমার বোনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে মেরে ফেরেছে। সেই ঘটনায় আমি  মামলা করলেও পুলিশ আসামীদের ধরছে না। আমি এর বিচার চাই। নিহতের আরেক ভাই সাব্বির বলেন, আমার বোনকে মেরে ফেলেছে। সেই ঘটনায় আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আমরা আদালতে মামলা করি। এরপরও পুলিশ আসামীদের ধরছে না। মামলার তদন্তকর্মকর্তা আসামীদের কাছ থেকে অর্থিক সুবিধা নিয়ে আসামীদের বাচানোর চেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহতের ১০ বছর বয়সী মেয়ে মরিয়ম এবং ৮ বছর বয়সী ছেলে রাইয়ান। এসময় নিহতের মেয়ে মরিয়ম বলেন, আমার চাচা টুকু ঢালী আমার মাকে মারধর করেছে। পরে মা মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই। একই দাবী করেন ছেলে রাইয়ান। তিনিও মায়ের হত্যাকারীদের বিচার দাবী করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদারীপুর সদর মডেল থানার এসআই হাসিব বলেন,নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে কারনে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছি। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামীদের কাছ থেকে অর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।