কক্সবাজার এর উখিয়ায় সম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে হত্যাকান্ডের নেপথ্যে থাকা বাংলাদেশে আরসার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক ও কমান্ডার মোঃ শাহনুর প্রকাশ মাস্টার সলিম’সহ দুইজন আরসা সন্ত্রাসী কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন লাল পাহাড়ে আরসার আস্তানা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ০৫টি গ্রেনেড, ০৩টি রাইফেল গ্রেনেড, ১০টি দেশীয় তৈরী হ্যান্ড গ্রেনেড, ১৩টি ককটেল, ০১টি বিদেশী রিভলবার, ০৯ রাউন্ড 9MM পিস্তলের এ্যামুনিশন, ০১টি এলজি এবং ০৩টি ১২ বোর কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আরসা সন্ত্রাসীরা হলেন,মোঃ শাহনুর প্রকাশ মাস্টার সলিম (৩৮), পিতা-সৈয়দুল আবেরা, মাতা-ছুরিয়া বিবি, ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প, উখিয়া, কক্সবাজার। (২) মোঃ রিয়াজ (২৭), পিতা-মৃত মোহাম্মদ নুর, মাতা-জোহরা বেগম, ০৮/ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক-এ/২৩, বালুখালী, উখিয়া, কক্সবাজার।
র্যাব এর লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং’র পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ঘটনাস্থলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতদের বরাতে জানান, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত পার্শ্ববর্তী দেশের নাগরিক এবং মোঃ শাহনুর প্রকাশ মাস্টার সলিম ২০১৭ সালের পার্শ্ববর্তী দেশ হতে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং ক্যাম্প-১৫ এ বসবাস শুরু করে। সে পার্শ্ববর্তী দেশে থাকাকালীন সেখানকার জোন কমান্ডারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল।
এছাড়াও আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির দেহরক্ষী হিসেবে দুই মাস দায়িত্ব পালন করে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে ২০১৭ সালে আসার পর মৌলভী আকিজের মাধ্যমে আরসায় পুনরায় যোগদান করে।উল্লেখ যে, সন্ত্রাস বিরোধী বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে আরসার সামরিক কমান্ডার হাফেজ নূর মোহাম্মদ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুস, গান কমান্ডার রহিমুল্লাহ প্রকাশ মূছা, অর্থ সমন্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ প্রকাশ নোমান চৌধুরী ও আবু তৈয়ব, কিলার গ্রুপের প্রধান নূর কামাল প্রকাশ সমিউদ্দিন, ইন্টেলিজেন্স সেল এর কমান্ডার ওসমান গনি র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়।
এছাড়াও লজিস্টিক শাখার প্রধান, গান গ্রুপের প্রধান, অর্থ শাখার প্রধান এবং আরসা প্রধান নেতা আতাউল্লাহর দেহরক্ষী আকিজ’সহ সর্বমোট ১১০ জন আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এ পর্যন্ত । তাদের নিকট থেকে ৫১.৭১ কেজি বিস্ফোরক, ১২টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, ৫৩টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৩ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ, ৬৭ রাউন্ড খালি খোসা, ০৪টি আইডি ও ৩৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।





















