জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি স্টেশনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোরগ্যাংয়ের ৬ সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত ১০ টার দিকে নরুন্দি স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। আটকৃত কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার সাইদুর ইসলামের ছেলে জকিরুল ইসলাম (১৫), একই এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন (১৮), রফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিব হোসেন (২০), নুরুল ইসলামের ছেলে রাকিব হাসান (১৮), বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো.শিহাব উদ্দিন ও একই উপজেলার ডওয়াখোলা এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে শাকিল আহম্মেদ (১৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মুক্তাগাছা পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে মারার উদ্দেশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের ওই ছয় সদস্য পিয়ারপুর স্টেশন থেকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশনগামী কমিউটার ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনে তাকে খোঁজে না পেয়ে নরুন্দি স্টেশনে নেমে পড়েন।
নরুন্দি স্টেশনে নেমে কিশোরগ্যাংয়ের ওই ছয় সদস্য ট্রেনের বগিতে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। এ সময় ওই ট্রেনে থাকা যাত্রীরা আতংকে ট্রেনের জানালা বন্ধ করে দিলে জানালা ভাংচুর করে। ট্রেনের জানালা ভাংচুর ও কোপানোর বিষয়টি ওই স্টেশনের ওয়াচম্যান দুলাল হোসাইনের নজরে আসে। ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ার সিগনাল দিলে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ট্রেনের বগিতে কোপানোর বিষয়টি ওই স্টেশনের ওয়াচম্যানকে জানান এবং ওই ছয়জনকে নজরে রাখেন।
পরে ওয়াচম্যান সহকারী স্টেশন মাস্টারকে বিষয়টি জানান। সহকারী স্টেশন মাস্টার তাদেরকে ডাকতে বলেন। পরে তিনি তাদের ডাকতে গেলে তারা আসতে চায় না। পরে স্থানীয় যুবকরা এবং ওয়াচম্যান তাদেরকে আটক করে সহকারী স্টেশন মাস্টারের কাছে নিয়ে আসেন। এসময় কিশোরগ্যাংয়ের ছয় যুবকের কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন। পরে নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘যেহেতু ঘটনাটি রেলবিভাগের, আমরা আটক কিশোরদের বিষয়টি রেলওয়ে থানার পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যাবে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানায় মামলা হবে। তবে যে ছাত্রের সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে, তাকে চিহ্নিত করা যায়নি।’
এবিষয়ে জানতে জামালপুর জিআরপি পুলিশের ওসিকে ফোন দেয়া হলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।





















