০৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্নিঝড় রেমালের প্রভাবে ৩৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ঘূর্নিঝড় “রেমাল” এর প্রভাবে টানা ৩৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাত ৯ টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে বি.আই.ডব্লিউ.টি.সি কর্তৃপক্ষ। এরপর মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় পরিবেশ শান্ত হলে টানা ৩৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল শুরু হয়। এর জন্য দৌলতদিয়া ফেরি পারাপার হতে আসা যানবাহন ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, রোববার দুপুরের পর থেকেই ঘূর্নিঝড় “রেমাল” এর প্রভাবে হালকা বৃষ্টিসহ ঝড়োবাতাসে নদীতে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। বিকেলের পর থেকে বাতাসের গতি বেড়ে গেলে রাত ৯ টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। বাতাসের গতি কমে গেলে টানা ৩৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ফেরি ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নদী পাড়ি দিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরোপয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত লাইনে অপেক্ষা করছে। আটকে থাকা যানবাহনের চালক ও সহোযোগিরা গাড়িতেই বসে আছেন। বৃষ্টির কারনে গাড়ি থেকে নেমে বাইরে যাবেন তারও উপায় নাই। ফেরি ঘাটের সংযোগ সড়কে কিছু গাড়ির সাথে বেশকিছু যাত্রী কখন ফেরি চালু হবে সে জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকেই ঝুকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে উঠে নদী পারি দিতে চাইছেন।

কুমারখালি থেকে রাত ৮ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন মিলন মাহমুদ। রাত ১০ টার দিকে তাদের গাড়িটি বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া বুকিং কাউন্টারে এসে জানতে পারেন ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে তিনিসহ অন্যসব যাত্রীরা বাসেই বসে থাকেন। তিনি বলেন, ঢাকায় জরুরি কাজ থাকায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই রওনা করেছেন। কিন্তু ঘাটে এসে আটকে থাকতে হবে কে জানতো। কখন নদী পার হবে তা জানা নেই তার। গাড়ি থেকে নেমে অন্য উপায়ে নদী পারি দেয়ারো উপায় নেই। কারন তার সাথে তার স্ত্রী আর এক সন্তান রয়েছে। আজকের মধ্যে ঢাকা পৌছাতে না পারলে কাজটাই হয়তো করা হবে না। কিন্তু ফেরি বন্ধের কারনে এখনও ঘাট পারি দিতেই পারলাম না। যেতে যেতে কয়টা বাজবে কে জানে।

কুমারখালি থেকে দুপুর আড়াইটায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে রোজিনা পরিবহন। চালক মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া বুকিং কাউন্টারের সামনে এসে জানতে পারেন ফেরি চলাচল বন্ধ। সেই থেকে গাড়িতেই বসে আছেন তিনিসহ যাত্রীরা। তাদের গাড়ির রুট পারমিট না থাকায় পদ্মা সেতু দিয়েও যেতে পারছেন না তার গাড়ি।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, রোববার দিবাগত রাত ৯টা থেকে ঘূর্নিঝড় “রেমাল” এর কারনে নৌ দূর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। চলাচলরত সকল ফেরি দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া প্রান্তে নোঙর করে ছিলো। মঙ্গলবার সকালে ঝড়ো বাতাস না থাকায় ৯ টা থেকে পারাপার স্বাভাবিক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

ঘূর্নিঝড় রেমালের প্রভাবে ৩৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ঘূর্নিঝড় “রেমাল” এর প্রভাবে টানা ৩৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাত ৯ টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে বি.আই.ডব্লিউ.টি.সি কর্তৃপক্ষ। এরপর মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় পরিবেশ শান্ত হলে টানা ৩৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল শুরু হয়। এর জন্য দৌলতদিয়া ফেরি পারাপার হতে আসা যানবাহন ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, রোববার দুপুরের পর থেকেই ঘূর্নিঝড় “রেমাল” এর প্রভাবে হালকা বৃষ্টিসহ ঝড়োবাতাসে নদীতে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। বিকেলের পর থেকে বাতাসের গতি বেড়ে গেলে রাত ৯ টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। বাতাসের গতি কমে গেলে টানা ৩৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ফেরি ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নদী পাড়ি দিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরোপয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত লাইনে অপেক্ষা করছে। আটকে থাকা যানবাহনের চালক ও সহোযোগিরা গাড়িতেই বসে আছেন। বৃষ্টির কারনে গাড়ি থেকে নেমে বাইরে যাবেন তারও উপায় নাই। ফেরি ঘাটের সংযোগ সড়কে কিছু গাড়ির সাথে বেশকিছু যাত্রী কখন ফেরি চালু হবে সে জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকেই ঝুকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে উঠে নদী পারি দিতে চাইছেন।

কুমারখালি থেকে রাত ৮ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন মিলন মাহমুদ। রাত ১০ টার দিকে তাদের গাড়িটি বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া বুকিং কাউন্টারে এসে জানতে পারেন ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে তিনিসহ অন্যসব যাত্রীরা বাসেই বসে থাকেন। তিনি বলেন, ঢাকায় জরুরি কাজ থাকায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই রওনা করেছেন। কিন্তু ঘাটে এসে আটকে থাকতে হবে কে জানতো। কখন নদী পার হবে তা জানা নেই তার। গাড়ি থেকে নেমে অন্য উপায়ে নদী পারি দেয়ারো উপায় নেই। কারন তার সাথে তার স্ত্রী আর এক সন্তান রয়েছে। আজকের মধ্যে ঢাকা পৌছাতে না পারলে কাজটাই হয়তো করা হবে না। কিন্তু ফেরি বন্ধের কারনে এখনও ঘাট পারি দিতেই পারলাম না। যেতে যেতে কয়টা বাজবে কে জানে।

কুমারখালি থেকে দুপুর আড়াইটায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে রোজিনা পরিবহন। চালক মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া বুকিং কাউন্টারের সামনে এসে জানতে পারেন ফেরি চলাচল বন্ধ। সেই থেকে গাড়িতেই বসে আছেন তিনিসহ যাত্রীরা। তাদের গাড়ির রুট পারমিট না থাকায় পদ্মা সেতু দিয়েও যেতে পারছেন না তার গাড়ি।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, রোববার দিবাগত রাত ৯টা থেকে ঘূর্নিঝড় “রেমাল” এর কারনে নৌ দূর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। চলাচলরত সকল ফেরি দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া প্রান্তে নোঙর করে ছিলো। মঙ্গলবার সকালে ঝড়ো বাতাস না থাকায় ৯ টা থেকে পারাপার স্বাভাবিক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।