০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চারঘাট সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৫০ লক্ষাধিক টাকার ফেনসিডিল ও ইয়াবা পাচার

রাজশাহীর চারঘাট সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৫০ লক্ষাধিক টাকার ফেনসিডিল ও ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে। চারঘাটের নন্দনগাছি হয়ে পুঠিয়ায় শাহবাজপুর, কান্দ্রা, দুদুরমোড় কলনী(গুচ্ছ গ্রাম) এখন ফেনসিডিল পাচারেরর নিরাপদ রুট। ভারতীয় মাদক দ্রব্য ফেনসিডিল, ইয়াবায় ছেড়েগেছে সমগ্র রাজশাহীর শহর- বন্দর,এমন কোন গ্রাম নেই যে  এই সর্বনাশি নেশা নেই। যুব ও তরুন সমাজই নয় মধ্যবয়সী ছেলে ও মেয়েরাও প্রতি নিয়ত ঝুকে পড়েছে এই নেশায়। সকল বাধা নিষেধ অপেক্ষা করে চারঘাটের সীমা›ত ঘাটগুলো দিয়ে ছুটে আসছে এদেশের আনাচে কানাচে। সীমাšত দিয়ে রাতা রাতি ছুটে আসছে পুঠিয়া থানার জামিরিয়া,শিবপুর, মাহেন্দ্রা,বেলপুকুর, ঝলমলিয়া, পুঠিয়া বাজার, বিড়ালদহ,বানেশ^ও এলাকায়। এসব গ্রাম গুলিতে রয়েছে শতশত মহাজন। এসব মহাজনরা এখান থেকে ঢাকাসহ এদেশের বিভিন্ন্ স্থানে পাচার করে থাকে । সীমাšত দিয়ে অভিনব সব উপায় অবলম্বন করে গড়ে তুলছে ফেনসিডিলের পাহাড় এবং এখান থেকে সমগ্র রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে। পদ্মা নদীর চর দিয়ে আশা প্রতিদিন হাজার-হাজার বোতল ফেনসিডিল ও ইয়াবা রাজশাহীতে আসছে। এসব ফেনসিডিল কখনো নৌকায় আবার কখনো বিশেষ প্রক্রিয়ায় বালিশ বানিয়ে ভেসে ভেসে ওপাশ থেকে এ পাশে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফেন্সিডিল ব্যবসাীয় জানান, ভারত থেকে ফেন্সিডিল আনতে খরচ হয় প্রতি বোতল ফেনসিডিল ৬৫-৭০ টাকা। পদ্মার পাড় ঘেষে যাদের বাড়ি, তারা ঘাটের লেবার থেকে এখন হয়েছে বড় বড় মহাজন। এরা কুড়ে ঘর থেকে তৈরী করছে ইট, পাথরের বাড়ি। রাজশাহীসহ এদেশের বিভিন্ন স্থানে শাহর, বন্দর,গ্রামে ফেনসিডিল বিক্রি করে প্রতি পিস ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। এসব মহাজনরা সবাই বর্তমান সরকার দলকে সমর্থন করেন কিন্তু এরা কেউ নেতা নন।পুলিশ প্রশাসন প্রতি মাসেই মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে কিছু কিছু ফেনসিডিল আটক করে থানায় নিয়ে আসে কিন্তু কোন ফেনসিডিল পাচার কারীদের আটক করেন না। এরা এখান থেকে ঢাকা যোগাযোগ করে সুযোগ মতো ঢাকায় প্রেরন করেন এবং তাদের সঙ্গে চুক্তি করেন।  প্রথমত তাদের নিরাপদ রুট গুলি বেছেনেন। তারপর বাস, মাইক্রো বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে যাত্রী বেশে রাত দিন ফেনসিডিল ও ইয়াবা পাচার করে থাকেন। তবে রাতের বেলাই মাদক বেশি পাচার হয়ে থাকে বলে জানান। এখন ফেনসিডিল পাচার হচেছ এক অভিনব কায়দায় পাষ্টিক জারের তলা কেটে ৩০০-৪৩০ বোতল দিয়ে চিটাগুড় দিয়ে ভরে তারপর তলা লাগিয়ে তলা লাগিয়ে মুুখ দিয়ে আবার চিটাগুড় ঢেলে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে নিজেস্ব ড্রাইভার দিয়ে চালান হয় সে সব গাড়ি। যদি পথে পুলিশ  আটকায় তখন টোকেন ও নাম্বার দিয়ে কিছু সেলামি দিলেই ঢাকায় পৌছে যায়। এক্ষেত্রে কোন মহাজন চালানের সাথে থাকে না।  এরা সবায় অšতরালে থেকেই সব কিছু নিয়ন্ত্রন করেন। এভাবেই দিনের পর দিন চলছে এদের রমরমা মাদক ব্যবসা। । #
জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

চারঘাট সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৫০ লক্ষাধিক টাকার ফেনসিডিল ও ইয়াবা পাচার

আপডেট সময় : ১১:০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
রাজশাহীর চারঘাট সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৫০ লক্ষাধিক টাকার ফেনসিডিল ও ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে। চারঘাটের নন্দনগাছি হয়ে পুঠিয়ায় শাহবাজপুর, কান্দ্রা, দুদুরমোড় কলনী(গুচ্ছ গ্রাম) এখন ফেনসিডিল পাচারেরর নিরাপদ রুট। ভারতীয় মাদক দ্রব্য ফেনসিডিল, ইয়াবায় ছেড়েগেছে সমগ্র রাজশাহীর শহর- বন্দর,এমন কোন গ্রাম নেই যে  এই সর্বনাশি নেশা নেই। যুব ও তরুন সমাজই নয় মধ্যবয়সী ছেলে ও মেয়েরাও প্রতি নিয়ত ঝুকে পড়েছে এই নেশায়। সকল বাধা নিষেধ অপেক্ষা করে চারঘাটের সীমা›ত ঘাটগুলো দিয়ে ছুটে আসছে এদেশের আনাচে কানাচে। সীমাšত দিয়ে রাতা রাতি ছুটে আসছে পুঠিয়া থানার জামিরিয়া,শিবপুর, মাহেন্দ্রা,বেলপুকুর, ঝলমলিয়া, পুঠিয়া বাজার, বিড়ালদহ,বানেশ^ও এলাকায়। এসব গ্রাম গুলিতে রয়েছে শতশত মহাজন। এসব মহাজনরা এখান থেকে ঢাকাসহ এদেশের বিভিন্ন্ স্থানে পাচার করে থাকে । সীমাšত দিয়ে অভিনব সব উপায় অবলম্বন করে গড়ে তুলছে ফেনসিডিলের পাহাড় এবং এখান থেকে সমগ্র রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে। পদ্মা নদীর চর দিয়ে আশা প্রতিদিন হাজার-হাজার বোতল ফেনসিডিল ও ইয়াবা রাজশাহীতে আসছে। এসব ফেনসিডিল কখনো নৌকায় আবার কখনো বিশেষ প্রক্রিয়ায় বালিশ বানিয়ে ভেসে ভেসে ওপাশ থেকে এ পাশে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফেন্সিডিল ব্যবসাীয় জানান, ভারত থেকে ফেন্সিডিল আনতে খরচ হয় প্রতি বোতল ফেনসিডিল ৬৫-৭০ টাকা। পদ্মার পাড় ঘেষে যাদের বাড়ি, তারা ঘাটের লেবার থেকে এখন হয়েছে বড় বড় মহাজন। এরা কুড়ে ঘর থেকে তৈরী করছে ইট, পাথরের বাড়ি। রাজশাহীসহ এদেশের বিভিন্ন স্থানে শাহর, বন্দর,গ্রামে ফেনসিডিল বিক্রি করে প্রতি পিস ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। এসব মহাজনরা সবাই বর্তমান সরকার দলকে সমর্থন করেন কিন্তু এরা কেউ নেতা নন।পুলিশ প্রশাসন প্রতি মাসেই মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে কিছু কিছু ফেনসিডিল আটক করে থানায় নিয়ে আসে কিন্তু কোন ফেনসিডিল পাচার কারীদের আটক করেন না। এরা এখান থেকে ঢাকা যোগাযোগ করে সুযোগ মতো ঢাকায় প্রেরন করেন এবং তাদের সঙ্গে চুক্তি করেন।  প্রথমত তাদের নিরাপদ রুট গুলি বেছেনেন। তারপর বাস, মাইক্রো বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে যাত্রী বেশে রাত দিন ফেনসিডিল ও ইয়াবা পাচার করে থাকেন। তবে রাতের বেলাই মাদক বেশি পাচার হয়ে থাকে বলে জানান। এখন ফেনসিডিল পাচার হচেছ এক অভিনব কায়দায় পাষ্টিক জারের তলা কেটে ৩০০-৪৩০ বোতল দিয়ে চিটাগুড় দিয়ে ভরে তারপর তলা লাগিয়ে তলা লাগিয়ে মুুখ দিয়ে আবার চিটাগুড় ঢেলে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে নিজেস্ব ড্রাইভার দিয়ে চালান হয় সে সব গাড়ি। যদি পথে পুলিশ  আটকায় তখন টোকেন ও নাম্বার দিয়ে কিছু সেলামি দিলেই ঢাকায় পৌছে যায়। এক্ষেত্রে কোন মহাজন চালানের সাথে থাকে না।  এরা সবায় অšতরালে থেকেই সব কিছু নিয়ন্ত্রন করেন। এভাবেই দিনের পর দিন চলছে এদের রমরমা মাদক ব্যবসা। । #