যশোরের অভয়নগরে আফরোজা বেগম (৪০) নামে এক নারী পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আফরোজা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের জলিল মোল্লার স্ত্রী। নিহতের ছেলে মুন্নার অভিযোগ, ঘুষের টাকা না পেয়ে পুলিশ তার মাকে নির্যাতনে হত্যা করেছে। পুলিশ বলছে, শনিবার রাতে ইয়াবাসহ আফরোজাকে আটক করা হয়েছিলো। রোববার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের ছেলে মুন্না সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একটি মহলের ইন্ধনে পুলিশের এসআই শিলন ও শামছুর রহমান শনিবার রাত ১২টার দিকে তাদের বাড়িতে যান। এসময় পুলিশের কাছে থাকা ইয়াবা দিয়ে তার মাকে ফাঁসানো হয়। সময় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য মায়ের চুল ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে মারধর করে। অভিযানের নামে বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করাসহ ইজিবাইক বিক্রির ১ লাখ টাকা ৮০ হাজার টাকা গায়েব করা হয় ।
মুন্না আরও জানান, রাত আড়াইটার দিকে তার মাকে (আফরোজা) থানায় নিয়ে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। ঘুষের টাকা দিতে না পারায় পুলিশ ব্যাপক নির্যাতন করে। নির্যাতনে তার মা মারা গেছেন বলে অভিযোগ মুন্নার।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, আফরোজাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা হবে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আকিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,শনিবার রাতে ৩০ পিস ইয়াবাসহ আফরোজাকে আটক করা হয়। রোববার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু পথিমধ্যে তিনি মারা যান। নিহতের ছেলে মুন্না পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
অভয়নগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ইয়াবাসহ আটক আফরোজা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।





















