১০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
টাকা দিয়ে ভোটার হচ্ছে রোহিঙ্গা

কক্সবাজার নির্বাচন অফিসে ভোটার হতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক 

Oplus_0

২ লক্ষ টাকার চুক্তিতে নির্বাচন কমিশনে ফিংগার দিতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক। আটক যুবক জাহেদ উল্লাহ(২২) উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৭ এর বাসিন্দা।
৫ জুন, বুধবার বিকেলে নির্বাচন অফিসে ভোটার হতে এসে তিনি ধরা পড়ে।
 কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপুর ওয়ার্ড হতে  ভোটার হওয়ার জন্য এসেছে এমন সংবাদ এর ভিত্তিতে। কক্সবাজার পৌরসভা কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপু কক্সবাজার নির্বাচন অফিসে বসে সিসিটিভি চেক করতে গিয়ে সন্দেহ হলে রোহিঙ্গা যুবক জাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে জাহেদ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা বেস্টনি ভেঙে কক্সবাজার এসে ভোটার হতে গিয়ে ধরা পাড়া জাহেদ উল্লাহ’র কাছে জানতে চাইলে বলেন মালেশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশী দালালের মাধ্যমে সে ভোটার হতে চেয়েছিল। মফিজ এবং জুহুরা নামে দুই দালালের মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড তৈরী করতে এসেছে। ইতোমধ্যে সে দালালদের ১ লক্ষ টাকার প্রদান করেছে এবং কাজ হলে বাকি টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করেছে।
এই বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপু জানান, তিনি নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানতে পারে তার ওয়ার্ডের হয়ে দালালের মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে ভোটার হতে আসছে কতিপয় রোহিঙ্গা। পরে সন্দেহের ভিত্তিতে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা ফাইলগুলো চেক করার সময় কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে কাউন্সিলর টিপুর সহযোগীরা তাকে ধরে ফেলে। পরে জিজ্ঞেসাবাদে অকপটে সবকিছু স্বীকার করে। এছাড়া সে আরও জানায় মালয়েশিয়া যাবার উদ্দেশ্যে মফিজ ও জহুরা নামে ব্যাক্তির মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে সে বাংলাদেশী ভোটার হতে চেয়েছিলেন।
একটি বিশ্বস্থ্য সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর জাহেদা ও তার পিএস মফিজ রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ, প্রত্যয়ন পত্রসহ একাধিক সরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজত্র লাখ লাখ টাকার মাধ্যমে সৃজন করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আটক রোহিঙ্গা যুবকের সকল কাগজপত্র, প্রত্যায়ন পত্রে  মহিলা কাউন্সিলর জাহেদা আক্তারের স্বাক্ষর ও শীল রয়েছে।
এই বিষয়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সালাউদ্দিন সেতু জানান, কক্সবাজার পৌরসভায় দালালে ভরে গেছে। যার ফলে প্রতি কদমে কদমে মানুষ তাদের কবলে পড়ছে। এই বিষয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। ওই রোহিঙ্গা যুবককে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

টাকা দিয়ে ভোটার হচ্ছে রোহিঙ্গা

কক্সবাজার নির্বাচন অফিসে ভোটার হতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক 

আপডেট সময় : ০৮:০৩:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
২ লক্ষ টাকার চুক্তিতে নির্বাচন কমিশনে ফিংগার দিতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক। আটক যুবক জাহেদ উল্লাহ(২২) উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৭ এর বাসিন্দা।
৫ জুন, বুধবার বিকেলে নির্বাচন অফিসে ভোটার হতে এসে তিনি ধরা পড়ে।
 কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপুর ওয়ার্ড হতে  ভোটার হওয়ার জন্য এসেছে এমন সংবাদ এর ভিত্তিতে। কক্সবাজার পৌরসভা কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপু কক্সবাজার নির্বাচন অফিসে বসে সিসিটিভি চেক করতে গিয়ে সন্দেহ হলে রোহিঙ্গা যুবক জাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে জাহেদ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা বেস্টনি ভেঙে কক্সবাজার এসে ভোটার হতে গিয়ে ধরা পাড়া জাহেদ উল্লাহ’র কাছে জানতে চাইলে বলেন মালেশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশী দালালের মাধ্যমে সে ভোটার হতে চেয়েছিল। মফিজ এবং জুহুরা নামে দুই দালালের মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড তৈরী করতে এসেছে। ইতোমধ্যে সে দালালদের ১ লক্ষ টাকার প্রদান করেছে এবং কাজ হলে বাকি টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করেছে।
এই বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপু জানান, তিনি নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানতে পারে তার ওয়ার্ডের হয়ে দালালের মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে ভোটার হতে আসছে কতিপয় রোহিঙ্গা। পরে সন্দেহের ভিত্তিতে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা ফাইলগুলো চেক করার সময় কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে কাউন্সিলর টিপুর সহযোগীরা তাকে ধরে ফেলে। পরে জিজ্ঞেসাবাদে অকপটে সবকিছু স্বীকার করে। এছাড়া সে আরও জানায় মালয়েশিয়া যাবার উদ্দেশ্যে মফিজ ও জহুরা নামে ব্যাক্তির মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে সে বাংলাদেশী ভোটার হতে চেয়েছিলেন।
একটি বিশ্বস্থ্য সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর জাহেদা ও তার পিএস মফিজ রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ, প্রত্যয়ন পত্রসহ একাধিক সরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজত্র লাখ লাখ টাকার মাধ্যমে সৃজন করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আটক রোহিঙ্গা যুবকের সকল কাগজপত্র, প্রত্যায়ন পত্রে  মহিলা কাউন্সিলর জাহেদা আক্তারের স্বাক্ষর ও শীল রয়েছে।
এই বিষয়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সালাউদ্দিন সেতু জানান, কক্সবাজার পৌরসভায় দালালে ভরে গেছে। যার ফলে প্রতি কদমে কদমে মানুষ তাদের কবলে পড়ছে। এই বিষয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। ওই রোহিঙ্গা যুবককে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে।