০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক হাতের মঞ্জিল ও তার জীবন সংগ্রামের উপাখ্যান

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 107

সাইদুর রহমান তসলিম,মনোহরদী (নরসিংদী)

গার্মেন্টসে কাজে গিয়ে কমপ্রেসার মেশিনে এক হাত কাটা পড়ে মঞ্জিলের। কিন্তু পেট এসব বাহানা মানতে নারাজ। তার দাবী ও প্রয়োজনে এক হাতে অটো চালকের পেশা নিয়ে রাস্তায় নামতে হয় তাকে। সেটুকুও সয়নি তার বেশীদিন। ঋন করা টাকায়  অটো কিনে আবার ঋন শোধতেই বেচতে হয় অটো। তারপরই নামতে হলো শীতের চিতই পিঠে বানানো ও বিক্রির পেশায়।এই করেই চলছে এখন চলছে মঞ্জিলের সংসার,কোন রকমে না চলার মতো করে।

মনোহরদী উপজেলার উত্তর মনতলা গ্রামের মৃত চাঁনমিয়ার পুত্র মঞ্জিল (৩৪)। আগে ঢাকায় গার্মেন্টসে কর্মী ছিলেন তিনি। কর্মকালীন এক দুর্ঘটনায় বাম হাত কাটা পড়ে তার। সেই থেকেই এক হাতে জীবন যুদ্ধে নামতে হলো তাকে। এক হাতে অটো চালিয়ে কখনো ঢাকা, কখনো নরসিংদী,টঙ্গীসহ দেশের নানা স্থানও রাস্তায় ঘুরতে হয়েছে তাকে।এনজিওর ঋন দিয়ে অটো কেনা তার।এ অবস্থায়  এক দিকে সংসার, অন্যদিকে ঋনের কিস্তি। ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে শেষে অটো বেচে দায়মুক্তি নিতে হলো তাকে। নতুন করে ফের অটো কিনবে সে সামর্থ্য নেই তার। কিন্তু পেট সে কথা শুনবে কেন? তার দাবী ক্ষুন্নিবৃত্তি নিবারন। ফলে সে কথা মেনে হয়েছেন শীতের পিঠে বিক্রেতা।গ্রামের রাস্তার ধারে বসে চিতই পিঠে বানিয়ে বেচেন সকাল সন্ধ্যে। এ থেকে লদ্ধ আয়ে চলে মা বৌসহ ৩ জনের সংসার। জায়গা-জমি বলতে আছে শুধু  ভিটেটুকু। নতুন অটো কিনে পথে নামবে সে সঙ্গতি নেই তার। ফলে চিতই বেচার আয়েই সংসার চলে তার কোনরকমে একেবারে না চলার মতো করে।তবুও আশা শীতের চিতই বেচা টাকা জমিয়ে অটো কেনা হবে একদিন। তাহলে আরেকটু স্বচ্ছলতা,আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন ফিরে পেতে আশা তার।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

এক হাতের মঞ্জিল ও তার জীবন সংগ্রামের উপাখ্যান

আপডেট সময় : ১২:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সাইদুর রহমান তসলিম,মনোহরদী (নরসিংদী)

গার্মেন্টসে কাজে গিয়ে কমপ্রেসার মেশিনে এক হাত কাটা পড়ে মঞ্জিলের। কিন্তু পেট এসব বাহানা মানতে নারাজ। তার দাবী ও প্রয়োজনে এক হাতে অটো চালকের পেশা নিয়ে রাস্তায় নামতে হয় তাকে। সেটুকুও সয়নি তার বেশীদিন। ঋন করা টাকায়  অটো কিনে আবার ঋন শোধতেই বেচতে হয় অটো। তারপরই নামতে হলো শীতের চিতই পিঠে বানানো ও বিক্রির পেশায়।এই করেই চলছে এখন চলছে মঞ্জিলের সংসার,কোন রকমে না চলার মতো করে।

মনোহরদী উপজেলার উত্তর মনতলা গ্রামের মৃত চাঁনমিয়ার পুত্র মঞ্জিল (৩৪)। আগে ঢাকায় গার্মেন্টসে কর্মী ছিলেন তিনি। কর্মকালীন এক দুর্ঘটনায় বাম হাত কাটা পড়ে তার। সেই থেকেই এক হাতে জীবন যুদ্ধে নামতে হলো তাকে। এক হাতে অটো চালিয়ে কখনো ঢাকা, কখনো নরসিংদী,টঙ্গীসহ দেশের নানা স্থানও রাস্তায় ঘুরতে হয়েছে তাকে।এনজিওর ঋন দিয়ে অটো কেনা তার।এ অবস্থায়  এক দিকে সংসার, অন্যদিকে ঋনের কিস্তি। ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে শেষে অটো বেচে দায়মুক্তি নিতে হলো তাকে। নতুন করে ফের অটো কিনবে সে সামর্থ্য নেই তার। কিন্তু পেট সে কথা শুনবে কেন? তার দাবী ক্ষুন্নিবৃত্তি নিবারন। ফলে সে কথা মেনে হয়েছেন শীতের পিঠে বিক্রেতা।গ্রামের রাস্তার ধারে বসে চিতই পিঠে বানিয়ে বেচেন সকাল সন্ধ্যে। এ থেকে লদ্ধ আয়ে চলে মা বৌসহ ৩ জনের সংসার। জায়গা-জমি বলতে আছে শুধু  ভিটেটুকু। নতুন অটো কিনে পথে নামবে সে সঙ্গতি নেই তার। ফলে চিতই বেচার আয়েই সংসার চলে তার কোনরকমে একেবারে না চলার মতো করে।তবুও আশা শীতের চিতই বেচা টাকা জমিয়ে অটো কেনা হবে একদিন। তাহলে আরেকটু স্বচ্ছলতা,আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন ফিরে পেতে আশা তার।