০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাকিবের চলচ্চিত্রে অপুর সুযোগ পাওয়ার গোপন তথ্য ফাঁস

প্রায় ২০ বছর আগের ঘটনা, নাচের অনুষ্ঠান করতে বগুড়া থেকে মাঝে-মধ্যে মায়ের সঙ্গে ঢাকায় আসতেন অপু বিশ্বাস। ঠিক তখনই এফ আই মানিকের ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান অপু। যেই ছবি দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু হয় এই ঢাকাই চিত্রনায়িকার। ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা হওয়ারই ডাক পেয়েছিলেন অপু। তখন শাকিব খানের খ্যাতি এখনকার সময়ের মতো না হলেও শাকিবের সঙ্গে পর্দা ভাগ করা একেবারে কম কিছুও ছিল না অপুর জন্য। তাই তো শাকিবের সঙ্গে জুটি বাঁধা সেই সিনেমায় কীভাবে নায়িকার কাজ জুটল, তার ঘটনাটি এক সাক্ষাৎকারে স্মৃতিচারণ করেছিলেন অপু বিশ্বাস।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তার একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে কাজ নিয়ে গল্প বলছেন। সাক্ষাৎকারে অপু জানান, সিনেমাটির কাজ শুরু করার পরিকল্পনা নিয়ে ঈদের দিন শাকিবের বাসায় আলোচনা করা হয়। সেখানে সবাই একত্র হয়ে এদিন শাকিবের বাসায় আড্ডায় মজেছিলেন। এরপর তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। জিজ্ঞাসা করা হয়, কে এই মেয়েটা; তার সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হোক।

নায়িকা আরও জানান, প্রস্তাবের সেই আলাপনটি ফোন কলে আসে এবং সেই কলটি গ্রহণ করেছিল অপুর পরিবারের কেউ একজন। এরপরই না কী অপুর বাসায় একরকম অস্বাভাবিক-নিস্তব্ধতা বিরাজ করতে থাকে বলে জানান নায়িকা। অপুর ভাষ্য, ওরা বলেছিলেন, আরে মেয়েটা তো সুন্দর দেখতে। কোথায় থাকে, খোঁজ বের করো। বগুড়ায় থাকে? সেখানে কী করে, এই করে তা করে জানতে চায়। এরপর ঈদের পরের দিন ফোন চলে আসে। সেই কলে বলা হয়, আমরা একটা ‘কোটি টাকার কাবিন’ নামে ছবির কাজ করছি, আপনার মেয়েকে ভালো লেগেছে। সে যদি ফুল ফ্রেমের নায়িকা হতে যায়, তাহলে কাজটি করাব।

অপু আরও বলেন, এটি শুনেই আমার বাড়িতে যেন হরতাল, ধর্মঘট, স্ট্রাইক, যা কিছু আছে, তা চলতে থাকলো। বাবা আরেক ঘরে, মা আরেক ঘরে, যেন মনে হচ্ছে বাড়িতে ডাকাত পড়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস জুটিবদ্ধ হওয়া সেই ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবি ২০০৬ সালে মুক্তি পায়। এবং মুক্তির পরই তাদের প্রথম ছবিতেই এই জুটির বাজিমাত হয়। ছবিটির সফলতা তাদের ঢালিউডে সফল জুটির আসন গড়ে দেয়। তারপর একাধারে একসঙ্গে পথচলা। মানে স্থায়ী জুটির তকমা পেয়ে যান তারা; হয়ে ওঠেন জনপ্রিয়ও।

জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

শাকিবের চলচ্চিত্রে অপুর সুযোগ পাওয়ার গোপন তথ্য ফাঁস

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

প্রায় ২০ বছর আগের ঘটনা, নাচের অনুষ্ঠান করতে বগুড়া থেকে মাঝে-মধ্যে মায়ের সঙ্গে ঢাকায় আসতেন অপু বিশ্বাস। ঠিক তখনই এফ আই মানিকের ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান অপু। যেই ছবি দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু হয় এই ঢাকাই চিত্রনায়িকার। ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা হওয়ারই ডাক পেয়েছিলেন অপু। তখন শাকিব খানের খ্যাতি এখনকার সময়ের মতো না হলেও শাকিবের সঙ্গে পর্দা ভাগ করা একেবারে কম কিছুও ছিল না অপুর জন্য। তাই তো শাকিবের সঙ্গে জুটি বাঁধা সেই সিনেমায় কীভাবে নায়িকার কাজ জুটল, তার ঘটনাটি এক সাক্ষাৎকারে স্মৃতিচারণ করেছিলেন অপু বিশ্বাস।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তার একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে কাজ নিয়ে গল্প বলছেন। সাক্ষাৎকারে অপু জানান, সিনেমাটির কাজ শুরু করার পরিকল্পনা নিয়ে ঈদের দিন শাকিবের বাসায় আলোচনা করা হয়। সেখানে সবাই একত্র হয়ে এদিন শাকিবের বাসায় আড্ডায় মজেছিলেন। এরপর তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। জিজ্ঞাসা করা হয়, কে এই মেয়েটা; তার সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হোক।

নায়িকা আরও জানান, প্রস্তাবের সেই আলাপনটি ফোন কলে আসে এবং সেই কলটি গ্রহণ করেছিল অপুর পরিবারের কেউ একজন। এরপরই না কী অপুর বাসায় একরকম অস্বাভাবিক-নিস্তব্ধতা বিরাজ করতে থাকে বলে জানান নায়িকা। অপুর ভাষ্য, ওরা বলেছিলেন, আরে মেয়েটা তো সুন্দর দেখতে। কোথায় থাকে, খোঁজ বের করো। বগুড়ায় থাকে? সেখানে কী করে, এই করে তা করে জানতে চায়। এরপর ঈদের পরের দিন ফোন চলে আসে। সেই কলে বলা হয়, আমরা একটা ‘কোটি টাকার কাবিন’ নামে ছবির কাজ করছি, আপনার মেয়েকে ভালো লেগেছে। সে যদি ফুল ফ্রেমের নায়িকা হতে যায়, তাহলে কাজটি করাব।

অপু আরও বলেন, এটি শুনেই আমার বাড়িতে যেন হরতাল, ধর্মঘট, স্ট্রাইক, যা কিছু আছে, তা চলতে থাকলো। বাবা আরেক ঘরে, মা আরেক ঘরে, যেন মনে হচ্ছে বাড়িতে ডাকাত পড়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস জুটিবদ্ধ হওয়া সেই ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবি ২০০৬ সালে মুক্তি পায়। এবং মুক্তির পরই তাদের প্রথম ছবিতেই এই জুটির বাজিমাত হয়। ছবিটির সফলতা তাদের ঢালিউডে সফল জুটির আসন গড়ে দেয়। তারপর একাধারে একসঙ্গে পথচলা। মানে স্থায়ী জুটির তকমা পেয়ে যান তারা; হয়ে ওঠেন জনপ্রিয়ও।