বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক জারিকৃত তিন দফা দাবি পূরন না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণী কক্ষে ফেরা হবেনা বলে জানান ফায়েকুজ্জামান মিয়া। তিনি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণ করার বিষয়েও কার্যক্রম চলছে বলে জানা যায়।
সোমবার(৮জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সর্বাত্মক কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বাত্মক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকে ষষ্ঠ দিনের মত আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরকে প্রত্যয় স্কিমে অর্ন্তভূক্তি থেকে বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন এবং সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি নিয়ে আমাদের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
শিক্ষক সমিতির চলমান কর্মসূচির কারনে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতি আদৌ পূরন হবে কিনা? এমন প্রশ্নে জবাবে ফায়েকুজ্জামান বলেন, আমরা যে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছি সেটি কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একার না। এই সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে আমরা সেগুলো দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি পালন করবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরন করার জন্য ইতিমধ্যে আমরা বিভাগগুলোতে যোগাযোগ করছি। বিভাগীয় সভাপতিদেরকে এবিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। শিক্ষকদের দাবি পূরন হওয়ার সাথে সাথে তাদের শ্রেণী কার্যক্রম এবং পরীক্ষা নিয়ে নিতে হবে।
শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি নিয়ে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বশির উদ্দীন বলেন, আমরা শিক্ষার্তীদের ক্ষতি চাইনা। কিন্তু দাবি পূরন না হওয়া পর্যন্ত আমরা শ্রেণী কক্ষে যেতে পারছিনা। তিনি বলেন, শিক্ষকদের দাবী পূরন না হলে বর্তমান কর্মসূচির থেকে আরো কঠোরসূচি গ্রহণ করা হতে পারে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম এবং মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়া কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানা যায়, গত ১৩ই মার্চ জারিকৃত ‘প্রত্যয় স্কিম’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের জন্য আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ৩০ জুন শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করে। তবে ওই তারিখে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত ছিলো। এরপর গত ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন শুরু করে শিক্ষকরা। এতে ক্লাস, পরীক্ষা, দাপ্তরিক কাজসহ সবকিছু বন্ধ থাকে। অচল হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা।


























