কর্মচা ল্য বাড়তে শুরু করেছে রংপুরের থানাগুলোতে। ট্রাফিক পুলিশও কাজে যোগ দেয়ায় শৃঙ্খলা ফিরেছে নগরীতে। আস্থা ফেরাতে পুলিশ সদস্যদের সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনসেবা প্রদান করা প্রয়োজন। আস্থা ফেরানো পুলিশের জন্য এখন বড় চ্যালেন্স। তবে বিশ্লেষকগণ বলেন, হারানো ভাবমূর্তি ফেরাতে জনসেবায় গুরুত্ব দিতে হবে পুলিশ সদস্যদের। সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে সেবা নিশ্চিতের মাধমে পুলিশের ওপর সবার আস্থা ফেরাতে হবে। রংপুর নগরীতে দেখা যায়, সাত দিন বিরতি কাটিয়ে আবারও মাঠে নেমেছেন পুলিশ সদস্যরা। তবে এখনও শিক্ষার্থীরা সহায়ক হিসেবে রয়েছে তাদের পাশে। শুধু নগরীর শৃঙ্খলাই নয় এমনকি নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতেও গেল কয়েক দিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের প্রয়োজনে সড়ক নিরাপদ রাখাটা তদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। দেশের এই অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে সাধারণ মানুষ যানজটের মুখে পড়ছে। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের সাহায্য করতে সড়কে নেমেছি। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সুত্রে জানা যায়, পুলিশের ওপর জনগণের আস্থা যেন ফিরে আসে এ জন্য তাদের সঙ্গে নিয়ে হারানো গৌরব ফেরাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করছেন পুলিশ। অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ বলেন, ভাবমূর্তি ফেরাতে সত্যিকার অর্থেই পুলিশ সদস্যদেরকে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রশাসনকে নিয়ে আমরা যেন দলবাজি ও হীন স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত না হই সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে। গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. রোকনুজ্জামান বলেন, জনগণের পুলিশকে সেবক হয়ে কাজ করতে হবে। এখানে কোনো অন্যায়-অবিচার করা যাবে না। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদ ত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর ৬ আগস্ট থেকে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাসহ কয়েক দফা দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলো বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন।তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাসের পর কাজে ফিরেছেন পুলিশ সদস্যরা।