০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেঁধে দেওয়া সময়ে ভিসি পদত্যাগ না থাকলে যবিপ্রবি অচল!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ও তার অনুসারীদের পদত্যাগের দাবিকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। একই সাথে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। আল্টিমেটাম দেয়া সময়ের মধ্যে ড. আনোয়ার হোসেন পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। নতুন করে একগচ্ছ আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তারা। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন কর্মসূচি বন্ধ হবেনা। নিয়োগে বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির রেকর্ড তৈরি করা ভিসি ড. আনোয়ার হোসেনকে ভিসি পদে আর দেখতে চাইছেন না ক্ষুব্ধ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২০ মে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগদান করেন। চাকরির প্রথম মেয়াদে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ৫৫ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে তিনি ২০২১ সালের ১৯ মে ভিসি পদের মেয়াদ শেষ করেন। একই বছরের ১ জুন অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন দ্বিতীয় মেয়াদে ভিসির দায়িত্ব পান।

অভিযোগ উঠেছে, নানা দুর্নীতির মধ্যে তিনি যবিপ্রবির ১৪ লিফট স্থাপন নিয়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়ম করে আলোচিত হন। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আর লিফটকাণ্ডে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা বাসিন্দা আব্দুল করিম। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) রয়েছে ড. আনোয়ার হোসেনের দুর্নীতির ফাইল।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগ ও সরকার পতনের পর থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। কোথাও কোথাও পদত্যাগ করেছেন প্রক্টর, প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রায় সবাই। তবে দুর্নীতির অভিযুক্ত যবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর পদত্যাগ না করায় হতবাক ও ক্ষুদ্ধ হয়েছেন অনেকে। ফলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী ভিসি ও ভিসির অনুসারী হিসাবে পরিচিত ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. ইকবাল কবির জাহিদসহ উপাচার্যের অনুসারীদের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।  গত ৭ আগস্ট যবিপ্রবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষকরা জোটবদ্ধ হন। ওই দিন তারা ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.আনিসুর রহমানের সাথে আনুষ্ঠানকি আলোচনা করেন। আলোচনায় বৈষম্য বিরোধী শিক্ষকরা ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের নানা অনিয়ম দুর্নীতর বিষয় তুলে ধরেন। ভিসির পছন্দের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রামরাজত্ব কায়েম করেন বলেও বৈষম্য বিরোধীরা দাবি করেন।

গত ১০ আগস্ট ড. আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। যদিও একটি পক্ষ তাদের বিক্ষোভ সমাবেশ পন্ড করে দেন।  এরপর ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।

তারা গত ১৩ আগস্ট ভিসি ও তার অনুসারীদের  পদত্যাগের দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় ভিসিকে সাবেক প্রধান মন্ত্রীর দালাল আখ্যায়িত মিছিল বের করা হয়। ক্যাম্পাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, শেখ হাসিনা ম্যুরাল ভাংচুর করে তারা।

পরের দিন ১৪ আগস্ট ফের বিক্ষোভ মিছিল (‘মার্চ টু প্রশাসনিক ভবন’) করে শিক্ষার্থীরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন বলে ক্ষমতার জানান দেয়া ড. আনোয়ার হোসেনকে  ১৭ আগস্ট শনিবারের মধ্যে তাকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু এখনো তিনি দায়িত্বে বহাল রয়েছেন। এতে করে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ উসামাহ জানান, দেশ থেকে স্বৈরাচার দূর করতে পারলেও যবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে এখনো পর্যন্ত স্বৈরাচার দূর করতে পারিনি। স্বৈরাচার দালাল ভিসির কাছে কোনো প্রকার দাবি আমরা রাখতে চাই না। আমাদের একটাই দাবি স্বৈরাচার ভিসি, প্রক্টর, হল প্রভোস্টসহ সকল দালালদের পদত্যাগ করতে হবে।

ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন জানান, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ভিসিসহ তার অনুসারীরা পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।

যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, ভাইস চ্যান্সেলর ড. আনোয়ার হোসেন দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেকটা পেছনে নিয়ে গেছেন। তিনি পছন্দের কিছু লোকজন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির রামরাজত কায়েম করেছেন। বর্তমানে তার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী শিক্ষকরা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।

যবিপ্রবি ভাইস চ্যান্সেলর ড.  আনোয়ার হোসেন জানান, এই মুহূর্তে পদত্যাগের বিষয়ে তার কোনো পরিকল্পনা নেই। বর্তমান সরকার চাইলে তিনি ভেবে দেখবেন। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ বরাবরই তিনি মিথ্যা বলে দাবি করে আসছেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

বেঁধে দেওয়া সময়ে ভিসি পদত্যাগ না থাকলে যবিপ্রবি অচল!

আপডেট সময় : ১০:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ও তার অনুসারীদের পদত্যাগের দাবিকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। একই সাথে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। আল্টিমেটাম দেয়া সময়ের মধ্যে ড. আনোয়ার হোসেন পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। নতুন করে একগচ্ছ আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তারা। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন কর্মসূচি বন্ধ হবেনা। নিয়োগে বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির রেকর্ড তৈরি করা ভিসি ড. আনোয়ার হোসেনকে ভিসি পদে আর দেখতে চাইছেন না ক্ষুব্ধ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২০ মে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগদান করেন। চাকরির প্রথম মেয়াদে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ৫৫ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে তিনি ২০২১ সালের ১৯ মে ভিসি পদের মেয়াদ শেষ করেন। একই বছরের ১ জুন অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন দ্বিতীয় মেয়াদে ভিসির দায়িত্ব পান।

অভিযোগ উঠেছে, নানা দুর্নীতির মধ্যে তিনি যবিপ্রবির ১৪ লিফট স্থাপন নিয়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়ম করে আলোচিত হন। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আর লিফটকাণ্ডে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা বাসিন্দা আব্দুল করিম। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) রয়েছে ড. আনোয়ার হোসেনের দুর্নীতির ফাইল।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগ ও সরকার পতনের পর থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। কোথাও কোথাও পদত্যাগ করেছেন প্রক্টর, প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রায় সবাই। তবে দুর্নীতির অভিযুক্ত যবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর পদত্যাগ না করায় হতবাক ও ক্ষুদ্ধ হয়েছেন অনেকে। ফলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী ভিসি ও ভিসির অনুসারী হিসাবে পরিচিত ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. ইকবাল কবির জাহিদসহ উপাচার্যের অনুসারীদের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।  গত ৭ আগস্ট যবিপ্রবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষকরা জোটবদ্ধ হন। ওই দিন তারা ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.আনিসুর রহমানের সাথে আনুষ্ঠানকি আলোচনা করেন। আলোচনায় বৈষম্য বিরোধী শিক্ষকরা ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের নানা অনিয়ম দুর্নীতর বিষয় তুলে ধরেন। ভিসির পছন্দের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রামরাজত্ব কায়েম করেন বলেও বৈষম্য বিরোধীরা দাবি করেন।

গত ১০ আগস্ট ড. আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। যদিও একটি পক্ষ তাদের বিক্ষোভ সমাবেশ পন্ড করে দেন।  এরপর ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।

তারা গত ১৩ আগস্ট ভিসি ও তার অনুসারীদের  পদত্যাগের দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় ভিসিকে সাবেক প্রধান মন্ত্রীর দালাল আখ্যায়িত মিছিল বের করা হয়। ক্যাম্পাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, শেখ হাসিনা ম্যুরাল ভাংচুর করে তারা।

পরের দিন ১৪ আগস্ট ফের বিক্ষোভ মিছিল (‘মার্চ টু প্রশাসনিক ভবন’) করে শিক্ষার্থীরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন বলে ক্ষমতার জানান দেয়া ড. আনোয়ার হোসেনকে  ১৭ আগস্ট শনিবারের মধ্যে তাকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু এখনো তিনি দায়িত্বে বহাল রয়েছেন। এতে করে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ উসামাহ জানান, দেশ থেকে স্বৈরাচার দূর করতে পারলেও যবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে এখনো পর্যন্ত স্বৈরাচার দূর করতে পারিনি। স্বৈরাচার দালাল ভিসির কাছে কোনো প্রকার দাবি আমরা রাখতে চাই না। আমাদের একটাই দাবি স্বৈরাচার ভিসি, প্রক্টর, হল প্রভোস্টসহ সকল দালালদের পদত্যাগ করতে হবে।

ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন জানান, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ভিসিসহ তার অনুসারীরা পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।

যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, ভাইস চ্যান্সেলর ড. আনোয়ার হোসেন দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেকটা পেছনে নিয়ে গেছেন। তিনি পছন্দের কিছু লোকজন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির রামরাজত কায়েম করেছেন। বর্তমানে তার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী শিক্ষকরা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।

যবিপ্রবি ভাইস চ্যান্সেলর ড.  আনোয়ার হোসেন জানান, এই মুহূর্তে পদত্যাগের বিষয়ে তার কোনো পরিকল্পনা নেই। বর্তমান সরকার চাইলে তিনি ভেবে দেখবেন। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ বরাবরই তিনি মিথ্যা বলে দাবি করে আসছেন।