১১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টানা ভারী বৃষ্টি আরো দুদিন, চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কা

মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তার কারণে লাগাতার মাঝারি থেকে ভারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে চট্টগ্রামে। এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে আরও দুইদিন। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড়ধস কিংবা ভূমিধস হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৭৬ মিলিমিটার। এরমধ্যে মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৬০ মিলিমিটার। যদিও এর আগের দিন ১২৩ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। তবে আজ সকাল ৯টার পর থেকে বাড়তে থাকে বৃষ্টির দাপট। এ বৃষ্টির কারণে নগরবাসীকে পোহাতে হয়েছে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিও। অবশ্য হালকা বৃষ্টিতেও জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে এ শহরের মানুষজন। একইসাথে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে দেওয়া ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা ঈসমাইল ভূঁইয়া বলেন, ‘সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজকে সকাল ১০টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে পাহাড় ধসেরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী পরশু থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হবে। এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতও কমে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাব কমে আসায় মৌসুমী বায়ু সক্রিয় আছে। এছাড়াও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে।’

এদিকে, সকাল থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় নগরের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে এবং অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে রয়েছে বলে জানা গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

টানা ভারী বৃষ্টি আরো দুদিন, চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কা

আপডেট সময় : ০৭:০৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তার কারণে লাগাতার মাঝারি থেকে ভারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে চট্টগ্রামে। এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে আরও দুইদিন। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড়ধস কিংবা ভূমিধস হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৭৬ মিলিমিটার। এরমধ্যে মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৬০ মিলিমিটার। যদিও এর আগের দিন ১২৩ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। তবে আজ সকাল ৯টার পর থেকে বাড়তে থাকে বৃষ্টির দাপট। এ বৃষ্টির কারণে নগরবাসীকে পোহাতে হয়েছে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিও। অবশ্য হালকা বৃষ্টিতেও জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে এ শহরের মানুষজন। একইসাথে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে দেওয়া ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা ঈসমাইল ভূঁইয়া বলেন, ‘সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজকে সকাল ১০টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে পাহাড় ধসেরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী পরশু থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হবে। এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতও কমে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাব কমে আসায় মৌসুমী বায়ু সক্রিয় আছে। এছাড়াও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে।’

এদিকে, সকাল থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় নগরের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে এবং অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে রয়েছে বলে জানা গেছে।