প্রশাসনসহ অন্যদের ন্যায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পঞ্চম থেকে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া ও আনুপাতিক হারে গ্রেড-২ ও গ্রেড-১ পদ সৃষ্টি করে ছয় স্তরের পদসোপান তৈরির দাবি জানিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, হাজারো সমস্যায় জর্জরিত শিক্ষা ক্যাডারে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা পদোন্নতি। শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাগণের বঞ্চনা দূরীকরণে অবিলম্বে পদোন্নতি যোগ করতে হবে। সবাইকে সব টায়ারে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে একসাথে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। পূর্বে তিন টায়ারে একসাথেই পদোন্নতি দেওয়া হতো। কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘদিন পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে।
১৬ বিসিএসের কর্মকর্তারা দীর্ঘ ২৮ বছর চাকরি করে পদোন্নতি না পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক পদ থেকে অবসরে যাচ্ছেন জানিয়ে বলা হয়, ১৬ ব্যাচের কর্মকর্তাদের ভুতাপেক্ষিকভাবে মার্চ ২০২৩ থেকে পদোন্নতির দাবি করছেন তারা। শূন্য পদ না থাকার অজুহাতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদেরকে পদোন্নতি বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। অথচ, প্রশাসন ক্যাডারসহ অনেক ক্যাডারে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ২০১৫ সালে নতুন পে-স্কেলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাডার হচ্ছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ তে অধ্যাপকদের তৃতীয় গ্রেডে (সিলেকশন গ্রেড) উন্নীত হওয়ার সুযোগ রহিত হয়ে চতুর্থ গ্রেডে অবনমন ঘটে। অর্থাৎ, ২০১৫ সালের পূর্বে সিলেকশন গ্রেডের মাধ্যমে বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ তৃতীয় গ্রেড পেতেন এখন সেটা বন্ধ হয়ে চতুর্থ গ্রেডে স্থির হয়ে আছে। প্রায় অর্ধেক চাকরিকাল চতুর্থ গ্রেডে কাটিয়ে সেখান থেকেই অবসরে যেতে হচ্ছে।
এই বৈষম্যের প্রতিকার চেয়ে ৫৯৩ জন অধ্যাপক প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন জানিয়ে মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, আদালত অধ্যাপকদের পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করে ৩ মাসের মধ্যে কার্যকর করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু তৎকালীন সরকার এটা বাস্তবায়ন না করে আপিল করেছে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির সভাপতি এসএম কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক মো. আবেদ নোমানী, অধ্যাপক কাজী ফারুক আহম্মদ, অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমদ, আকলিমা আক্তার, মো. এনামুল হক ও মো. ইমরান আলী প্রমুখ।


























