আমি ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, কোথায় কি হয় আমার মনে থাকেনা : ইউএনও
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে পলাতক রয়েছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্পাক আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাস। কলেজে অনুপস্থিত থাকার পরও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বিলে স্বাক্ষর করে বরং তাকে পুরষ্কৃত করেছেন কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল। এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কাউকে দায়িত্ব প্রদান না করায় অভিভাবক শূন্যতার খুঁড়িয়ে চলছে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সরকার পতনের পর থেকে অধ্যক্ষ অনুপস্থিত রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে কলেজ পরিচালনায় নিয়মানুসারে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাছাড়া বহুবিধ অপকর্মের অভিযোগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সভাপতি বরাবর শিক্ষকরা অনাস্থা দিয়েছে। তিনি তা গ্রহণও করেছেন। কিন্তু কলেজের অচলাবস্থা কাটাতে এর বিপরীতে সভাপতি কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সভাপতির নির্দেশনা অনুসারে অধ্যক্ষকে বাদ দিয়ে প্রথমে আগস্ট মাসের বিল প্রস্তুত করা হয়। পরবর্তীতে আবার তিনিই ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে অধ্যক্ষকে সংযুক্ত করে বিল প্রদান করতে বলেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, অনুপস্থিত শিক্ষকের বিল করা সমিচীন নয়। একই বিষয়ে জানতে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। কোথায় কি হয় আমার মনে থাকেনা। কলেজ থেকে জেনে নিন।
উল্লেখ্য কলেজে অনুপস্থিত থাকা, বিগত সময়ে আওয়ামীলীগ পরিচয়ে কলেজে একক আধিপত্য বিস্তার, অফিসকে দলীয় অফিসের ন্যায় ব্যবহার করা, নিয়োগ বাণিজ্য, অতিরিক্ত ফি আদায়, অর্থনৈতিক অস্বচ্ছতা ও অর্থ আত্মসাৎ, অভিভাবক লাঞ্ছনা, কলেজ ফান্ডের অর্থ ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করা, কলেজ বাদ দিয়ে দলীয় কর্মকান্ডে সময় প্রদানসহ বিস্তর অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ হরিপদ দাসের পদত্যাগের দাবীতে গত ১ সেপ্টেম্বর রবিবার কলেজ প্রাঙ্গনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার ব্যানরে মানববন্ধন করে কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
ক্যাপশন : গল্পাক আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাস।


























