১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিমের বাজারে আগুন : ডজন ১৭০, পিস ১৫ টাকা

সরকার গত ১৫ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়। সে অনুযায়ী খুচরায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। অথচ বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা করে। আর ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা করে। দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ থাকলেও সেসব পাত্তাই যেন দিচ্ছেন না বিক্রেতারা। দাম নিয়ে প্রশ্ন তুললেই তারা বলছেন, ‘নিলে নেন, না নিলে সামনে হাঁটেন।’

বুধবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকার বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের কর্তা-ব্যক্তিরা অফিসে বসে একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যেখানে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। তাদের দাবি, দেশের বাজারে মুরগির খাদ্যের প্রচুর দাম। তাছাড়া অতিরিক্ত গরমের জন্য খামারে ডিমের উৎপাদনও কমে গেছে। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে। আর সরবরাহ কমায় ডিমের দাম বেড়ে গেছে। তবে বাজারে আসা ভোক্তাদেরও পাল্টা প্রশ্ন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি পিস ডিম আমদানি খরচসহ ৭ টাকা দাম পড়লেও বাংলাদেশে উৎপাদিত ডিম কেন প্রতি পিস ১৪/১৫ টাকা হবে?বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে প্রায় ২৮ টাকা বেশি। আর কেউ যদি পিস হিসেবে (এক ডজনের কম) কিনতে আসেন, সেক্ষেত্রে প্রতি পিসের দাম ১৫ টাকা, যা ডজন হিসেবে গিয়ে দাঁড়ায় ১৮০ টাকায়। অন্যদিকে ফার্মের মুরগির সাদা ডিমের ডজনও অধিকাংশ বাজারে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; কোথাও কোথাও অবশ্য ৫ টাকা কমেও পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে গত সপ্তাহে সাদা ডিমের ডজন ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি ১০ টাকা করে বেড়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

ডিমের বাজারে আগুন : ডজন ১৭০, পিস ১৫ টাকা

আপডেট সময় : ০৪:০৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

সরকার গত ১৫ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়। সে অনুযায়ী খুচরায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। অথচ বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা করে। আর ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা করে। দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ থাকলেও সেসব পাত্তাই যেন দিচ্ছেন না বিক্রেতারা। দাম নিয়ে প্রশ্ন তুললেই তারা বলছেন, ‘নিলে নেন, না নিলে সামনে হাঁটেন।’

বুধবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকার বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের কর্তা-ব্যক্তিরা অফিসে বসে একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যেখানে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। তাদের দাবি, দেশের বাজারে মুরগির খাদ্যের প্রচুর দাম। তাছাড়া অতিরিক্ত গরমের জন্য খামারে ডিমের উৎপাদনও কমে গেছে। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে। আর সরবরাহ কমায় ডিমের দাম বেড়ে গেছে। তবে বাজারে আসা ভোক্তাদেরও পাল্টা প্রশ্ন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি পিস ডিম আমদানি খরচসহ ৭ টাকা দাম পড়লেও বাংলাদেশে উৎপাদিত ডিম কেন প্রতি পিস ১৪/১৫ টাকা হবে?বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে প্রায় ২৮ টাকা বেশি। আর কেউ যদি পিস হিসেবে (এক ডজনের কম) কিনতে আসেন, সেক্ষেত্রে প্রতি পিসের দাম ১৫ টাকা, যা ডজন হিসেবে গিয়ে দাঁড়ায় ১৮০ টাকায়। অন্যদিকে ফার্মের মুরগির সাদা ডিমের ডজনও অধিকাংশ বাজারে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; কোথাও কোথাও অবশ্য ৫ টাকা কমেও পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে গত সপ্তাহে সাদা ডিমের ডজন ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি ১০ টাকা করে বেড়েছে।