জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন স্লোগান ব্যবহার করে আসছিলো। সেসব স্লোগানের একটি ‘সব শালারাই বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার।’এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি যে অপপ্রচার তৈরি হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৩নভেম্বর) বেলা ২ টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন করা করা হয়। এজন্য একটি লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ২রা নভেম্বর থেকে যে স্লোগানটি ব্যবহার হয়ে আসছিলো তা ছিলো মূলত ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত দূর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে কারণ গত ৬ বছরে তারা ২য় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি, প্রকল্পের মেয়াদ ৪ বার বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারেনি বরং তারা নিজেদের পকেটভারিসহ রীতিমত পুকুরচুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আসছিলাম। আমরা কোনো ভাবেই উপদেষ্টা নাহিদ কিংবা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে ইঙ্গিত করে কোন স্লোগান দেইনি।
সম্মেলনে আরও বলা হয়েছে, দুঃখের বিষয় হলো সাবেক স্বৈরাচার সরকারের প্রেতাত্মারা এ স্লোগানটিকে নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে, সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই আপনারা ঐক্যের ফাটল ধরাতে পারবেন না, আমরা দেশের স্বার্থে স্বৈরাচার, দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে এক ও অদ্বিতীয়।
আন্দোলনের সংগঠক এ কে এম রাকিব বলেন, আমরা আগে ভেবেছিলাম আমাদের ২য় ক্যাম্পাসের কাজের ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকতে পারে। যার কারণে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেছিলাম। এর পরবর্তীতে আমরা সচিবালয় ঘেরাও করি। যেখানে আমরা বিভিন্ন স্লোগান ব্যবহার করেছিলাম। আমাদের সব স্লোগান ছিল বিগত আমলের ফ্যাসিবাদী প্রশাসন ও দুর্নীতিগ্রস্ত টিকাদারদের বিরুদ্ধে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে হেয় করার জন্য এই স্লোগান দেয়া হয়নি।


























