জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়াম (আইআরডিসি)- এর আয়োজনে ‘সায়েন্স, টেকনোলজি এন্ড ইনোভেশন : পেভিং বাংলাদেশ’স ফিউচার ইন এ কম্পেটিটিভ ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব তার বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
ড. মির্জা গালিব আধুনিক প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার উপায় নিয়ে গভীর বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করেন। বিশেষ করে তরুণ গবেষকদের উদ্ভাবনী চেতনা বিকাশে এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “বর্তমান বিশ্বে সবকিছুই অনেক চ্যালেঞ্জিং, টেকনোলজি দ্রুত পরিবর্তনশীল, গ্লোবালি প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। যেসকল দেশ সায়েন্স ও টেকনোলজিতে এগিয়ে তারাই অর্থনৈতিকভাবে ততো প্রসারিত। আমাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ গবেষক তৈরি করতে হবে সাথে সাথে টেকনোলজিও উন্নত করতে হবে। শিক্ষাখাতে বাজেটের বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে এবং ন্যূনতম জিডিপি’র ৫% বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষায় ফান্ডিং না বাড়াতে পারলে উন্নত বিশ্বের সাথে আমরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়বো।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইআরডিসি এর প্রেসিডেন্ট ও ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন। এছাড়াও প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. জে. সালেহ আহমেদ এবং সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আবু লায়েক।
উল্লেখ্য, সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষকগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় বক্তারা দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি গবেষণাকেন্দ্রিক ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়নে কার্যকর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।


























