ঢাকায় কারফিউ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অপারেট করছে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স। শহরবাসী ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। এর মধ্যেই এক সারি ভিআইপি গাড়ি সেনা প্রহরায় বিমানবন্দরে এলো। এতে ড. ইউনূসসহ আরও ক’জন উপদেষ্টা। তারা চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশ ছাড়বেন কিছুক্ষণের মধ্যে। পুরো পথে গাড়িগুলোকে আকাশ পথে স্কট করেছে “র” এর বিশেষ হেলিকপ্টার।
কিছুক্ষণ আগে খবর এসেছে কয়েকজন ছাত্র সমন্বয়কের শেষ পরিণতি। তারা জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। তাদের ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাসমূহের বর্ডার খুলে দেওয়া হয়েছে। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে কিছুক্ষণ আগে বেনাপোল দিয়ে প্রবেশ করেছে শেখ পরিবারের বেশ কয়েকটি গাড়ি। বিজয় সরণীতে আবার বসানো হচ্ছে শেখ মুজিবের বিশাল মূর্তি। ধানমন্ডি ৩২ এ ভেঙে ফেলা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। হঠাৎ টিভি চ্যানেলগুলোর স্ক্রলে দেখা গেল অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে দিল্লী থেকে ফিরছেন শেখ হাসিনা এমন খবর। হাসিনার আত্মীয় জেনারেল ওয়াকার তাকে বরণ করে নেবেন। সারা বাংলাদেশ কারফিউয়ের মধ্যে কেঁপে উঠছে জয় বাংলা স্লোগানে।
আমার ঘুম ভেঙে গেল ঠিক এই সময়। এসির মধ্যেও সারা শরীর ভিজে গেছে ঘামে। এক গ্লাস পানি খেলাম বিছানায় বসেই। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করছি দুঃস্বপ্নে দেখা দৃশ্যগুলো নিয়ে। যারা জুলাই অভ্যুত্থান মানেন না, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সমর্থন করেন না, রাস্তায় উপদেষ্টাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন, তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন অর্ন্তবর্তী সরকার যদি কোনো আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে কি পরিণতি হতে পারে? ভারত ও আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশে তাদের অস্তিত্ব সংকটে। যে দুর্নীতি তারা করেছে তাদের অর্থের অভাব নেই। যেকোনো ভাবে তারা হারানো মসনদ ফিরে পেতে চাইবে। এই গণশত্রুদের চেয়ে মরিয়া এখন আর কেউ নয়।
এমন কোনো কিছু করবেন না যাতে “র” এর শিকারে পরিণত হতে হয় নিজেদের। একবার ভেবে দেখুন গত ১৭ বছর কেমন ছিলেন, আর জুলাই অভ্যুত্থানের পর এখন কেমন আছেন। কেন এত তাড়া? আসলে কাদের ষড়যন্ত্রের গুটি হচ্ছেন আপনারা?
…যার বোঝার বুঝে নিন। আমার আর কিছু বলার ভাষা নেই।
লেখক পরিচিতি : সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ওয়াশিংটন ডিসি।
এমআর/সব
























