১০:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানুষের দাবির প্রেক্ষিতেই জিয়াউর রহমান ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন : ইবি উপাচার্য

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেননি, বরং মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের একটি ক্রান্তিকালে তাকে দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। এটা করতে হয়েছিল মানুষের মুক্তির জন্য, অর্থনীতির মুক্তি জন্য ও রাজনীতির মুক্তির জন্য।

শুক্রবার (৩০ জুন) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচীর সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি উন্নত বাংলাদেশ গঠনের, যে বাংলাদেশে সবাই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পরিচালনা করবে, ঐক্যভদ্ধভাবে দেশের সমৃদ্ধি ঘটাবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শহীদ জিয়া চেয়েছিলেন স্বাধীনতার পরে প্রথম স্থাপিত এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আধুনিক শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় হবে। আমরা আশা করছি, আমরা বর্তমানে যারা আছি তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারবো।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম এয়াকুৃব আলী। তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ প্রেসেডিন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী আরেকটু অন্যভাবে পালন করছে কারন তিনি ছিলেন এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের মাটিতে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার। তৎপরেই তিনি এইখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, এই এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এদিন সকালে প্রশাসন ভবনের সামনের চত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরের উদ্দেশ্যে র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‍্যালি শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল হক।

কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো: ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো: রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. নজীবুর হক, প্রফেসর ড. মো: জাকির হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো: শাহিনুজ্জামান, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুল মঈদ বাবুল প্রমুখ। এরপর বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ/ফোরাম, অনুষদ, হল, বিভাগ, ছাত্র সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পর্যায়ক্রমে সুশৃঙ্খলভাবে ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

এরপর ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে গরীব-দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় পবিত্র কুরআন খতম এবং বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজিত কর্মসূচিসমূহে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহন করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মানুষের দাবির প্রেক্ষিতেই জিয়াউর রহমান ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন : ইবি উপাচার্য

আপডেট সময় : ০৪:২৫:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেননি, বরং মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের একটি ক্রান্তিকালে তাকে দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। এটা করতে হয়েছিল মানুষের মুক্তির জন্য, অর্থনীতির মুক্তি জন্য ও রাজনীতির মুক্তির জন্য।

শুক্রবার (৩০ জুন) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচীর সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি উন্নত বাংলাদেশ গঠনের, যে বাংলাদেশে সবাই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পরিচালনা করবে, ঐক্যভদ্ধভাবে দেশের সমৃদ্ধি ঘটাবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শহীদ জিয়া চেয়েছিলেন স্বাধীনতার পরে প্রথম স্থাপিত এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আধুনিক শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় হবে। আমরা আশা করছি, আমরা বর্তমানে যারা আছি তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারবো।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম এয়াকুৃব আলী। তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ প্রেসেডিন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী আরেকটু অন্যভাবে পালন করছে কারন তিনি ছিলেন এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের মাটিতে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার। তৎপরেই তিনি এইখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, এই এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এদিন সকালে প্রশাসন ভবনের সামনের চত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরের উদ্দেশ্যে র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‍্যালি শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল হক।

কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো: ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো: রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. নজীবুর হক, প্রফেসর ড. মো: জাকির হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো: শাহিনুজ্জামান, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুল মঈদ বাবুল প্রমুখ। এরপর বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ/ফোরাম, অনুষদ, হল, বিভাগ, ছাত্র সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পর্যায়ক্রমে সুশৃঙ্খলভাবে ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

এরপর ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে গরীব-দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় পবিত্র কুরআন খতম এবং বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজিত কর্মসূচিসমূহে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহন করেন।