পবিপ্রবি প্রতিনিধি: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, পবিপ্রবি শাখা শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রীতিভোজ ও কুরবানির গোশত বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে।
গত সোমবার (৯ জুন) ঈদের শেষ দিনে পবিপ্রবি ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে গরু ও ছাগল কুরবানি করেন। এরপর শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা, নিরাপত্তা কর্মী ও আনসার সদস্যদের মাঝে মাংস বিতরণ করেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রীতিভোজ এবং ডিউটিরত নিরাপত্তা কর্মী ও আনসার সদস্যদের জন্য নাস্তার আয়োজন করেন। আয়োজনটি ‘ছাত্রশিবির পবিপ্রবি’ ও ‘পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে প্রচার করা হয়। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো—রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান, গ্রীণ ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মামুন-উর-রশিদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন, আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল হোসেন, পবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. জান্নাতীন নাঈম জীবনসহ শিবিরের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে করে প্রশ্ন উঠেছে—বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই আয়োজন হলো এবং কেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থরা তাতে অংশ নিলেন?
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, “আমাদের অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল। আমরাও অনানুষ্ঠানিকভাবে সেখানে গিয়েছিলাম। এটিকে ‘প্রোগ্রাম’ বলা যাবে না।” ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ব্যাপারে তিনি বলেন,” সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতেই এটি করা হয়েছিল।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, “এটি রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছে।”
আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, “আমরা বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছি। প্যাকেটে আসলে কী লেখা ছিল, আমরা জানতাম না। পরে গিয়ে দেখি। আমরা কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় যাইনি।”
গ্রীণ ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মামুন-উর-রশিদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।






















