নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হক বলেছেন, জেলার সবগুলো পুজামন্ডপকে সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। গেল বছরে বেশীরভাগ পুজামন্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। যেগুলোতে বাকী ছিল সেগুলোকেও সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। এছাড়া পুজামন্ডপগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সেচ্ছাসেবকদেরও সতর্ক থাকতে হবে। কোন পুজামন্ডপে বখাটেরা উপদ্রব করলে আমাদের জানাবেন তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। পুজার সময়ে নদীপথে পারাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা বিগত দিনে দেখেছি সোস্যাল মিডিয়া হ্যাক করে নানা ধরনের উদ্ভট বানোয়াট পোষ্ট দিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল। দুস্কৃতিকারীরা টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। নারায়ণগঞ্জে যাতে দুস্কৃতিকারীরা টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আপনারা কোন ধরনের গুজবে কান দিবেন না। যেকোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাবে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিব।
সোমবার ২ অক্টোবর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে শারদীয় দুর্গাপুজা ২০২৩ শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল মমিন খান, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট মোঃ মাহবুবুর রহমান সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বি, সদর ইউএনও রিফাত ফেরদৌস, সোনারগাঁওয়ের ইউএনও মোঃ রেজওয়ান উল ইসলাম, বন্দরের ইউএনও বিএম কুদরত এ খুদা, আড়াইহাজারের ইউএনও ইশতিয়াত আহমেদ, রূপগঞ্জের ইউএনও ফয়সাল হক, পুজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস প্রমুখ।
সভায় পুলিশ সুপার বলেন, বিগত দিনে দেখা গেছে পাগলদের কারণেও নানা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মন্ডপের আশেপাশে যাতে এ ধরনের ব্যক্তিরা ঘোরাফেরা না করতে পারে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দেখা যায় রাত ২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেমন ঘুমায় তেমনি সেচ্ছাসেবক পুরোহিতরাও ঘুমিয়ে থাকে। আর এই সময়ই দুস্কৃতিকারীরা অঘটন ঘটানোর সুযোগ নিয়ে থাকে। বর্তমানে কিন্তু দাড়ি টুপি পড়ে হামলা চালায় এমনটি নয়। আপনারা দেখেছেন হলি আর্টিজানে যারা হামলা চালিয়েছিল তারা কিন্তু সবাই যুবক বয়সী ছিল। এখন অনেকেই ইউটিউব দেখে দেখেও এ ধরনের হামলায় উদ্বুদ্ধ হয়ে থাকে। অনেক সময় ছোট ঘটনাও ফুলিয়ে ফাপিয়ে বড় করে তোলা হয়। এমনটি যাতে না ঘটে। যে কারণে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
শিরোনাম
সোস্যাল মিডিয়া হ্যাক করে দুস্কৃতিকারীরা টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে : ডিসি
-
সবুজ বাংলা - আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
- ।
- 75
জনপ্রিয় সংবাদ





















