১২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের বাঁধ ভাঙ্গায় বন্যার আশংকা, লালমনিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে মাইকিং

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তার উজানে ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ভারী ঢল ধেয়ে আসছে ভাটিতে লালমবিরহাটে। এতে তিস্তা নদীর পানি রাত গভীর হওয়ায় সাথে সাথে বিপদ সীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বন্য পুর্বাভাস ও সতর্কীকরন কেন্দ্র। এরই মধ্যে সন্ধা ৭ টার পরিমাপে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর বিপদ সীমার ২৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র।সূত্রটি আরো জানায় ভারতের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (cwc)এর তথানুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এদিকে সিকিম অন্চলে আগামী ৪৮ ঘন্টা ভারী বৃষ্টি পাতের পুর্বাভাস রয়েছে।এছাড়াও রংপুর অন্চল সহ লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম নীলফামারী এলাকায় গতরাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে।ফলে পানির প্রবাহ আরো বেড়ে এঅবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে এবং তা আগামীকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকার আশংকা তাদের।

এতে করে নদীর পানি ভাটিতে নেমে আগামীকাল সকাল নাগাদ জেলার পাটগ্রাম হাতীবান্ধা কালীগন্জ আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদর উপকেলার কমপক্ষে ১০ ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী নীলফামারী রংপুরের গঙ্গাচড়া কাউনিয়া উপজেলা সহ কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় বিশেষ করে লালমনিরহাট জেলার মানুষ ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়বেন বলে জানিয়েছেন সংশিলিষ্ঠ কতৃপক্ষ গুলো।

এদিকে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলার বন্যা প্রবন নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের অত্যান্ত সজাগ সচেতন থাকা সহ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার বার্তা পৌছাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে।

ভয়াবহ বন্যার আশংকায় নদী পারের মানুষ মারাত্বক হতাশা আর চরম অস্থিরতায় সময় পার করছেন।তারা বলছেন এবারের উপর্যুপরি গেল ৪ দফা বন্যায় তারা অপুরনীয় ক্ষতির মুখে পড়েছে।সেই ধকল সামলে উঠতে ন উঠতেই আবারো বন্যার ভয়াল থাবার প্রচারনায় তারা মারাত্বয় হতাশায় সময় করছেন।

এতে করে তিস্তা নদীর ডান ও বাম তীরের লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার নীচু এলাকায় ফসল সহ বিভিন্ন কৃষিজাত আবাদের মারাত্বক ক্ষতি সাদিত হবে এমন আশংকা ভুক্তভোগী মানুষ আর জনপ্রতিনিধি ও কৃষি কর্মকর্তাদের।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ সবুজ বাংলা পত্রিকা জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধি ও প্রসাশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা নদী তীর এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রয়োনীয় কাজ করছেন।তিনি জানিয়েছেন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

ভারতের বাঁধ ভাঙ্গায় বন্যার আশংকা, লালমনিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে মাইকিং

আপডেট সময় : ০৯:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তার উজানে ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ভারী ঢল ধেয়ে আসছে ভাটিতে লালমবিরহাটে। এতে তিস্তা নদীর পানি রাত গভীর হওয়ায় সাথে সাথে বিপদ সীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বন্য পুর্বাভাস ও সতর্কীকরন কেন্দ্র। এরই মধ্যে সন্ধা ৭ টার পরিমাপে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর বিপদ সীমার ২৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র।সূত্রটি আরো জানায় ভারতের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (cwc)এর তথানুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এদিকে সিকিম অন্চলে আগামী ৪৮ ঘন্টা ভারী বৃষ্টি পাতের পুর্বাভাস রয়েছে।এছাড়াও রংপুর অন্চল সহ লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম নীলফামারী এলাকায় গতরাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে।ফলে পানির প্রবাহ আরো বেড়ে এঅবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে এবং তা আগামীকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকার আশংকা তাদের।

এতে করে নদীর পানি ভাটিতে নেমে আগামীকাল সকাল নাগাদ জেলার পাটগ্রাম হাতীবান্ধা কালীগন্জ আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদর উপকেলার কমপক্ষে ১০ ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী নীলফামারী রংপুরের গঙ্গাচড়া কাউনিয়া উপজেলা সহ কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় বিশেষ করে লালমনিরহাট জেলার মানুষ ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়বেন বলে জানিয়েছেন সংশিলিষ্ঠ কতৃপক্ষ গুলো।

এদিকে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলার বন্যা প্রবন নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের অত্যান্ত সজাগ সচেতন থাকা সহ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার বার্তা পৌছাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে।

ভয়াবহ বন্যার আশংকায় নদী পারের মানুষ মারাত্বক হতাশা আর চরম অস্থিরতায় সময় পার করছেন।তারা বলছেন এবারের উপর্যুপরি গেল ৪ দফা বন্যায় তারা অপুরনীয় ক্ষতির মুখে পড়েছে।সেই ধকল সামলে উঠতে ন উঠতেই আবারো বন্যার ভয়াল থাবার প্রচারনায় তারা মারাত্বয় হতাশায় সময় করছেন।

এতে করে তিস্তা নদীর ডান ও বাম তীরের লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার নীচু এলাকায় ফসল সহ বিভিন্ন কৃষিজাত আবাদের মারাত্বক ক্ষতি সাদিত হবে এমন আশংকা ভুক্তভোগী মানুষ আর জনপ্রতিনিধি ও কৃষি কর্মকর্তাদের।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ সবুজ বাংলা পত্রিকা জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধি ও প্রসাশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা নদী তীর এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রয়োনীয় কাজ করছেন।তিনি জানিয়েছেন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি।