০৪:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে কৃষিপণ্য রপ্তানি

চলতি বছরে রপ্তানি হয়েছে ৫৭ কোটি ডলার

পোশাক রপ্তানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কৃষি পণ্য রাপ্তানিও। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের (জুলাই-জানুয়ারি) চেয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বিদেশে কৃষি পণ্য রপ্তানি ৪.৪৪ শতাংশ বেড়েছে। আর রপ্তানি বাড়ায় ছাড়িয়ে গেছে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাও। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) কৃর্ষি পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের। বিপরীতে প্রথম সাত মাসে ৫৭ কোটি ৭২ লাখ ডলারের কৃষি পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। সেই হিসাবে গত সাত মাসে কৃষি পণ্য লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি হয়েছে।

আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের কৃষি পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়েছিল। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৩ কোটি ডলারের কৃষি পণ্য বেশি রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে শূন্য দশমিক ১৪ লাখ ডলারের চা পাতা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে শূন্য দশমিক ২১ লাখ ডলারের চা পাতা। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে চা পাতা রপ্তানি হয়েছিল শূন্য দশমিক ১৩ লাখ ডলারের।

তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের সবজি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ডলারের সবিজ। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে সবজি রপ্তানি হয়েছিল ৩ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ১০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের তামাক জাতীয় পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ১৪ লাখ ডলারের তামাক জাতীয় পণ্য। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। আর ২০২২০-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে তামাক জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১২ কোটি ১৫ লাখ ডলারের।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে দশমিক শূন্য ৬ লাখ ডলারের ফল জাতীয় পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে শূন্য দশমিক ৯৮ লাখ ডলারের ফল জাতীয় পণ্য। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ফল রপ্তানি হয়েছিল শূন্য ৩৫ লাখ ডলারের।
এছাড়া, মশলা জাতীয় পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ৭২ লাখ ডলারের। আর সাত মাসে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ১ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের।

এদিকে তৈল বীজ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল শূন্য দশমিক ৮৩ লাখ ডলারের। আর সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮৯ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে তৈল বীজ পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের।

অপরদিকে পান রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল শূন্য ৮১ লাখ ডলারের। আর সাত মাসে পান রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে ৯৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে পান রপ্তানি হয়েছিল শূন্য ৮১ লাখ ডলারের।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অন্যান্য কৃষি পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের। আর সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ৮ কোটি ২২ লাখ ডলারের অন্যান্য কৃষি পণ্য। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে অন্যান্য কৃষি পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের।

ইপিবিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু কৃষি পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে। এগুলো হল-শুকনা খাবার জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। উদ্ভিদ চর্বি জাতীয় পণ্য ও তৈল রপ্তানি হয়েছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি কম হয়েছে ৩২ দশমিক ৩০ শতাংশ। চিনি জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। পানীয় ও ভিনেগার জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ।

 

 

স/মিফা

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে কৃষিপণ্য রপ্তানি

আপডেট সময় : ০৮:৪০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পোশাক রপ্তানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কৃষি পণ্য রাপ্তানিও। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের (জুলাই-জানুয়ারি) চেয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বিদেশে কৃষি পণ্য রপ্তানি ৪.৪৪ শতাংশ বেড়েছে। আর রপ্তানি বাড়ায় ছাড়িয়ে গেছে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাও। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) কৃর্ষি পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের। বিপরীতে প্রথম সাত মাসে ৫৭ কোটি ৭২ লাখ ডলারের কৃষি পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। সেই হিসাবে গত সাত মাসে কৃষি পণ্য লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি হয়েছে।

আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের কৃষি পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়েছিল। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৩ কোটি ডলারের কৃষি পণ্য বেশি রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে শূন্য দশমিক ১৪ লাখ ডলারের চা পাতা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে শূন্য দশমিক ২১ লাখ ডলারের চা পাতা। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে চা পাতা রপ্তানি হয়েছিল শূন্য দশমিক ১৩ লাখ ডলারের।

তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের সবজি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ডলারের সবিজ। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে সবজি রপ্তানি হয়েছিল ৩ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ১০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের তামাক জাতীয় পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ১৪ লাখ ডলারের তামাক জাতীয় পণ্য। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। আর ২০২২০-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে তামাক জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১২ কোটি ১৫ লাখ ডলারের।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে দশমিক শূন্য ৬ লাখ ডলারের ফল জাতীয় পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে শূন্য দশমিক ৯৮ লাখ ডলারের ফল জাতীয় পণ্য। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ফল রপ্তানি হয়েছিল শূন্য ৩৫ লাখ ডলারের।
এছাড়া, মশলা জাতীয় পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ৭২ লাখ ডলারের। আর সাত মাসে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ১ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের।

এদিকে তৈল বীজ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল শূন্য দশমিক ৮৩ লাখ ডলারের। আর সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮৯ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে তৈল বীজ পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের।

অপরদিকে পান রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল শূন্য ৮১ লাখ ডলারের। আর সাত মাসে পান রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে ৯৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে পান রপ্তানি হয়েছিল শূন্য ৮১ লাখ ডলারের।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অন্যান্য কৃষি পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের। আর সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ৮ কোটি ২২ লাখ ডলারের অন্যান্য কৃষি পণ্য। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে অন্যান্য কৃষি পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের।

ইপিবিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু কৃষি পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে। এগুলো হল-শুকনা খাবার জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। উদ্ভিদ চর্বি জাতীয় পণ্য ও তৈল রপ্তানি হয়েছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি কম হয়েছে ৩২ দশমিক ৩০ শতাংশ। চিনি জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। পানীয় ও ভিনেগার জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ।

 

 

স/মিফা