কুমিল্লার মুরাদনগরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান কবির স্মৃতি বিজড়িত দৌলতপুরে পালন না করে উপজেলা প্রশাসন উপজেলা সদরে কবি নজরুল মিলনায়তনে দায়সারাগোছের সংক্ষিপ্তভাবে পালন করছে। এ নিয়ে স্থানীয় নজরুলপ্রেমী কবিসাহিত্যিক লেখক সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের মাঝে চাপা ক্ষোভদেখা দিয়েছে।
কবির জীবন ও সাহিত্যে মুরাদনগরের দৌলতপুরের বেশ প্রভাব রয়েছে। ১৯২১ সালে কবি তরুণ বয়সে দৌলতপুরের আলী আকবর খাঁর সাথে বেড়াতে এসে তারই বোনের মেয়ে সৈয়দা নার্গিস আসার খানমের প্রেমে পড়েন এবং পরে বিয়ে।এখানে থাকাকালীন কবি বেশ কিছু বিখ্যাত গান ও কবিতা রচনা করেন। প্রায় আড়াই মাসের মতো তিনি দৌলতপুরে ছিলেন। এখানে রযেছে কবির নানা স্মৃতি। কবিপ্রিয়া নার্গিসের মামা আলী আকবর খাঁর বাড়ি, বাসর রাতের পালঙ্ক, শানবাঁধানো পুকুর ঘাট যেখানে বাঁশি বাজাতেন, আমগাছ, কামরাঙাগাছ, খেলার মাঠ এবং বুড়ি আর্সি নদী। এসবকিছু কবির স্মৃতি নজরুল প্রেমী দর্শকের দেখা থেকে এবার বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রতি বছর জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুরাদনগরের কবিতীর্থ খ্যাত দৌলতপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নজরুল জন্ম জয়ন্তী পালিত হতো। দেশি-বিদেশি নজরুলপ্রেমী অনেক কবি সাহিত্যিক কবির স্মৃতিবিজড়িত দৌলতপুরে ভিড় জমাতো। কিন্তু এবার উপজেলা প্রশাসন দৌলতপুরে কবি নজরুলের ম্যুরালে ২৫ মে সকাল ১০ টায় পুষ্পস্তবক অর্পন করে সকাল ১১টায় আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে ১২৫ তম নজরুল জন্ম বার্ষিকীর সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান।
এ প্রসঙ্গে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সিফাত উদ্দিন বলেন,’জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত মুরাদনগরর দৌলতপুরে প্রতিবছরই জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে কবির জন্মোৎসব পালন করা হয়ে থাকে।কিন্তু এবার ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন এ মাসের ২৯ তারিখ হওয়ার কারণে জেলা প্রশাসেনর সিদ্ধান্তে এবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী দৌলতপুরে আয়োজন হচ্ছে না। এরপর থেকে যথারীতি দৌলতপুরে কবি নজরুলের জন্মবার্ষিকীর আযোজনের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশা করছি নজরুলের জন্মবার্ষিকীর আয়োজনকে নজরুল স্মৃতি বিজড়িত দৌলতপুরে ফিরিয়ে আনবো।’


























