০৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় শীতকালীন সবজি (ফুলকপি) চাষী কৃষিকদের  মুখে হতাশার  ছাপ

প্রতি বছরের নেয় এবছর ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার শীতকালীন সবজি ফুলকপি চাষ হয়।ড়দ
 গজারিয়ার  এ বছর ফুলকপি চাষি কৃষকদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ পরেছে।
মুন্সিগঞ্জ বাংলাদেশের একটি নদী ব্যাষ্টিত জেলা।পদ্মা,মেঘনার অববাহিকায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা সহ সকল উপজেলা।নদীর তীরে কৃষি জমি হওয়ায় প্রাকৃতিক উপায়ে বর্ষার পানির সাথে ফসলি জমিতে নতুন করে পলি জমে তাকে কৃষকদের ফসলও হয় চমৎকার।এটেঁল মাটি,বেঁলে মাটি,দোআঁস মাটি অঞ্চল বেঁধে রয়েছে মুন্সিগঞ্জে।
 রূপালী বাংলাদেশ কে জানায়,এবছর তাদের শীত কালীন সবজি ফুলকপি, বিক্রেতার অভাবে জমিতেই অতিরিক্ত ফুঁটে নষ্ট হয়ে ঝড়চ্ছে বলে দাবি কৃষকদের।
গত বছর ঠিক এ সময় গজারিয়া উপজেলার শীত কালীন সবজি ফুলকপি চাষ করে অনেক খানি লাভের মুখ দেখেছিলো উপজেলার কৃষকরা।গতবছর চাষীরা ফুলকপি জমি থেকে বিক্রি করেছিলো ৩৫থেকে ৪৫ টাকা  পাইকারি। কিন্তু এবছর লছ তো হবেই  তাদের সবজি বিক্রিই করিতে কষ্ট হচ্ছে।
এখন উপজেলার টেংগারচর বাজার, জামালদী বাজারে, হোসেন্দী বাজারে, ভাটেরচর বাজারে,গজারিয়া বাজার, ভবেরচর বাজার,ভবেরচর বাজার,রসুলপুর বাজারগুলোতে শীত কালিন সবজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৭টাকা৮টাকা পিস পাইকারী এমনটি জানায় কৃষক আমিরুল।চাষীরা নিজেরা বাজারে গিয়ে বসে বসে খুচরা বিক্রি করছে বড় ফুলকপি ১৫ টাকা ছোট কপি১০ টাকা করে এর বেশি বিক্রি করতে পারছে না বলে জানান আরেক কৃষক রুহুল আমিন।
কৃষক মুহাম্মদ হোসেন বলেন, কৃষকদের চারা ক্রয় থেকে শুরু করে ফুলকপি  উঠানো প্রর্যন্ত তাদের অনুমানিক প্রতি ফুলকপি প্রতি খরচ পরেছে ১০থেকে ১২ টাকা।
চাষীরা জানায়,এ বছর ফুলকপি তাদের মূলধন সহ টান দেবে বলে মনে করছে।
শীত কালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সব জাগায়  নতুন শাক সবজি উৎপাদন হয়। সে সময় কৃষকদের ও ব্যবসা ভালো হয়।তবে এ বছর আমরা গজারিয়ার কৃষকেরা শীত কালীন সবজি ফুলকপি চাষ করে অনেক খানি লছের মুখ দেখিবো বলে মনে করছি।
স্থানীয় একাধিক কৃষকদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারি,
প্রথমত, এবছর ব্যবসা ভালো’না, তা উপর আমাদের  উপজেলাতে সবজি চাষ গতবছরের তুলনায় বেশি উৎপাদন হয়েছে কমেছে আলু চাষ। যেহেতু ফুলকপি শীত কালীন সবজি, আরো এ সবজি পরিপক্ক হলে ২ দিনের বেশি জমিতে রাখা যায় না। সে কারনে বিক্রি করতে না পারায়, আমাদের জমির সকল ফুলকপি  একসাথে  ফুঁটে গেছে। তাই আমরা বিক্রি করে শেষ করতে পারছিনা।  অনেক কপি নষ্ট হয়ে পরেছে তা আমরা আমাদের জমির আইলে ফেলেদিতে বাধ্য হয়েছে। কিছু সবজি গরুকে খাওয়াতে বাধ্য হই। যা কিনা আমাদের মত ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য অনেক ক্ষতি বা লছের কারন বলে মনে করছি।
তারা আরো জানান, আমাদেক্র্র পরিকল্পনা ছিলো আমাদের জমির সবজি আমরা ধীরে ধীরে ধারাবাহিক ভাবে বিক্রি করিবো। কিন্তু এবার আমরা প্রথম থেকেই  দাম পাইনি। বিক্রি করতে না পেরে এক সাথে সকল সবজি (ফুলকপি) ফুঁটে পরে জমিতে,তাতে করে এক সঙ্গে সকল সবজি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি কৃষকদের। পাশাপাশি তাদের তুলনা মূলক বিক্রিয় মূল্য ও ছিলো খুব কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আরাফাত জানায়,এ বছর একটু বেশি সবজি উৎপাদিত হয়েছে গজারিয়ায়।ফুলকপি উৎপাদিত হয়েছে এ বচর প্রায় ১৮ হেক্টর জমিতে।
টেংগারচর ইউনিয়ন উপকৃষি কর্মকর্তা সানজিদা আক্তার জানায়, এবছর সাড়ে ৩হেক্টর ফুলকপি এক ইউনিয়নেই উৎপাদিত হয়।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনবাংলা সাহিত্য পরিষদ ঢাকা বিভাগীয় কমিটির গঠন

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় শীতকালীন সবজি (ফুলকপি) চাষী কৃষিকদের  মুখে হতাশার  ছাপ

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
প্রতি বছরের নেয় এবছর ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার শীতকালীন সবজি ফুলকপি চাষ হয়।ড়দ
 গজারিয়ার  এ বছর ফুলকপি চাষি কৃষকদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ পরেছে।
মুন্সিগঞ্জ বাংলাদেশের একটি নদী ব্যাষ্টিত জেলা।পদ্মা,মেঘনার অববাহিকায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা সহ সকল উপজেলা।নদীর তীরে কৃষি জমি হওয়ায় প্রাকৃতিক উপায়ে বর্ষার পানির সাথে ফসলি জমিতে নতুন করে পলি জমে তাকে কৃষকদের ফসলও হয় চমৎকার।এটেঁল মাটি,বেঁলে মাটি,দোআঁস মাটি অঞ্চল বেঁধে রয়েছে মুন্সিগঞ্জে।
 রূপালী বাংলাদেশ কে জানায়,এবছর তাদের শীত কালীন সবজি ফুলকপি, বিক্রেতার অভাবে জমিতেই অতিরিক্ত ফুঁটে নষ্ট হয়ে ঝড়চ্ছে বলে দাবি কৃষকদের।
গত বছর ঠিক এ সময় গজারিয়া উপজেলার শীত কালীন সবজি ফুলকপি চাষ করে অনেক খানি লাভের মুখ দেখেছিলো উপজেলার কৃষকরা।গতবছর চাষীরা ফুলকপি জমি থেকে বিক্রি করেছিলো ৩৫থেকে ৪৫ টাকা  পাইকারি। কিন্তু এবছর লছ তো হবেই  তাদের সবজি বিক্রিই করিতে কষ্ট হচ্ছে।
এখন উপজেলার টেংগারচর বাজার, জামালদী বাজারে, হোসেন্দী বাজারে, ভাটেরচর বাজারে,গজারিয়া বাজার, ভবেরচর বাজার,ভবেরচর বাজার,রসুলপুর বাজারগুলোতে শীত কালিন সবজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৭টাকা৮টাকা পিস পাইকারী এমনটি জানায় কৃষক আমিরুল।চাষীরা নিজেরা বাজারে গিয়ে বসে বসে খুচরা বিক্রি করছে বড় ফুলকপি ১৫ টাকা ছোট কপি১০ টাকা করে এর বেশি বিক্রি করতে পারছে না বলে জানান আরেক কৃষক রুহুল আমিন।
কৃষক মুহাম্মদ হোসেন বলেন, কৃষকদের চারা ক্রয় থেকে শুরু করে ফুলকপি  উঠানো প্রর্যন্ত তাদের অনুমানিক প্রতি ফুলকপি প্রতি খরচ পরেছে ১০থেকে ১২ টাকা।
চাষীরা জানায়,এ বছর ফুলকপি তাদের মূলধন সহ টান দেবে বলে মনে করছে।
শীত কালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সব জাগায়  নতুন শাক সবজি উৎপাদন হয়। সে সময় কৃষকদের ও ব্যবসা ভালো হয়।তবে এ বছর আমরা গজারিয়ার কৃষকেরা শীত কালীন সবজি ফুলকপি চাষ করে অনেক খানি লছের মুখ দেখিবো বলে মনে করছি।
স্থানীয় একাধিক কৃষকদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারি,
প্রথমত, এবছর ব্যবসা ভালো’না, তা উপর আমাদের  উপজেলাতে সবজি চাষ গতবছরের তুলনায় বেশি উৎপাদন হয়েছে কমেছে আলু চাষ। যেহেতু ফুলকপি শীত কালীন সবজি, আরো এ সবজি পরিপক্ক হলে ২ দিনের বেশি জমিতে রাখা যায় না। সে কারনে বিক্রি করতে না পারায়, আমাদের জমির সকল ফুলকপি  একসাথে  ফুঁটে গেছে। তাই আমরা বিক্রি করে শেষ করতে পারছিনা।  অনেক কপি নষ্ট হয়ে পরেছে তা আমরা আমাদের জমির আইলে ফেলেদিতে বাধ্য হয়েছে। কিছু সবজি গরুকে খাওয়াতে বাধ্য হই। যা কিনা আমাদের মত ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য অনেক ক্ষতি বা লছের কারন বলে মনে করছি।
তারা আরো জানান, আমাদেক্র্র পরিকল্পনা ছিলো আমাদের জমির সবজি আমরা ধীরে ধীরে ধারাবাহিক ভাবে বিক্রি করিবো। কিন্তু এবার আমরা প্রথম থেকেই  দাম পাইনি। বিক্রি করতে না পেরে এক সাথে সকল সবজি (ফুলকপি) ফুঁটে পরে জমিতে,তাতে করে এক সঙ্গে সকল সবজি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি কৃষকদের। পাশাপাশি তাদের তুলনা মূলক বিক্রিয় মূল্য ও ছিলো খুব কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আরাফাত জানায়,এ বছর একটু বেশি সবজি উৎপাদিত হয়েছে গজারিয়ায়।ফুলকপি উৎপাদিত হয়েছে এ বচর প্রায় ১৮ হেক্টর জমিতে।
টেংগারচর ইউনিয়ন উপকৃষি কর্মকর্তা সানজিদা আক্তার জানায়, এবছর সাড়ে ৩হেক্টর ফুলকপি এক ইউনিয়নেই উৎপাদিত হয়।