০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশে নোবিপ্রবি বিএনসিসি, রোভার স্কাউট

সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি ) গুচ্ছ সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা । তবে এই সফল আয়োজনের পেছনে যারা অনন্য অবদান রেখেছেন, তাদের অনেকেই রয়ে গেছেন চোখের আড়ালে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় অসামান্য ভূমিকা রেখেছে নোবিপ্রবি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে পরীক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন তারা। এই সহযোগিতা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

শুক্রবার ( ২৫ এপ্রিল) ১১ টায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের (সি ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যানজট নিরসন, পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র দেখিয়ে দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও রোভার স্কাউট সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন স্থানে দিকনির্দেশনামূলক সাইনবোর্ড বসানো, পরীক্ষার্থীদের সিট তালিকার ব্যানার লাগানো, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র খুঁজে পেতে সহায়তা করা, বিলম্বে আসা ভর্তি-ইচ্ছুকদের দ্রুত পরীক্ষার হলে পৌঁছে দেওয়া—এসব দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরা। এমনকি অসুস্থ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও বিশেষ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কখনো কখনো অসুস্থ শিক্ষার্থীকে কাঁধে তুলে মেডিকেলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে সংগঠনগুলোর সদস্যদের।

রোভার স্কাউট আর এম মাহমুদুল হাসান বলেন, গেট থেকে সিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে পৌঁছে দেওয়া এবং এর মাঝে যদি কোনো সমস্যা হয়, তা সমাধান করাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা আমাদের করণীয় দায়িত্ব পালন করেছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাবো।

বিএনসিসির সিইউও মিরাজ মাহমুদ বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও নোবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কাজ করেছি। নোবিপ্রবি বিএনসিসি প্রতিবছরই পরীক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে থাকে। আজকের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১৬ জন ক্যাডেট দায়িত্ব পালন করেছে। ভবিষ্যতেও আমরা একইভাবে দায়িত্ব পালনের আশা রাখি।”

নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রক্টোরিয়াল বডির পাশাপাশি তারাই মূল দায়িত্ব পালন করেছেন। সকলের সহায়তায় এবার আমরা সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছি।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে নোবিপ্রবি বিএনসিসি, স্কাউট আবারও প্রমাণ করেছে যে তারা শুধু আনুষ্ঠানিক সংগঠন নয়, বরং মানবিক সহায়তার প্রতীক।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশে নোবিপ্রবি বিএনসিসি, রোভার স্কাউট

আপডেট সময় : ০৯:১১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি ) গুচ্ছ সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা । তবে এই সফল আয়োজনের পেছনে যারা অনন্য অবদান রেখেছেন, তাদের অনেকেই রয়ে গেছেন চোখের আড়ালে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় অসামান্য ভূমিকা রেখেছে নোবিপ্রবি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে পরীক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন তারা। এই সহযোগিতা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

শুক্রবার ( ২৫ এপ্রিল) ১১ টায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের (সি ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যানজট নিরসন, পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র দেখিয়ে দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও রোভার স্কাউট সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন স্থানে দিকনির্দেশনামূলক সাইনবোর্ড বসানো, পরীক্ষার্থীদের সিট তালিকার ব্যানার লাগানো, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র খুঁজে পেতে সহায়তা করা, বিলম্বে আসা ভর্তি-ইচ্ছুকদের দ্রুত পরীক্ষার হলে পৌঁছে দেওয়া—এসব দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরা। এমনকি অসুস্থ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও বিশেষ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কখনো কখনো অসুস্থ শিক্ষার্থীকে কাঁধে তুলে মেডিকেলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে সংগঠনগুলোর সদস্যদের।

রোভার স্কাউট আর এম মাহমুদুল হাসান বলেন, গেট থেকে সিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে পৌঁছে দেওয়া এবং এর মাঝে যদি কোনো সমস্যা হয়, তা সমাধান করাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা আমাদের করণীয় দায়িত্ব পালন করেছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাবো।

বিএনসিসির সিইউও মিরাজ মাহমুদ বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও নোবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কাজ করেছি। নোবিপ্রবি বিএনসিসি প্রতিবছরই পরীক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে থাকে। আজকের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১৬ জন ক্যাডেট দায়িত্ব পালন করেছে। ভবিষ্যতেও আমরা একইভাবে দায়িত্ব পালনের আশা রাখি।”

নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রক্টোরিয়াল বডির পাশাপাশি তারাই মূল দায়িত্ব পালন করেছেন। সকলের সহায়তায় এবার আমরা সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছি।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে নোবিপ্রবি বিএনসিসি, স্কাউট আবারও প্রমাণ করেছে যে তারা শুধু আনুষ্ঠানিক সংগঠন নয়, বরং মানবিক সহায়তার প্রতীক।