জাতীয় ব্যাডমিন্টনের উদ্বোধনীর প্রধান অতিথি হয়ে এসে বুলবুল হাতে তুলে নিয়েছিলেন র্যাকেট। জাতীয় ব্যাডমিন্টনের উদ্বোধনীর প্রধান অতিথি হয়ে এসে বুলবুল হাতে তুলে নিয়েছিলেন র্যাকেট।জাতীয় ব্যাডমিন্টনের উদ্বোধনী। রেকর্ড ১০ লাখ টাকা প্রাইজমানির আসরের শুরুর দিনে মুখরিত শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়াম। ফেডারেশন কর্তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে উপস্থিত ক্রিকেটের এক ঝাঁক তারকা। এর মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও। অথচ ব্যাডমিন্টনের সাবেক তারকাদের চোখে পড়েনি অনুষ্ঠানে। তাই ব্যাডমিন্টনের উদ্বোধনীতে আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকলেন বুলবুল, হাবিবুল বাশার, খালেদ মাসুদ পাইলট, জাভেদ ওমর বেলিম, সানোয়ার হোসেনের মতো ক্রিকেটের তারকারা। মূলত ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির নয়, সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির সুমনের সঙ্গে সাবেক ক্রিকেটারদের সুসম্পর্ক থাকায় ব্যাডমিন্টন ছাপিয়ে আলোচনায় থাকলেন সাবেক ক্রিকেটাররা।
বুলবুল অবশ্য কথা দিয়েছেন, দেশের ধনাঢ্য ক্রীড়া ফেডারেশনের প্রধান হিসেবে তিনি দৃষ্টি দেবেন এই ছোট খেলাগুলোর দিকেও এবং সেটি অতীতের চেয়েও বড় ভাবে। অতীতে বিসিবিকে দেখা গেছে ছোট ছোট খেলার প্রসারে সহায়তা দিতে। বুলবুল বলেছেন, এই কাজটা তিনি করতে চান আরও ব্যাপক আকারে, ‘আমরা ক্রীড়া পরিবারেরই একটা অংশ। তাই আমাদের সামর্থ্যে থাকলে অবশ্য অন্য খেলাগুলোর উন্নয়নে আগের চেয়ে আরও বড় আকারে সমর্থন করবো।’
ফুটবলের মানুষ ইমরুল হাসান ব্যাডমিন্টনের অন্ধ ভক্ত। বসুন্ধরা গ্রুপের শীর্ষ কর্তাদের একজন হওয়ায় ব্যাডমিন্টনের পৃষ্ঠপোষকতাও করেন দীর্ঘদিন ধরে। তারই সহকর্মী ও বন্ধু ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বও করেছেন তারিকুল ইসলাম। ইমরুল হাসান বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন আমি ছোটবেলায় অনেক খেলেছি। এখনও সুযোগ পেলে খেলি, আজও খেললাম। এত শাটলার দেখে ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে দেশের ব্যাডমিন্টন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।’
ছয় দিনব্যাপী আসরে দেশের আট বিভাগের ৬৩ জেলা, ১০টি করে বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা এবং তিনটি শিক্ষাবোর্ডের ৪৫৭ জন শাটলার পদকের জন্য লড়বেন। এর মধ্যে ৩৭৭ জন পুরুষ ও ৮০ জন মেয়ে শাটলার রয়েছেন।
এবার বিজয়ীদের মধ্যে প্রাইজমানি হিসেবে দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ইনডোরের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় বাইরে থেকে ১০০ টন এয়ার কন্ডিশন ভাড়া করা হয়েছে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। আর প্রতি দলের দুজন করে নারী ও পুরুষ এবং উভয় বিভাগের একজন করে অফিসিয়ালের আবাসনের পাশাপাশি দৈনিক ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


























