০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোবিপ্রবিতে দফায় দফায় সংঘর্ষ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতাসহ আহত অন্তত ১৫

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) ৯ম ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীবসহ অন্তত ১৫ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠান চলাকালীন বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ অয়ন তার স্ত্রীকে চেয়ার সরিয়ে দিতে গেলে ইইই(সি) ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর সূত্র ধরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে শেখ রাসেল হল, বিজয় দিবস হল ও একাডেমিক ভবনজুড়ে।

ঘটনার একপর্যায়ে শেখ রাসেল হলের একাধিক কক্ষ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুর করা হয়। উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরা একে অপরের কক্ষে হামলা চালায় এবং বেশকিছু জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেয় ও অগ্নিসংযোগ করে। ছাত্রদলের দুই নেতার মধ্যে ঘাড়ে কামড় ও মাথা ফাটানোর অভিযোগও উঠে আসে।

সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে আহত হন প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব, সহকারী প্রক্টর সাইফুল ইসলাম ও ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম। আহতদের মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

প্রক্টর জানান, ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিচার না হওয়া পর্যন্ত, আমরা রাজপথ ছাড়ব না: জুমা

গোবিপ্রবিতে দফায় দফায় সংঘর্ষ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতাসহ আহত অন্তত ১৫

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) ৯ম ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীবসহ অন্তত ১৫ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠান চলাকালীন বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ অয়ন তার স্ত্রীকে চেয়ার সরিয়ে দিতে গেলে ইইই(সি) ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর সূত্র ধরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে শেখ রাসেল হল, বিজয় দিবস হল ও একাডেমিক ভবনজুড়ে।

ঘটনার একপর্যায়ে শেখ রাসেল হলের একাধিক কক্ষ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুর করা হয়। উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরা একে অপরের কক্ষে হামলা চালায় এবং বেশকিছু জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেয় ও অগ্নিসংযোগ করে। ছাত্রদলের দুই নেতার মধ্যে ঘাড়ে কামড় ও মাথা ফাটানোর অভিযোগও উঠে আসে।

সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে আহত হন প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব, সহকারী প্রক্টর সাইফুল ইসলাম ও ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম। আহতদের মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

প্রক্টর জানান, ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।