মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর চা-বাগানের ১১ নম্বর সেকশনে অবস্থিত ‘মাধবপুর লেক’ প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এক অনন্য আকর্ষণ। প্রায় ৫০ একর আয়তনের এ লেকটি সবুজ টিলা, চা-বাগান, শাপলা-শালুক আর পাহাড়ি পাখির কলতানে যেন প্রকৃতির এক স্বপ্নরাজ্য। চা শ্রমিকদের কাছে এটি পরিচিত ‘ড্যাম’ নামে।
চারদিকে সুউচ্চ টিলা আর মাঝখানে টলটলে জলের লেক—যার জলে ফুটে থাকে নীল শাপলা, ভেসে বেড়ায় মাছ-কচ্ছপ। ঝোপঝাড়ে ফোটা বুনো ফুল, ছায়াবৃক্ষের ডালে ডাকতে থাকা পাখি এবং চারপাশের নৈসর্গিক পরিবেশ ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ করে রাখে।
লেকের দুই পাশ ঘিরে বিস্তৃত চা-বাগান যেন হ্রদকে আগলে রেখেছে। টিলার চূড়া থেকে চোখ মেললেই দেখা যায় সবুজ বনভূমির নীল রেখা, যা দূরে গিয়ে মিলেছে আকাশের সীমানায়। শীত মৌসুমে এ লেকে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় বাড়ে, প্রতিদিন হাজারো দেশি-বিদেশি পর্যটক ঘুরতে আসেন।
চা-বাগান কর্তৃপক্ষ লেকের চারপাশে হাঁটার জন্য সরু পথ ও টিলায় ওঠার জন্য সিঁড়ির ব্যবস্থা করেছে। পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য টিলার ওপর ছোট ছোট তাঁবুও রয়েছে। এছাড়া ন্যাশনাল টি কোম্পানির চা বিক্রয়কেন্দ্রও আছে লেকের পাশে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা হাসান আল মামুন বলেন, “এখানে এসেই প্রশান্তিতে ভরে গেল মন। শান্ত পরিবেশ, চা-বাগান আর টলটলে জলের সৌন্দর্যে বারবার ফিরে আসতে মন চায়।”
মাধবপুর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক দিপন সিংহা জানান, প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এ লেক দেখতে আসেন।
যেভাবে যাবেন ও কোথায় থাকবেন:
ট্রেন বা বাসে শ্রীমঙ্গল কিংবা কমলগঞ্জে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা প্রাইভেট কারে সহজেই মাধবপুর লেকে পৌঁছানো যায়। রাতে থাকতে চাইলে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে রয়েছে বেশ কিছু মানসম্মত রিসোর্ট ও হোটেল।


























