০৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে ইবি ছাত্রদলের স্মরণসভা

গতবছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সকল শহিদদের স্মরণে স্মরণ সভা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। শনিবার (৩০ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের করিডোরে এই স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাঃ তোজাম্মেল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান ও ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।
শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মহানায়ক জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে জুলাই আন্দোলন করেছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী এখনো আমরা কাজ করছি। আমরা কোথাও ভাঙচুর করি না, কোথাও মব সৃষ্টি করি না, কোন জায়গায় অপরাধমূলক কাজ করি না, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির সাথে আমাদের সম্পর্ক নেই, আমি চাই শান্তিপূর্ণ হবে সবকিছু সম্পন্ন হোক। আমাদের ভাই সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যাকারীরা এখনো মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাজিদের হত্যাকারীদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয় এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট মাফিয়া চক্রের হাত থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে ছাত্রসমাজ ও আপামর জনসাধারণ অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। আমি অভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত সুস্থতা এবং শহীদদের মাগফিরাত কামনা করছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে এই ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সূত্রপাত হয়। দল মত নির্বিশেষে এই আন্দোলন একটি জাতীয় ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। ৫ আগস্টের সফলতাকে মূল্যায়ন করা হলে দেশ ও জনগণ হতাশ হয়ে যাবে। ৫ আগস্টের পরে আমরা যার যার জায়গা থেকে ঐক্যবদ্ধ না হয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করেছি। এটি আমাদের প্রত্যাশিত ছিলো না।
জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, সারাদেশে ছাত্রজনতা যে অভ্যুত্থান করেছে তাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তপাত না হলেও তাদের অবদান স্মরণ রাখার মতো। আমরা বলে থাকি যে একটি দুটি দল গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এভাবে ভাবার কোন কারণ নেই। জুলাই আগস্টে ৪২২ জন জীবন দিয়েছে। শহীদের তালিকার সাথে যদি আমরা এটি মিলাই তাহলে দেখা যাবে প্রতি ৪ জনে ১ জন মারা গেছে বিএনপি বা ছাত্রদলের নেতাকর্মী। বিএনপির অবদান মূল্যায়ন করবে এদেশের সাধারণ জনগণ। বিএনপি সাধারণ মানুষের কাছে আজো সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল। বেগম খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তার উপর পেপার স্প্রে করা হয়েছে, পরে তাকে জেলে নেওয়া হয়েছে। এগুলো কারা করেছে তিনি সবই জানতেন কিন্তু তবুও তিনি কাউকে দোষারোপ করেন নাই। এগুলোর বিচারের ভার তিনি সেই সাধারণ মানুষের উপরেই দিয়ে গিয়েছেন। জুলাই আগস্টের মধ্যে দিয়েই সেসব কাজের ফল তারা পেয়েছে।
এসএস/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে ইবি ছাত্রদলের স্মরণসভা

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

গতবছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সকল শহিদদের স্মরণে স্মরণ সভা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। শনিবার (৩০ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের করিডোরে এই স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাঃ তোজাম্মেল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান ও ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।
শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মহানায়ক জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে জুলাই আন্দোলন করেছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী এখনো আমরা কাজ করছি। আমরা কোথাও ভাঙচুর করি না, কোথাও মব সৃষ্টি করি না, কোন জায়গায় অপরাধমূলক কাজ করি না, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির সাথে আমাদের সম্পর্ক নেই, আমি চাই শান্তিপূর্ণ হবে সবকিছু সম্পন্ন হোক। আমাদের ভাই সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যাকারীরা এখনো মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাজিদের হত্যাকারীদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয় এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট মাফিয়া চক্রের হাত থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে ছাত্রসমাজ ও আপামর জনসাধারণ অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। আমি অভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত সুস্থতা এবং শহীদদের মাগফিরাত কামনা করছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে এই ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সূত্রপাত হয়। দল মত নির্বিশেষে এই আন্দোলন একটি জাতীয় ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। ৫ আগস্টের সফলতাকে মূল্যায়ন করা হলে দেশ ও জনগণ হতাশ হয়ে যাবে। ৫ আগস্টের পরে আমরা যার যার জায়গা থেকে ঐক্যবদ্ধ না হয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করেছি। এটি আমাদের প্রত্যাশিত ছিলো না।
জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, সারাদেশে ছাত্রজনতা যে অভ্যুত্থান করেছে তাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তপাত না হলেও তাদের অবদান স্মরণ রাখার মতো। আমরা বলে থাকি যে একটি দুটি দল গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এভাবে ভাবার কোন কারণ নেই। জুলাই আগস্টে ৪২২ জন জীবন দিয়েছে। শহীদের তালিকার সাথে যদি আমরা এটি মিলাই তাহলে দেখা যাবে প্রতি ৪ জনে ১ জন মারা গেছে বিএনপি বা ছাত্রদলের নেতাকর্মী। বিএনপির অবদান মূল্যায়ন করবে এদেশের সাধারণ জনগণ। বিএনপি সাধারণ মানুষের কাছে আজো সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল। বেগম খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তার উপর পেপার স্প্রে করা হয়েছে, পরে তাকে জেলে নেওয়া হয়েছে। এগুলো কারা করেছে তিনি সবই জানতেন কিন্তু তবুও তিনি কাউকে দোষারোপ করেন নাই। এগুলোর বিচারের ভার তিনি সেই সাধারণ মানুষের উপরেই দিয়ে গিয়েছেন। জুলাই আগস্টের মধ্যে দিয়েই সেসব কাজের ফল তারা পেয়েছে।
এসএস/সবা