চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, বিচার বিভাগীয় তদন্ত, শতভাগ আবাসন, আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, চবি শাখা।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবন, শহীদ মিনার হয়ে কাটা পাহাড় রোড প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে।
শাখা ছাত্রশিবিরের বায়তুলমাল সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির চবি শাখা সভাপতি মোহাম্মদ আলী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ইব্রাহিম হোসেন রনি, শাখা সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ, প্রচার সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা ও শিক্ষা সম্পাদক মোনায়েম শরীফ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. পারভেজ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি পড়াশোনা করতে। আমরা এখানে মারামারি করতে আসেনি। কিন্তু আমাদের ভাইদের উপর যারা সন্ত্রাসী আক্রমণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে এখনও বিচারের আওতায় আনতে পারেননি। আমি এখান থেকে জানান দিতে চাই আমরা যদি সুষ্ঠু বিচার না পাই তাহলে আমরা আপনাদের মতো প্রশাসনের পদত্যাগ চাইতে কার্পণ্য করবোনা। আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই। সুষ্ঠু বিচার চাই।
কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর দাবি হচ্ছে নিরাপদ ক্যাম্পাস চাওয়া। আমরা বারবার বলে আসছি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আপনারা যদি আমাদের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিতে পারেননি তাহলে আপনারা অতিসত্বর পদত্যাগ করেন। আপনাদের মত লোক প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করতে পারবেননা। যারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবির নিয়ে সমালোচনা করেন আপনারা আগে নিজে চিন্তা করেন আপনি ক্যাম্পাসের জন্য কি করছেন? এই ক্যাম্পাসের কোন ছাত্র অথবা ছাত্রী যদি আক্রমণের শিকার হয় তাহলে আমরা চবি শিবির তার পাশে দাড়াবো।এমনকি এই ক্যাম্পাসের একজন রিকসাওয়ালা যদি আক্রমনের শিকার হয় আমরা তারপাশে দাড়াবো। যারাই ষড়যন্ত্র করেন তাদেরকে আমরা হুশিয়ার করে দিতে চাই সাধু সাবধান হয়ে যান।
সমাবেশে শাখা সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, “প্রশাসন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ৩০ ও ৩১ আগস্টের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কারা উস্কানি দিয়েছে, কারা নির্দেশদাতা এবং কারা এখনও গ্রেফতার এড়াচ্ছে তা বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচন করতে হবে। পাশাপাশি শতভাগ আবাসন, আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা জরুরি।”
এমআর/সবা


























