০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

  • এনবিআরের জালে সুসুকা গার্মেন্টস
  • ধরা ছোঁয়ার বাইরে আবু জাফর চৌধুরী ও মনিরুল ইসলাম
  • ধামাচাপা দিতে তদন্তাধীন ফাইল গায়েব
  • প্রতারণার মাধ্যমে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ নামে সমবায় প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক হিসেবে চালাচ্ছে
  • গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার

শত শত কোটি টাকার কর ফাঁকি ও বন্ড জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে সুসুকা গার্মেন্টস নামের এক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদ সব তথ্য। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছরে প্রায় শত কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। এমনকি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ঘুষের মাধ্যমে তদন্তাধীন ফাইল গায়েব করে ফেলেন।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণদার আবু জাফর চৌধুরী হলেও সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মনিরুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতি, প্রতারণা, এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তবুও এখনো গ্রেপ্তার হননি তিনি। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো- আবু জাফর ও মনিরুল সিন্ডিকেট প্রতারণার মাধ্যমে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ নামের একটি সমবায় প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক হিসেবে চালাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার তাদেরকে ‘ব্যাংক’ শব্দ বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও, তারা তা অমান্য করে গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অর্থনীতিবিদ শাহ আলম সিদ্দিকী বলেন, এদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। পাশাপাশি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।

এদিকে, অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেড। শতভাগ রপ্তানিকারক নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানটি কাঁচামাল আমদানি করে পলিব্যাগ, হ্যাংগার, গামটেপ, পিগমেন্ট, হ্যাংট্যাগ ও নন-ওভেন ফেব্রিক্স পণ্য রপ্তানি করে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির আমদানি-রপ্তানির পণ্যে বড় ধরনের ঘাপলা ধরা পড়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে। মাত্র পাঁচ বছরের নথিপত্র যাচাইয়ে ৮৩ কোটি টাকার শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি, প্রায় ২৯১ কোটি টাকার অর্থপাচার সংক্রান্ত তথ্য এবং আমদানি-রপ্তানিতে শত কোটি টাকা নয়-ছয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। বেসরকারি একটি ব্যাংকে মাদার এলসি খুলে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন পর্যায়ে ফাঁকি ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের প্রমাণও মিলেছে। যার সঙ্গে ওই ব্যাংক ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে। যদিও অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেডের দাবি, তাদের নাম ব্যবহার করে একটি চক্র প্রায় ৯৭৫টি ফেক ইউডি এবং তার বিপরীতে ইউপি ইস্যুর মাধ্যমে এমন অপকর্ম হয়েছে। যা তদন্ত করতে উল্টো শুল্ক গোয়েন্দাকে অনুরোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নাম প্রকাশ না করে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, শুল্ক গোয়েন্দাদের তদন্তে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। আমরা দেখেছি, বিশেষ টিম ২৩টি দাখিলপত্র, পাঁচ অর্থবছরের পৃথক অডিট রিপোর্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যালকুলেশন শিটসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই করা হয়েছে। এতে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, এখানে কর ফাঁকি, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একটি ব্যাংকে এলসি খুলে কাঁচামাল আমদানি করে খোলা বাজারে বিক্রিরও সত্যতা পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে ব্যাংক কিংবা এনবিআরের কর্মকর্তারা জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা একটি যৌথ টিম গঠন করতে যাচ্ছি, যারা প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে পারবে। মাত্র পাঁচ বছরের নথিপত্র যাচাইয়ে ৮৩ কোটি টাকার শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি, প্রায় ২৯১ কোটি টাকার অর্থপাচার সংক্রান্ত তথ্য এবং আমদানি-রপ্তানিতে শত কোটি টাকা নয়-ছয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। বেসরকারি একটি ব্যাংকের শাখায় মাদার এলসি খুলে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন পর্যায়ে ফাঁকি ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের প্রমাণও মিলেছে। যার সঙ্গে ওই ব্যাংক ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে। অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেড নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থিত একটি প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত পলিব্যাগ, হ্যাংগার, গামটেপ, পিগমেন্ট, হ্যাংট্যাগ ও নন-ওভেন ফেব্রিক্স পণ্য রপ্তানি করে থাকে। আর কাঁচামাল বন্ডেড সুবিধায় আমদানি করেছে। চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার টন পলিব্যাগ ও হ্যাংগার জাতীয় কাঁচামাল আমদানি করেছে। কিন্তু আমদানির বিপরীতে রপ্তানি করেছে ৯৯ টন। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৮ মে পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানিসহ সব নথি যাচাই শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক ও তদন্ত টিম-প্রধান এদিপ বিল্লাহর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেড সি এ রিপোর্টের সব মূসক যাচাই করে মূল্য সংযোজন কর আইন ও সম্পূরক শুল্ক আইন- ২০১২ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী রাজস্ব বাবদ দুই কোটি ২৭ লাখ ১৬ হাজার ১৬৬ টাকার ভ্যাট ফাঁকি এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে তিন কোটি এক লাখ ৯৭ হাজার ৮৭১ টাকা উৎসে ভ্যাট পরিহার বা ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে, যা আদায়যোগ্য। এ ছাড়া, বন্ড সুবিধায় ক্রয় করা অরপ্তানি হওয়া পণ্যের স্থানীয় সরবরাহের ওপর মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন- ২০১২ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ২৬ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ টাকা বকেয়া পাওয়া যায়, যা আদায়যোগ্য।

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

আপডেট সময় : ০৭:১৯:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • এনবিআরের জালে সুসুকা গার্মেন্টস
  • ধরা ছোঁয়ার বাইরে আবু জাফর চৌধুরী ও মনিরুল ইসলাম
  • ধামাচাপা দিতে তদন্তাধীন ফাইল গায়েব
  • প্রতারণার মাধ্যমে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ নামে সমবায় প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক হিসেবে চালাচ্ছে
  • গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার

শত শত কোটি টাকার কর ফাঁকি ও বন্ড জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে সুসুকা গার্মেন্টস নামের এক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদ সব তথ্য। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছরে প্রায় শত কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। এমনকি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ঘুষের মাধ্যমে তদন্তাধীন ফাইল গায়েব করে ফেলেন।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণদার আবু জাফর চৌধুরী হলেও সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মনিরুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতি, প্রতারণা, এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তবুও এখনো গ্রেপ্তার হননি তিনি। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো- আবু জাফর ও মনিরুল সিন্ডিকেট প্রতারণার মাধ্যমে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ নামের একটি সমবায় প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক হিসেবে চালাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার তাদেরকে ‘ব্যাংক’ শব্দ বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও, তারা তা অমান্য করে গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অর্থনীতিবিদ শাহ আলম সিদ্দিকী বলেন, এদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। পাশাপাশি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।

এদিকে, অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেড। শতভাগ রপ্তানিকারক নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানটি কাঁচামাল আমদানি করে পলিব্যাগ, হ্যাংগার, গামটেপ, পিগমেন্ট, হ্যাংট্যাগ ও নন-ওভেন ফেব্রিক্স পণ্য রপ্তানি করে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির আমদানি-রপ্তানির পণ্যে বড় ধরনের ঘাপলা ধরা পড়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে। মাত্র পাঁচ বছরের নথিপত্র যাচাইয়ে ৮৩ কোটি টাকার শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি, প্রায় ২৯১ কোটি টাকার অর্থপাচার সংক্রান্ত তথ্য এবং আমদানি-রপ্তানিতে শত কোটি টাকা নয়-ছয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। বেসরকারি একটি ব্যাংকে মাদার এলসি খুলে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন পর্যায়ে ফাঁকি ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের প্রমাণও মিলেছে। যার সঙ্গে ওই ব্যাংক ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে। যদিও অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেডের দাবি, তাদের নাম ব্যবহার করে একটি চক্র প্রায় ৯৭৫টি ফেক ইউডি এবং তার বিপরীতে ইউপি ইস্যুর মাধ্যমে এমন অপকর্ম হয়েছে। যা তদন্ত করতে উল্টো শুল্ক গোয়েন্দাকে অনুরোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নাম প্রকাশ না করে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, শুল্ক গোয়েন্দাদের তদন্তে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। আমরা দেখেছি, বিশেষ টিম ২৩টি দাখিলপত্র, পাঁচ অর্থবছরের পৃথক অডিট রিপোর্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যালকুলেশন শিটসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই করা হয়েছে। এতে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, এখানে কর ফাঁকি, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একটি ব্যাংকে এলসি খুলে কাঁচামাল আমদানি করে খোলা বাজারে বিক্রিরও সত্যতা পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে ব্যাংক কিংবা এনবিআরের কর্মকর্তারা জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা একটি যৌথ টিম গঠন করতে যাচ্ছি, যারা প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে পারবে। মাত্র পাঁচ বছরের নথিপত্র যাচাইয়ে ৮৩ কোটি টাকার শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি, প্রায় ২৯১ কোটি টাকার অর্থপাচার সংক্রান্ত তথ্য এবং আমদানি-রপ্তানিতে শত কোটি টাকা নয়-ছয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। বেসরকারি একটি ব্যাংকের শাখায় মাদার এলসি খুলে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন পর্যায়ে ফাঁকি ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের প্রমাণও মিলেছে। যার সঙ্গে ওই ব্যাংক ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে। অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেড নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থিত একটি প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত পলিব্যাগ, হ্যাংগার, গামটেপ, পিগমেন্ট, হ্যাংট্যাগ ও নন-ওভেন ফেব্রিক্স পণ্য রপ্তানি করে থাকে। আর কাঁচামাল বন্ডেড সুবিধায় আমদানি করেছে। চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার টন পলিব্যাগ ও হ্যাংগার জাতীয় কাঁচামাল আমদানি করেছে। কিন্তু আমদানির বিপরীতে রপ্তানি করেছে ৯৯ টন। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৮ মে পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানিসহ সব নথি যাচাই শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক ও তদন্ত টিম-প্রধান এদিপ বিল্লাহর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেড সি এ রিপোর্টের সব মূসক যাচাই করে মূল্য সংযোজন কর আইন ও সম্পূরক শুল্ক আইন- ২০১২ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী রাজস্ব বাবদ দুই কোটি ২৭ লাখ ১৬ হাজার ১৬৬ টাকার ভ্যাট ফাঁকি এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে তিন কোটি এক লাখ ৯৭ হাজার ৮৭১ টাকা উৎসে ভ্যাট পরিহার বা ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে, যা আদায়যোগ্য। এ ছাড়া, বন্ড সুবিধায় ক্রয় করা অরপ্তানি হওয়া পণ্যের স্থানীয় সরবরাহের ওপর মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন- ২০১২ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ২৬ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ টাকা বকেয়া পাওয়া যায়, যা আদায়যোগ্য।