০৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রমবাজারে ’বড় ধাক্কা’

  • সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা ‘নিষেধাজ্ঞা’:
  • ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে ভিসা ইস্যু কার্যত স্থবির
  • ক্রিকেটার সৌম্য সরকার ইউএই ভিসা না পাওয়ায় একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিস করেন
  • বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ায় অঘোষিত বিধিনিষেধ আরোপ

বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে সৌদি আরবে ৩৫ লাখ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) আছেন ১২ লাখ বাংলাদেশি। তবে গত কয়েক বছরে এসব দেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক ঝুঁকি। বছরখানেক ধরে কার্যত ভিসা বন্ধ রেখেছে ইউএই। কবে দেশটির শ্রমবাজার খুলে দেওয়া হবে, সেই নিশ্চয়তাও কেউ দিতে পারছেন না। আর সৌদি আরবের ভিসা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা শঙ্কা। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সৌদি আরবের জনসংখ্যা তিন কোটি ৪৭ লাখ আর আমিরাতের এক কোটি আট লাখের একটু বেশি। এখানে একটা জনমিতিক হিসাবও আছে। এ কারণে তারা এমন জনশক্তি নিতে চায়, যা তাদের কাজে লাগবে বিশেষ করে চিকিৎসক, নার্স ও প্রকৌশলী। তারা এমন জনশক্তি নেবে না, যেটা তাদের জন্য বোঝা হয়ে যাবে।
“এভারেস্টে ওঠা বরং সহজ, কিন্তু এখন ইউএই’র ভিসা পাওয়া কঠিন।” ৯-১৫ অক্টোবর আবুধাবিতে চলমান বিশ্বের শীর্ষ প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) -এর সম্মেলনে যোগ দেওয়া ২৭ সদস্যের বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের একজন এভাবেই তুলে ধরেন তাদের ভিসা পাওয়ার ভোগান্তি। প্রায় দুই মাস ধরে তারা ভিসা পেতে হিমশিম খেয়েছেন। এমনকী এদের মধ্যে সরকারের দুজন সচিবও আছেন। তাদের দুর্ভোগ কিন্তু একক ঘটনা নয়। বাংলাদেশের কয়েকজন অংশগ্রহণকারী ৬-৭ অক্টোবরের দুবাই ফরেক্স এক্সপোতেও ভিসা বিলম্বের কারণে অংশ নিতে পারেননি। এমনকি জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারকেও চলতি মাসের শুরুতে ইউএই ভিসা না পাওয়ায় একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিস করতে হয়। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন ঘটনা বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। একসময় বাংলাদেশি শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য গন্তব্যগুলোর একটি ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত; কিন্তু ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে ভিসা ইস্যু কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। এই বাধা শুরু হয় ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর, যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর ইউএই নীরবে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ায় অঘোষিত বিধিনিষেধ আরোপ করে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়। এরপর থেকেই হাজারো অভিবাসী শ্রমিক, পেশাজীবী ও পর্যটক পড়ে যান ভিসা প্রক্রিয়ার আমলাতান্ত্রিক অনিশ্চয়তার জালে। উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কিছু পেশাজীবী ভিসা পেলেও স্বল্প ও আধা দক্ষ কর্মীদের ভিসা ইস্যু কার্যত সম্পূর্ণই বন্ধ। অথচ এ শ্রেণির কর্মীরাই হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের মূল চালিকাশক্তি।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৮ হাজার জন শ্রমিক আরব আমিরাতে গেছে—২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে যেটি ছিল ৪৭,১৬৬ জন, আর ২০২৩ সালে প্রায় ৯৭,৮২২ জন। ভিসার এই বিধিনিষেধের সংকট শুধু শ্রম রপ্তানিতেই নয়, পর্যটন খাতেও ভয়াবহ আঘাত হেনেছে। বিদেশগামী ট্যুর অপারেটররা বলছেন, আমিরাতের পর্যটন ভিসা ইস্যু “সম্পূর্ণ বন্ধ” থাকায় তাদের ইউইএ ভিত্তিক ট্যুর ব্যবসা কার্যত “ধসে পড়েছে”। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) তসলিম আমিন শোভন বলেন, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতি বছর আমি দুই হাজারের বেশি আরব আমিরাতের পর্যটন ভিসা প্রসেস করেছি। গত এক বছরে একটিও করতে পারিনি। মনে হচ্ছে সীমিত সংখ্যক কিছু পেশাজীবীর জন্য ছাড়া, ভিসার অন্য সব ক্যাটাগরিই বন্ধ। অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সাবেক মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, এখন পর্যটন ও ট্রানজিট ভিসা প্রায় শূন্যের কোটায়। শ্রম ভিসা আগের তুলনায় মাত্র ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ইউএইগামী যাত্রীদের ওপর নির্ভরশীল এয়ারলাইনগুলোকেও যাত্রীসংখ্যা পূরণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাংলাদেশিদের ভিসা না দেওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস. এম. মাহবুবুল আলম বলেন, এটা নতুন কোনো ইস্যু না, একবছর হয়ে গেছে। স্থায়ীভাবে ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এমন কিছু না। এটা অস্থায়ী যেকোনো সময় খুলে দিতে পারে। এ নিয়ে আমাদের রাষ্ট্রদূত কাজ করছেন। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অবশ্য এ বিষয়ে বিস্তারিত তিনি বলেননি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশ থেকে লোকজন আমিরাতে যেতে চাচ্ছেন, ভিসার জন্য প্রবাসীদের থেকেও চাপ আছে। কিন্তু কবে এই ভিসা খুলে দেওয়া হবে, এমন কোনো আভাস পাচ্ছি না। তারা (আমিরাত) ভিসা খুলছেন না। আমাদের দিক থেকে অনুরোধ করা হলেও সাড়া মিলছে না।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী গত ১৭ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, আমিরাতের অভিবাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানতে পেরেছেন, আমিরাতে সব ধরনের ভিসা বা আবাসনবিধি লঙ্ঘনকারীর মধ্যে ২৫ শতাংশের বেশি হলেন বাংলাদেশি। তিনি আরও বলেন, মূল সমস্যা সম্ভবত আমাদের এখানে নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরুতেই দেশের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি ও অনানুষ্ঠানিক শ্রম নেটওয়ার্কের কারণে, শ্রমিকদের শোষণ যেমন করা হয়, তেমনি এর ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতকালে অ্যালার্জি: কারণ, লক্ষণ ও ঘরে বসেই প্রতিরোধের সহজ উপায়

শ্রমবাজারে ’বড় ধাক্কা’

আপডেট সময় : ০৭:১৯:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা ‘নিষেধাজ্ঞা’:
  • ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে ভিসা ইস্যু কার্যত স্থবির
  • ক্রিকেটার সৌম্য সরকার ইউএই ভিসা না পাওয়ায় একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিস করেন
  • বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ায় অঘোষিত বিধিনিষেধ আরোপ

বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে সৌদি আরবে ৩৫ লাখ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) আছেন ১২ লাখ বাংলাদেশি। তবে গত কয়েক বছরে এসব দেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক ঝুঁকি। বছরখানেক ধরে কার্যত ভিসা বন্ধ রেখেছে ইউএই। কবে দেশটির শ্রমবাজার খুলে দেওয়া হবে, সেই নিশ্চয়তাও কেউ দিতে পারছেন না। আর সৌদি আরবের ভিসা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা শঙ্কা। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সৌদি আরবের জনসংখ্যা তিন কোটি ৪৭ লাখ আর আমিরাতের এক কোটি আট লাখের একটু বেশি। এখানে একটা জনমিতিক হিসাবও আছে। এ কারণে তারা এমন জনশক্তি নিতে চায়, যা তাদের কাজে লাগবে বিশেষ করে চিকিৎসক, নার্স ও প্রকৌশলী। তারা এমন জনশক্তি নেবে না, যেটা তাদের জন্য বোঝা হয়ে যাবে।
“এভারেস্টে ওঠা বরং সহজ, কিন্তু এখন ইউএই’র ভিসা পাওয়া কঠিন।” ৯-১৫ অক্টোবর আবুধাবিতে চলমান বিশ্বের শীর্ষ প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) -এর সম্মেলনে যোগ দেওয়া ২৭ সদস্যের বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের একজন এভাবেই তুলে ধরেন তাদের ভিসা পাওয়ার ভোগান্তি। প্রায় দুই মাস ধরে তারা ভিসা পেতে হিমশিম খেয়েছেন। এমনকী এদের মধ্যে সরকারের দুজন সচিবও আছেন। তাদের দুর্ভোগ কিন্তু একক ঘটনা নয়। বাংলাদেশের কয়েকজন অংশগ্রহণকারী ৬-৭ অক্টোবরের দুবাই ফরেক্স এক্সপোতেও ভিসা বিলম্বের কারণে অংশ নিতে পারেননি। এমনকি জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারকেও চলতি মাসের শুরুতে ইউএই ভিসা না পাওয়ায় একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিস করতে হয়। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন ঘটনা বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। একসময় বাংলাদেশি শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য গন্তব্যগুলোর একটি ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত; কিন্তু ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে ভিসা ইস্যু কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। এই বাধা শুরু হয় ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর, যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর ইউএই নীরবে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ায় অঘোষিত বিধিনিষেধ আরোপ করে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়। এরপর থেকেই হাজারো অভিবাসী শ্রমিক, পেশাজীবী ও পর্যটক পড়ে যান ভিসা প্রক্রিয়ার আমলাতান্ত্রিক অনিশ্চয়তার জালে। উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কিছু পেশাজীবী ভিসা পেলেও স্বল্প ও আধা দক্ষ কর্মীদের ভিসা ইস্যু কার্যত সম্পূর্ণই বন্ধ। অথচ এ শ্রেণির কর্মীরাই হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের মূল চালিকাশক্তি।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৮ হাজার জন শ্রমিক আরব আমিরাতে গেছে—২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে যেটি ছিল ৪৭,১৬৬ জন, আর ২০২৩ সালে প্রায় ৯৭,৮২২ জন। ভিসার এই বিধিনিষেধের সংকট শুধু শ্রম রপ্তানিতেই নয়, পর্যটন খাতেও ভয়াবহ আঘাত হেনেছে। বিদেশগামী ট্যুর অপারেটররা বলছেন, আমিরাতের পর্যটন ভিসা ইস্যু “সম্পূর্ণ বন্ধ” থাকায় তাদের ইউইএ ভিত্তিক ট্যুর ব্যবসা কার্যত “ধসে পড়েছে”। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) তসলিম আমিন শোভন বলেন, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতি বছর আমি দুই হাজারের বেশি আরব আমিরাতের পর্যটন ভিসা প্রসেস করেছি। গত এক বছরে একটিও করতে পারিনি। মনে হচ্ছে সীমিত সংখ্যক কিছু পেশাজীবীর জন্য ছাড়া, ভিসার অন্য সব ক্যাটাগরিই বন্ধ। অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সাবেক মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, এখন পর্যটন ও ট্রানজিট ভিসা প্রায় শূন্যের কোটায়। শ্রম ভিসা আগের তুলনায় মাত্র ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ইউএইগামী যাত্রীদের ওপর নির্ভরশীল এয়ারলাইনগুলোকেও যাত্রীসংখ্যা পূরণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাংলাদেশিদের ভিসা না দেওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস. এম. মাহবুবুল আলম বলেন, এটা নতুন কোনো ইস্যু না, একবছর হয়ে গেছে। স্থায়ীভাবে ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এমন কিছু না। এটা অস্থায়ী যেকোনো সময় খুলে দিতে পারে। এ নিয়ে আমাদের রাষ্ট্রদূত কাজ করছেন। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অবশ্য এ বিষয়ে বিস্তারিত তিনি বলেননি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশ থেকে লোকজন আমিরাতে যেতে চাচ্ছেন, ভিসার জন্য প্রবাসীদের থেকেও চাপ আছে। কিন্তু কবে এই ভিসা খুলে দেওয়া হবে, এমন কোনো আভাস পাচ্ছি না। তারা (আমিরাত) ভিসা খুলছেন না। আমাদের দিক থেকে অনুরোধ করা হলেও সাড়া মিলছে না।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী গত ১৭ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, আমিরাতের অভিবাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানতে পেরেছেন, আমিরাতে সব ধরনের ভিসা বা আবাসনবিধি লঙ্ঘনকারীর মধ্যে ২৫ শতাংশের বেশি হলেন বাংলাদেশি। তিনি আরও বলেন, মূল সমস্যা সম্ভবত আমাদের এখানে নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরুতেই দেশের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি ও অনানুষ্ঠানিক শ্রম নেটওয়ার্কের কারণে, শ্রমিকদের শোষণ যেমন করা হয়, তেমনি এর ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।