চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আগামীকাল (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
চাকসু নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি ও হল সংসদের ১৪টি পদে ভোট প্রদানের জন্য সময় ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন জানান, ভোটাররা পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
ভোট ব্যালট পেপারে হবে এবং গণনা হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। ব্যালট পেপারে থাকবে ২৪ অঙ্কের নিরাপত্তা কোড ও একটি গোপন কোড। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “গোপন কক্ষ ছাড়া সব কেন্দ্রে সিসিটিভি থাকবে এবং ব্যালট পেপার ছাপা হবে কমিশনের উপস্থিতিতে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে।”
চাকসু নির্বাচনে মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে লড়ছেন ৪১৫ জন, যেখানে সহসভাপতি ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক ২২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ২১ জনসহ অন্যান্য পদে ভোটারদের জন্য মোট প্রার্থী সংখ্যা বিস্তারিতভাবে নির্ধারিত। ১৪টি হল সংসদে লড়বেন ৪৭৩ জন প্রার্থী, যাদের মধ্যে ৯টি ছেলেদের হল ও ৫টি মেয়েদের হল এবং ১টি হোস্টেল।
ভোটগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনের ১৫টি কেন্দ্র ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে চাকসু ভবনে ১টি অতিরিক্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৫০০ ভোটার ভোট দিতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ভোটার ২৭,৫১৮ জন (ছেলে ১৬,১৮৯, মেয়ে ১১,৩২৯)।
নির্বাচন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেড় হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাবাহিনী দায়িত্বে থাকবে। র্যাবের ৮টি ব্যাটালিয়ন, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত রিজার্ভ টিম নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তির জন্য প্রস্তুত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্বে বিশেষ নিরাপত্তা টিম কাজ করবে এবং সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে।
এমআর/সবা

























