চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন, পেশাজীবী ও নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বক্তারা বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীদের ভয়ভীতি উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে আগ্রাবাদ মোড়ে ‘বন্দর রক্ষায় চট্টগ্রামের শ্রমিক-ছাত্র-পেশাজীবী-নাগরিকবৃন্দ’ ব্যানারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পানির গভীরতা মাত্র ৯ মিটার, যেখানে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, আবুধাবি বন্দরে ১৭-২৫ মিটার। এতে একসঙ্গে পাঁচটির বেশি জাহাজ ঢুকতে পারে না। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে বন্দরের ইজারা দেওয়া হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। বক্তারা বলেন, বন্দরের সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব জড়িত।
বাসদের (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শফি উদ্দিন কবির আবিদ শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, “সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসুন। সরকার যদি জনগণের কণ্ঠরোধ করতে চায়, জনগণ অবশ্যই সমুচিত জবাব দেবে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণমুক্তি ইউনিয়নের সভাপতি রাজা মিঞা, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি খোরশেদ আলম, স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান, বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সেক্রেটারি ইব্রাহিম খোকন, ডক শ্রমিক দলের সেক্রেটারি আখতারউদ্দিন সেলিম, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সেক্রেটারি জাহিদউদ্দিন শাহীন, গণঅধিকার চর্চা কেন্দ্রের মশিউর রহমান খান, বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার পরিষদের সিঞ্চন ভৌমিক, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সেক্রেটারি জাহেদুন্নবী কনক, বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সভাপতি হুমায়ুন কবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল সভাপতি ধ্রুব বড়ুয়া ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নগর দফতর সম্পাদক লাবণী আকতার।
সমাবেশ থেকে ঘোষণা করা হয়, বন্দর বিদেশিদের হাতে না দেওয়ার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বামমোর্চার ডাকে ২৭ অক্টোবর ঢাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ এবং ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এমআর/সবা
























