১১:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দীঘিনালায় শান্তিপূর্ণভাবে মাসব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব সম্পন্ন

অহিংসা পরম ধর্ম গৌতম বুদ্ধের মর্মবাণী ধারণ করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বিনন্দচুগ রাজগুরু অগ্রবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে ২০তম দানোত্তম কঠিন চীবরদান উদযাপনের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই মহোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার সকালে ভাবনা কেন্দ্র পরিচালনা কমিটি ও দায়ক-দায়িকা, উপাসক-উপাসিকাদের আয়োজনে স্বধর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ, দীঘিনালা উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের। উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশের সহ-অর্থ সচিব ভদন্ত সুমনানন্দ মহাথের, ধ্যানমতি মহাথের এবং দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা।

ধর্মদেশনায় ভিক্ষুরা বলেন, অহিংসা পরম ধর্ম গৌতম বুদ্ধের বাণী অন্তরে ধারণ করে হিংসা ও বিদ্বেষ ভুলে সকলকে আপন করে নিতে হবে। তাহলেই সমাজে অন্যায়, হিংসা, বৈরিতা দূর হয়ে শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধন প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সকল সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম এই মাসব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।

উল্লেখ্য, এ বছর দীঘিনালা উপজেলায় মোট ৩৮টি বৌদ্ধ বিহার ও ১০টি বনবিহারে কঠিন চীবরদান উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

দীঘিনালায় শান্তিপূর্ণভাবে মাসব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব সম্পন্ন

আপডেট সময় : ০৫:০৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

অহিংসা পরম ধর্ম গৌতম বুদ্ধের মর্মবাণী ধারণ করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বিনন্দচুগ রাজগুরু অগ্রবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে ২০তম দানোত্তম কঠিন চীবরদান উদযাপনের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই মহোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার সকালে ভাবনা কেন্দ্র পরিচালনা কমিটি ও দায়ক-দায়িকা, উপাসক-উপাসিকাদের আয়োজনে স্বধর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ, দীঘিনালা উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের। উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশের সহ-অর্থ সচিব ভদন্ত সুমনানন্দ মহাথের, ধ্যানমতি মহাথের এবং দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা।

ধর্মদেশনায় ভিক্ষুরা বলেন, অহিংসা পরম ধর্ম গৌতম বুদ্ধের বাণী অন্তরে ধারণ করে হিংসা ও বিদ্বেষ ভুলে সকলকে আপন করে নিতে হবে। তাহলেই সমাজে অন্যায়, হিংসা, বৈরিতা দূর হয়ে শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধন প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সকল সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম এই মাসব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।

উল্লেখ্য, এ বছর দীঘিনালা উপজেলায় মোট ৩৮টি বৌদ্ধ বিহার ও ১০টি বনবিহারে কঠিন চীবরদান উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।

এমআর/সবা